1. ইতিহাস শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি কিকি ?
উঃ ভূগোল শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি হলঃ i) ইতিহাস মিউজিয়াম তৈরি, ii) বুলেটিন বোর্ড তৈরি, iii) ঐতিহাসিক ভ্রমণ, iv) ইতিহাস সমিতি বা ক্লাব পরিচালনা, v) ইতিহাস প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, vi) ইতিহাস পত্রিকা প্রকাশ, vii) ইতিহাস সংক্রান্ত বিশেষ কর্ম অনুশীলন, viii) বিতর্কসভার আয়োজন, ix) ইতিহাস গ্রন্থাগার পরিচালনা ইত্যাদি ।
2. ইতিহাস মিউজিয়াম বলতে কি বোঝায় ?
উঃ ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনাবলীর নিদর্শন, প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান, প্রাচীন স্থাপত্য মডেল, লিখিত প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদান ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালাকে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । এক কথায় ইতিহাস পঠনপাঠনের উপযোগী পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে সেগুলি যেসব প্রতিষ্ঠান বা ভবনে সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেইসব ভবন বা প্রতিষ্ঠান কে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । ইতিহাস পাঠদানের ক্ষেত্রে অনাদি অতীতকে প্রাণবন্ত করে তুলতে এবং কল্পনাপ্রবণ শিক্ষার্থীর মানসচক্ষুতে জীবন্ত ও বাস্তব করে তোলার এক অনবদ্য কার্যাবলী হল ইতিহাস মিউজিয়াম ।
3. কোন সময়কে যাদুঘরের যুগ বলা হয় ?
উঃ ঊনবিংশ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সময়কালকে যাদুঘরের যুগ বলা হয়, কারণ এই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাদুঘর প্রতিষ্ঠার ব্যপক উদ্যোগ দেখা দেয় এবং বহু নতুন যাদুঘর গড়ে ওঠে ।
4. ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের পদ্ধতি কিরকম ?
উঃ মিউজিয়ামের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করে তা সংরক্ষণ করা । ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের ক্ষেত্রে সংগৃহীত ঐতিহাসিক উপাদানগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগীভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক উপাদানের গায়ে শিক্ষামূলক পরিচিত লাগিয়ে রাখতে হবে । প্রত্যেকটি উপাদানের সঙ্গে একটি করে নির্দেশনা পত্র থাকবে যাতে উপকরণের নাম, প্রাপ্তির স্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লিখিত থাকবে ।
5. ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি হবে ?
উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থী নিজের দ্বায়িত্বে নমুনা ও উপকরণ সংগ্রহ করে নিজেরাই সাজাবে, পরিচিতিপত্র তৈরি করবে এবং দর্শকদের দেখাবে । এছাড়া বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মডেল নিজেরাই তৈরি করে পাঠ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে ।
6. ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্য কি ?
উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) অতীত ঘটনাবলী সম্পর্কে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা এবং তাদের অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ ঘটানো । ii) ঐতিহাসিক বিভিন্ন উপাদান, নিদর্শন, স্থাপত্য ইত্যাদির কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা । iii) সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের মনোভাবের বিকাশসাধন করা । iv) পাঠ্য বইএর পাঠ্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যরেখে বিভিন্ন নিদর্শন শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আরো কৌতূহলী ও আকৃষ্ট করে তোলা ইত্যাদি ।
7. ইতিহাস মিউজিয়ামের প্রধান উপাদানগুলি কিকি ?
উঃ ইতিহাস মিউজিয়ামে প্রধান উপাদান হিসাবে - i) প্রাক ঐতিহাসিক যুগের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যেমন - তৈজসপত্র, অলংকার, অস্ত্রশস্ত্র, শিল্পকলা; ii) ঐতিহাসিক যুগের বাস্তব নিদর্শন, ভাস্কর্যের চিহ্ন, স্থাপত্য শিল্পের নমুনা ও শিল্প সৌন্দর্যের নমুনা; iii) বিভিন্ন উপাদানে খোদাই করা প্রাচীন লিপি, প্রাচীন মুদ্রা, দানপত্র, পুঁথি, ব্যক্তিগত দলিল; iv) বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের স্মৃতিচিহ্ন, বিভিন্ন সাম্রাজ্য ও শাসকের জীবনপঞ্জিকা; v) ঐতিহাসিক বস্তুর মডেল, ধংসাবাশেষের ফটোগ্রাফ, স্থাপত্য শিল্পের মডেল, ব্যক্তিগত তৈলচিত্র; vi) প্রাচীন বিদেশী স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং পামফলেট ইত্যাদি রাখা যায় ।
8. ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর কত ধরনের হতে পারে ?
উঃ ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমনঃ i) বিশ্বকোষ যাদুঘর, ii) প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, iii) ঐতিহাসিক গৃহ যাদুঘর, iv) শিল্প যাদুঘর, v) প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘর, vi) বিজ্ঞান যাদুঘর, vii) সামরিক যাদুঘর, viii) জীবন্ত যাদুঘর, ix) চলমান যাদুঘর, x) ব্যক্তিগত যাদুঘর ইত্যাদি ।
9. সর্বজনীন যাদুঘর কোন যাদুঘরকে বলা হয় ?
উঃ British Museum কে সর্বজনীন যাদুঘর (Universal Museum) বলা হয় । এই যাদুঘর বিশ্বকোষ যাদুঘরেরও শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ।