Thursday, 15 October 2020

সক্রিয় গবেষণা |CHILD PSYCHOLOGY

**.গবেষণা (Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ Research কথাটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় দুটি শব্দ  "Re" অর্থাৎ "পুনরায়" এবং "Search" অর্থাৎ "খোঁজা বা অনুসন্ধান করা" সমগ্র অর্থে 'পুনরায় খোঁজা বা পূর্বে ঘটে যাওয়া কোন বিষয় কে পুনরায় বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে অনুসন্ধান করা' । অন্যদিকে কোনো  নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন  সমস্যার সমাধান খুঁজে  বের করা বা কোন  অজানা  বিষয়কে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে  জানার চেষ্টা করা বা  উন্নত কোনো  কিছু আবিষ্কার করা কে গবেষণা (Research) বলা হয়।

Carolyn Feher Waltz এবং R. Barker Bausell (1981) Research এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন "Research is a systematic, formal, rigorous and precise process employed to gain solutions to problems or to discover and interpret new facts and relationships."

C.R Kothari তার "Research Methodology: Methods & Techniques" গ্রন্থে উল্লেখ করেন "Research is a pursuit of trust with the help of study, observation, comparison and experiment, the search for knowledge through objective and systematic method of finding solutions to a problem."



**.গবেষণা কে কতভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উঃ গবেষণা  মূলত ছয়ভাগে বিভক্ত, যথাঃ i) মৌলিক গবেষণা (Fundamental Research), ii) প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research), iii) মূল্যায়ন   গবেষণা (Evaluative Rresarch ), iv) পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research),    v)  সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) এবং    vi) সক্রিয় গবেষণা (Action Research)



** মৌলিক গবেষণা (Fundamental Research) বলতে কী বোঝায়  ?

উঃ মৌলিক গবেষণা  বলতে মূল বা আদি গবেষণাকে বোঝায়, একে বিশুদ্ধ  গবেষণা ও বলা হয় । মৌলিক  গবেষণার দ্বারা কোন  নতুন তত্ত্বের আবিষ্কার ও বিদ্যমান তত্বের উন্নয়ন করা হয়ে থাকে । 


** প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research) দ্বারা  কোন  সমস্যার কারন নির্ণয়  বা সূত্র  আবিষ্কার করা হয়ে থাকে । শিক্ষাবিদ Baily এর মতে ,"Applied  Research  is Research  with finding that can be aplied *to solve social problema of immediate  concern ." এই ফলিত গবেষণা কে ফিল্ড গবেষণা ও বলা হয় ।



**মূল্যায়ন   গবেষণা  (Evaluative Rresarch ) বলতে কী বোঝায়?

উঃ কোন প্রকল্প কে হাতে নেওয়ার পর তাকে পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়িত করার জন্য কিছু  কৌশল  এর ব্যবহার করা হয় এরপর ফলাফল পর্যালোচোনা করে  পুনরায় গবেষণার প্রয়োজন কী না তার নির্ধারন করা হয় যে গবেষণার মাধ্যমে তা হল মূল্যায়ন   গবেষণা  (Evaluative Rresarch )।


** পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ কোনো প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে  বিভিন্ন  ধরনের পদ্ধতি  ও দৃষ্টিভঙ্গির  প্রভাবকে পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয় যে গবেষণায় তা হল পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research) । সাধারণত মনোবিজ্ঞানে , প্রশিক্ষণও তথ্যের যোগাযোগ ক্ষেত্রে এই গবেষণার মাধ্যমে  পরিচালনা  করা হয় থাকে ।


**সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) বলতে কী বোঝায়? 

উঃ যে গবেষণার দ্বারা সরাসরি বিভিন্ন Tools & Techniques ব্যবহার করে কোন  বিষয়ের তথ্য  সংগ্রহ করা হয় তাকে সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) বলে ।


**সক্রিয় গবেষণা (Action Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা পেশাজীবী গন তাঁদের কাজ এবং  সিদ্ধান্ত সমুহ বিজ্ঞান সম্মত ভাবে অধ্যায়ণ করেন এবং  মূল্যায়ন  করেন তাকে সক্রিয় গবেষণা  বলা হয়। আমেরিকান শিক্ষাবিদ Sarah Ellen Blackwell এর মতে,"Research Concern  school problem  carried out by school personal to improve school 's practice is Action Research."

শিখন : প্রভাবক উপাদান|CHILD PSYCHOLOGY

@ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রধান চারটি প্রতিবন্ধক কিকি ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রধান চারটি প্রতিবন্ধক হল :- i. শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা প্রাপ্ত বাধা, ii. শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত বাধা, iii. কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাধা এবং iv. অভিভাবকদের থেকে প্রাপ্ত বাধা, ইত্যাদি । 



# সহযোগিতামূলক শিখনের উপাদানগুলি কিকি ? 

উঃ সামাজিক মনোবিদ David W. Johnson এবং Roger T. Johnson 1994 সালে প্রকাশিত "Learning Together and Alone" গ্রন্থে সহযোগিতামূলক শিখন সংক্রান্ত পাঁচটি উপাদানের কথা উল্লেখ করেন, যথাঃ A) ধনাত্মক আত্মনির্ভরশীলতা, B) ব্যক্তিগত ও দলগত দায়বদ্ধতা, C) সম্মুখ আত্মসম্পর্ক, D) সামাজিক দক্ষতা এবং E) দলগত প্রক্রিয়া ইত্যাদি । 



* সহযোগিতামূলক শিখন কয় প্রকার ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখন মূলতঃ দুই প্রকার, যথাঃ A) প্রথাগত সহযোগিতামূলক শিখন :- এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা দলগত লক্ষ্য পুরনার্থে সুসংগঠিত সহযোগিতামূলক শিখন প্রক্রিয়া সম্পাদন করে । B) অপ্রথাগত সহযোগিতামূলক শিখন :- এক্ষেত্রে পরোক্ষ শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে সম্পূর্ণ পাঠক্রম ধরে অথবা একক পাঠ দানের শেষে বিষয় সমূহকে আলোচনা করা হয় । 



@ সহযোগিতামূলক শিখনের গুরুত্ব কি ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রভাবে i. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাজের প্রতি প্রেষণা বাড়ে, ii. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তনির্ভরতা বৃদ্ধি পায়, iii. শিক্ষার্থীর সৃজন প্রতিভা বিকশিত হয়, iv. সহযোগিতামূলক কাজের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, v. শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ প্রশমিত হয়, vi. শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি । 



# বন্ধু বা সহপাঠী শিক্ষণ (Peer Tutoring) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ যে শিখন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী অন্য কোন সহপাঠীর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাকে বন্ধু বা সহপাঠী শিক্ষণ বলে । এটি শিক্ষণ, শিখন নয় । 'শিক্ষণ মানে দু'বার শেখা'- Whitman(1998) । 




* সহপাঠী শিক্ষণ কয় প্রকারের হয়ে থাকে ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণ দুই প্রকারের হয়ে থাকে, যথাঃ A) বেশি বয়সের বন্ধুশিক্ষণ (Cross-age Peer Tutoring) এবং B) সমবয়সী বন্ধুশিক্ষণ (Same-age Peer Tutoring) । 




# সহপাঠী শিক্ষণের বৈশিষ্টগুলি কিকি ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণ ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্টগুলি হল :- i. এই ধরনের শিক্ষণে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থী শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে । ii. এই ধরনের শিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা থাকে অপ্রত্যক্ষ । iii. এখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং শিক্ষানবিশ এর মধ্যে পারষ্পরিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে । iiv. এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতি বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম, ইত্যাদি । 



* সহপাঠী শিক্ষণের শিক্ষাগত তাৎপর্য কি ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণের শিক্ষাগত তাৎপর্যগুলি হল :- i. সহপাঠী কর্তৃক শিক্ষণ ব্যবস্থায় নির্বাচিত শিক্ষক (শিক্ষর্থীটি) আত্মবিশ্বাস অর্জন করে এবং তার দ্বায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায় । ii. শ্রেণিশৃঙ্খলা বজায় এর মাধ্যমে পারষ্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হয় । iii. একটি দলের চিন্তাধারা অন্য দলে সঞ্চারিত হয় । iv. শিক্ষার্থীদের পারষ্পরিক মিথস্ক্রিয়া উন্নত হয় এবং সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় । v. এরুপ শিক্ষণে শিখন দ্রুত হয়, মান উন্নত হয়, শিক্ষার্থীর অবাঞ্ছিত আচরণের উন্নতি ঘটে । vi. শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন অভিমুখী প্রেষণা সঞ্চারিত হয় এবং শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রেণি শৃঙ্খলা বজায় থাকে । 



@ বন্ধু শিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা কি হবে ? 

উঃ বন্ধু শিক্ষণে শিক্ষক :- i. সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার তত্বাবধায়ক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে । ii. প্রক্রিয়াটিতে শিক্ষক একই সাথে নির্দেশক ও পর্যবেক্ষক । iii. শিক্ষার্থীদের ত্রুটি নির্ণায়ক এবং তার সংশোধক । iv. বিষয়বস্তর নির্বাচকও । 



* বন্ধু শিক্ষণ উন্নত করার কৌশলগুলি কিকি ? 

উঃ Sinclair Goodlad & Beverley Hirst 1989 সালে প্রকাশিত "Peer Tutoring: A Guide to Learning by Teaching" নামক গ্রন্থে এবং Jenkins & Jenkins 1987 সালে (আফ্রিকান-আমেরিকান মনোবিদ Adelbert H. Jenkins & আমেরিকান মনোবিদ James Jerome Jenkins) বন্ধু শিক্ষণকে উন্নত করার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, যেমনঃ i. এক্ষেত্রে Cross-age Tutoring এর ব্যবস্থা অধিক কার্যকরী হতে পারে, কারণ Same-age Tutoring এ অনেকসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসম মনোভাব তৈরি হতে পারে । ii. এই ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য দিনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে এবং বিষয়বস্তকেও নির্ধারন করে দেওয়া আবশ্যক । iii. শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয় ভূমিকাই পালন করতে দিতে হবে যাতে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি না হয় । iv. এরুপ শিক্ষণ কালে তত্বাবধানের জন্য শিক্ষক/শিক্ষিকার উপস্থিতি আবশ্যক । v. শ্রেণিকক্ষে অধিক বন্ধু শিক্ষণ না করাই ভাল নতুবা এই পদ্ধতি গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের জানানো উচিৎ ।

ভূগোল চিন্তন|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS


** অভিজ্ঞতাবাদ (Empirism)কাকে বলে ?

উঃ যে তত্বে সকল জ্ঞানের উত্স 'অভিজ্ঞতা'বলে মনেকরা হয় তাকে অভিজ্ঞতাবাদ তত্ব বলে l Webster (1969) অভিজ্ঞতাবাদ সম্পর্কে বলেন - অভিজ্ঞতা হল ঘটনাবলীর সাথে যুক্ত হয়ে অথবা ঘটনাবলীকে প্রত্যক্ষ ভাবে দেখে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জন করা l অভিজ্ঞতাবাদ দর্শনের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ জ্ঞান বিদ্যার অন্তর্গত একটি তত্ব l প্রধান প্রবক্তা – জন লক, জর্জ বাকেল, ডেভিড হিউম, জন স্টুয়ার্ট মিল ইত্যাদি l  


**প্রত্যক্ষবাদ (Positivism)বলতে কী বোঝেন ?

উঃ যে দার্শনিক চিন্তাধারায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গতভাবে বিষয়বস্তু আলোচনা করে সরল ভাবে উপস্থাপনা করা হয় তাকে প্রত্যক্ষবাদ বলে l ঊনবিংশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের দার্শনিক অগাস্ত কোঁত্ এঁর চিন্তাধারা থেকে প্রত্যক্ষবাদের উদ্ভব হয় l এই চিন্তাধারার মূল বিষয় হল - (i) প্রাকৃতিক নিয়মের মতো সমাজ বিজ্ঞানেও নিয়ম গড়ে তোলা সম্ভব l  (ii) এই নিয়ম গুলোর সাহায্যে ভবিষ্যৎ বাণী করা সম্ভব এবং (iii) বিভিন্ন ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবে রুপ দিতে গিয়ে সমাজের প্রকৃত পরিবর্তন করা সম্ভব l 


** লেবেন্সরাউম্ তত্ব কী ?

উঃ ফ্রেডরিখ রাট জেল 1903 খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর "Political Geography" নামক গ্রন্থে 'State' কে সধারন এক সংগঠন হিসাবে গ্রহণ করে বলেন 'স্থানীয় জীবকুলের বিকাশ এবং state এর সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং অভ্যন্তরীণ শক্তির পরিস্ফুটনে একটি নির্দিষ্ট 'স্পেস' বা ক্ষেত্রের প্রয়োজন হয়l' রাটজেল এঁর এই ধারণা লেবেন্সরাউম্ তত্ব নামে পরিচিত l এই দৃষ্টিকোনে মানুষকে নিয়ন্ত্রিত জীব বা সত্বা বলে ধরা হয় l 





** আচরণগত ভূগোল কী ?

 উঃ আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে যে ভূগোল বিকশিত হয়েছে তাই আচরণবাদী ভূগোল l কে.আর.কক্স ও রেজিনাল্ড জি. গোলেজ আচরণবাদী ভূগোলে বলেছেন মানুষের আচরণের বিষয়ে স্বীকার্য গুলির ভিত্তিতে ভৌগোলিক তত্ব নির্মাণের সাধারণ সূত্রে আচরণগত ভূগোল একীভূত হয়েছে l অর্থাত্ মানুষের আচরণের পরিমাপ ব্যাখ্যা ও সমীক্ষার ভিত্তিতে গঠিত প্রত্যক্ষবাদী দৃষ্টিভঙ্গিধারাকে আচরণগত ভূগোল বলে l 


**মানবতাবাদী ভূগোল কী ?

উঃ যে ভূগোলে মানুষের সুযোগসুবিধা, প্রয়োজন এবং মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে উন্নত পরিবেশ গড়ার কাজে সাহায্যকারী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করাহয় তাকে মানবতাবাদী ভূগোল বলে l মানবতাবাদী ভূগোল সাধারণ ভাবে ভাববাদী দর্শন এবং বিশেষ ভাবে ভাববাদী দর্শনের দুটি শাখা 'প্রতিভাস তত্ব' ও 'অস্তিত্ব বাদ' এর ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে l 




**মার্কসীয় ভূগোল কী ?

উঃ বিশাল মার্কসবাদের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ হল মার্কসীয় ভূগোল l বর্তমানে মুলাভিমুখী ভূগোলের একটি বিশেষ ক্ষেত্র রুপে মার্কসীয় ভূগোলের প্রধান কয়েকটি ধারণাকে উপস্থাপিত করা যায়, যা সাধারণত মার্কসবাদীদেরই ধারণা সমূহ l বাস্তুবাদী দর্শনের ভিত্তিতে মার্কসীয় ভৌগলিকরা সমাজকে সামগ্রিক ভাবে বুঝতে চেস্টা করেন এবং বিভিণ্ন সমাজের ভিন্ন ভিন্ন উত্পাদন ধারা ব্যাখ্যা করেন l মার্কসীয় ভূগোলে পুঁজিবাদী সমাজের বাজার শক্তি ও শ্রেণী সম্পর্কগুলোর তাত্পর্য ব্যাখ্যা করে দুটিকেই বদলানোর চেস্টা করা হয় l 





** ভূগোলে গঠণবাদ বলতে কী বোঝেন ?

উঃ প্রত্যক্ষবাদ এবং অভিজ্ঞতা ভিত্তিক জ্ঞানের উপর গুরুত্বপূর্ণ সমলোচনার উদ্দেশ্যে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ফ্রান্সের ইমিল ডার্কহিম এবং জার্মানের ফ্রেডরিখ রাটজেল এঁর বিতর্কের মধ্যদিয়ে আধুনিক ভূগোলে গঠণবাদের সূচনা হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে প্রধান্য লাভ করে l এই দর্শনে আপাত ভাবে দেখা ও মানুষের তৈরী বিন্যাসের ভিতরে গিয়ে মূল তথ্যটি অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে l এই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রধান প্রবক্তা ছিলেন নৃতাত্ত্বিক ক্লদ - লেভি - স্টাউস এবং মনোবিজ্ঞানী জ্যাঁ পিয়াগেট l 


** অসাম্যের ভূগোল কী ?

উঃ যে ভূগোলে সামাজিক,রাজনৈতক,অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক বা দৈশিক বৈশিষ্টের অসম বন্টনের উপর সমীক্ষা করা হয় তাকে অসাম্যের ভূগোল বলা হয় l এর উদ্দেশ্য হল অসাম্যের প্রকৃতি ও কারণ সাধারণীকরনের মাধ্যমে দৈশিক অসাম্যের তীব্রতাকে গভীর ভাবে অনুধাবন করা l 





**  প্রণালীবদ্ধ ভূগোল কাকে বলে ?

উঃ ভৌগোলিক আলোচনায় যখন ভৌগোলিকগণ প্রত্যক্ষবাদী অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ঘটনাবলীর আলোচনা সুনির্দিষ্ট প্রণালী এবং কার্যকরন তত্বের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করে, তখন তাকে প্রণালীবদ্ধ ভূগোল বলে l এই মতবাদ অনুসারে ভূগোল অন্যান্য বিষয় থেকে আলাদা নয় l স্কিফর মনে করেন প্রণালী বদ্ধ ভূগোল সমধর্মী প্রক্রিয়া থেকে উৎপন্ন নির্দিষ্ট কতগুলি বৈশিষ্ট কে সমীক্ষা করে l 


**  কালিক ভূগোল কাকে বলে ?

উঃ ভূগোলের যে শাখায় মানুষের কাজ করার ক্ষমতা, বিভিন্ন কাজের পরস্পর নির্ভরশীলতা ও কাজ করার অধিকারের ওপর পরিসর ও কালের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে কালিক ভূগোল বলে l সুইডিশ ভূগোলবিদ হ্যাগার স্ট্রেন্ড (1970) কালিক ভূগোলের প্রবক্তা l শিক্ষার বিষয় হিসাবে ভূগোলের বিকাশ সমীক্ষায় Pred (1979) কালিক ভূগোলের পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন l

প্রক্ষোভ বা আবেগ CHILD PSYCHOLOGY

** প্রক্ষোভ বা আবেগ (Emotions) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ ইংরাজী 'Emotion' শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ 'Emovere' থেকে যার অর্থ হল 'To be Agitated' বাংলায় 'প্রক্ষুব্ধ হওয়া' বা 'উত্তেজিত হওয়া' যার বাংলা সমর্থক হিসেবে 'প্রক্ষোভ' শব্দের ব্যবহার। অর্থাৎ প্রক্ষোভ বলতে বোঝায় সেই অনুভূতিকে যার শারিরীক এবং পরিজ্ঞানমূলক উভয় উপাদান আছে এবং যা আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ইহা একধরনের মানসিক অবস্থা। 

প্রক্ষোভ এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে মনোবিদ ম্যাকডুগাল তাঁর প্রবৃত্তির তত্বে বলেন প্রবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত মানসিক অবস্থাই হল প্রক্ষোভ। 

Crow and Crow এঁর মতে "An emotion is a dynamic internal adjustment that operates for the satisfaction protection and welfare of the individual." 

C.W. Vallentine এঁর মতে "When feelings become intense we have emotions." 

Woodworth এর মতে "Each emotion is  a feeling, and each is at the same time, a motor set." 

P.T. Young (1961) এর মতে "Emotion is an acute disturbance of the individual as a  whole, psychological  in  origin, involving  behavior, conscious experience and viceral functioning."      



**প্রক্ষোভ এর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করুন । 

উঃ প্রক্ষোভ এর কয়েকটি কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলঃ i) প্রক্ষোভ হল বিশেষ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষনের ফল। ii) এর পরিধি ব্যাপক, প্রক্ষোভ কালে দেহাভ্যান্তরে কতগুলি সংবেদনের সৃষ্টি হয়। iii) প্রক্ষোভ ব্যাক্তিকে কর্মে প্রবৃত্ত করে, এই সময় দৈহিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। iv) বয়স ও অভিজ্ঞতার স্বাপেক্ষে প্রক্ষোভিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটে। v) প্রক্ষোভ বিচার-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে এবং একই প্রক্ষোভ বিভিন্ন অবস্থা দ্বারা উদ্দীপ্ত হতে পারে। vi) ইহা জীবের মধ্যে জাগ্রত অবস্থা দ্বারা সংযুক্ত। vii) সাধারণত শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে । viii) দুঃখ ব্যতীত প্রতিটি আবেগে প্রচুর শক্তি মুক্তি পায় । 


** প্রক্ষোভ কয়টি স্বতন্ত্র উপাদান দ্বারা প্রতিভাত হয় ? 

উঃ প্রক্ষোভ একটি জটিল মানসিক প্রক্রিয়া, Hockenbury & Hockenbury (2007) ইহা 3 টি স্বতন্ত্র উপাদান জড়িত অবস্থা, এগুলো হলঃ i)  বিষয়গত অভিজ্ঞতা, ii) শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং iii) আচরণগত বা অভিব্যক্তিক প্রতিক্রিয়া।




** প্রক্ষোভ কত প্রকারের হতে পারে ? 

উঃ প্রক্ষোভ এর প্রকারভেদ নিয়ে মনোবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে । মনোবিদ ম্যাকডুগাল মানবীয় প্রক্ষোভকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন, যথা :- A) প্রাথমিক বা মৌলিক প্রক্ষোভ :- সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত প্রক্ষোভগুলিকে ম্যাকডুগাল প্রাথমিক বা মৌলিক হিসাবে ব্যক্ত করেছেন। তিঁনি 14 টি প্রাথমিক প্রক্ষোভের উল্লেখ করেছেন, এগুলি হলঃ :- ভয়, ক্রোধ, বিরক্তি, স্নেহানুভূতি, আমোদ, ক্ষুধা, কাম, বিষ্ময়, দুঃস্থভাব, হীনমন্যতা, একাকিত্ববোধ, আত্ম গৌরব, স্বাধিকারবোধ, সৃজনশীলতা। 

B) জটিল প্রক্ষোভ :- একাধিক প্রক্ষোভের সংমিশ্রণে গঠিত প্রক্ষোভ এরুপ প্রক্ষোভ, এগুলি হলঃ ঘৃণা, প্রশংসা, বিভীষিকা, লজ্জা, শ্রদ্ধা, করুণা, কৃতজ্ঞতা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি । 

C) অর্জিত প্রক্ষোভ :- এরূপ প্রক্ষোভ প্রবল ইচ্ছার সঙ্গে যুক্ত, এগুলি হলো :- আশা, আকাঙ্খা, উল্লাস, অনুশোচনা, হতাশা ইত্যাদি l

ওয়াটসনের মতে মানুষের সহজাত মৌলিক প্রক্ষোভ তিনটি, যথা :-F > Fear (ভয়), A > Anger (ক্রোধ) এবং L > Love (ভালবাসা) । 


** প্রক্ষোভ চক্রের প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং প্রাথমিক বিপরীত প্রক্ষোভগুলি কিকি ? 

উঃ আমেরিকান মনোবিদ Robert Plutchik 1980 সালে "The Nature of Emotions" নামক গ্রন্থের মাধ্যমে প্রক্ষোভ চক্রের (Wheel of Emotions) উপস্থাপন করেন যেখানে তিনি 8 প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং 8 টি উন্নত প্রক্ষোভ এর কথা উল্লেখ করেন । এই প্রক্ষোভ চক্রের প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং প্রাথমিক বিপরীত প্রক্ষোভগুলি হলঃ  Joy এর বিপরীত প্রক্ষোভ Sadness,Trust এর বিপরীত প্রক্ষোভ Disgust, Fear এর বিপরীত প্রক্ষোভ Anger, Surprise এর বিপরীত প্রক্ষোভ Anticipation, Sadness এর বিপরীত প্রক্ষোভ Joy, Disgust এর বিপরীত প্রক্ষোভ Trust, Anger এর বিপরীত প্রক্ষোভ Fear, Anticipation এর বিপরীত প্রক্ষোভ Surprise I




**সামাজিকভাবে নির্মিত এবং স্ব-সচেতন প্রক্ষোভ কি ?

উঃ সামাজিকভাবে নির্মিত এবং স্ব-সচেতন প্রক্ষোভ হল: গর্ব, কুণ্ঠাবোধ, অস্বস্তি, অপরাধবোধ এবং লজ্জা । এই আবেগ কয়েকটি পৃথক তথ্য প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া হিসাবেও কাজ করে । 






**পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রক্ষোভের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে কি ?

উঃ পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রক্ষোভের মধ্যে কার্যগত পার্থক্য খুব একটা থাকে না, আবার মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল নন । তবে তারা পুরুষের চেয়ে অধিক সংবেদন প্রকাশ করার জন্য নিজের এবং অপরের ক্ষেত্রে প্রক্ষোভের নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বেশি দায়বদ্ধ হতে উৎসাহিত হন ।


** প্রক্ষোভ কি ভুল হতে পারে ?

উঃ প্রক্ষোভ ভুল হতে পারে না, তবে কোনও নির্দিষ্ট প্রক্ষোভ প্রকাশ প্রসঙ্গে ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া অনুপযুক্ত হতে পারে । যেমনঃ বাংলা প্রবাদ প্রবচন 'চোরের উপর রাগ করে ভূঁইয়ে ভাত' অনুযায়ী যদি চুরির পর আপনি চোরের উপর রাগ করে থালার পরিবর্তে মাটিতে খাবার খান তাহলে তা অনুপযুক্ত । 


**মুখের ভাব (Facial Expression) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ মানুষের মধ্যে সংবেদনশীল আচরণ মূলত মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয় । কোন প্রক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের প্রথম চিত্র ফুটে উঠে মানুষের মুখে । অর্থাৎ কোন প্রক্ষোভের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মানুষের মুখমণ্ডলের যে জৈবিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় তাকে মুখের ভাব বলা যায় । বিভিন্ন প্রক্ষোভের প্রকাশভাবগুলি সর্বজনীন, তবে সংবেদন থেকে সংস্কৃতিতে কখন এবং কতটা প্রক্ষোভ প্রকাশ করা যায় তার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই ।


** প্রক্ষোভ এবং শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা (Emotion and Physiological Arousal) এর সম্পর্ক কী?

উঃ শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা একটি সম্ভাব্য চিন্তা, তবে এটি প্রক্ষোভের প্রয়োজনীয় দিক হিসাবে প্রমাণিত হয়নি । তবে স্বয়ংক্রিয় এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উভয়ই সংবেদনে জড়িয়ে পড়ে, প্রতিটি প্রক্ষোভের শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার নিজস্ব নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে এই ধারণাকে সমর্থন করার মতো প্রমাণ খুব কমই রয়েছে।

ভূগোল প্রশ্নোত্তর-2|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

** লী তরঙ্গ (Lee Wave) কি ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের মন্দগতি বায়ু প্রবাহ কোন শৈলশিরায় বাধা পেলে তার অনুবাত ঢালের বায়ুমন্ডলে অভিস্তরীয় প্রবাহ উৎপন্ন হয় । এই বায়ুপ্রবাহের বেগ স্বল্প বৃদ্ধি পেলে নিম্নচাপের আবির্ভাব ঘটে । নিম্নচাপের বায়ু প্রবাহ আরো বৃদ্ধি পেলে প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বায়ু তরঙ্গাকারে প্রবাহিত হয় । এরূপ তরঙ্গ যুক্ত বায়ু প্রবাহই লী তরঙ্গ । এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য 3 থেকে 30 কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যমান । 


** বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে সারা বছর ধরে বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ লক্ষ্য করা যায়; এই দুই ভিন্নধর্মী চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের এক একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বায়ুচাপ বৃত্তাকারে ঘিরে অবস্থান করে, এদের একেকটিকে  বায়ুচাপ বলয় বলে । পৃথিবীতে এরকম সাত টি বায়ুচাপ বলয় রয়েছে; যথাঃ i) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, ii & iii) কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়, iv & v) সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত নিম্নচাপ বলয় এবং vi & vii) সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় । 


** বায়ুচাপ কক্ষ কাকে বলে ? 

উঃ পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয় গুলি অক্ষরেখা বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত । ভূপৃষ্ঠে স্থলভাগ ও জলভাগ এর মধ্যে বায়ুর উষ্ণতা ও বায়ুচাপের পার্থক্য জনিত কারণে অনেকাংশে বায়ুচাপ বলয় গুলি বলয়াকারে অবস্থান না করে ছোট ছোট ভাগে অবস্থান করে, এই ভাগগুলির একেকটিকে বায়ুচাপ কক্ষ বলে । উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের জন্য বায়ুচাপ কক্ষ বেশি থাকে । যেমন অ্যালুসিয়ান নিম্নচাপ কক্ষ । 


** Eluviation কাকে বলে ? 

উঃ মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রক্রিয়া এলুভিয়েশন । এর অর্থ হল 'ধৌতিকরণ' । যে পদ্ধতিতে অনুস্রবনরত জলের সাথে মৃত্তিকা উপাদানগুলি প্রলম্বিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় ঊর্ধ্ব স্তর থেকে নিম্ন স্তর গুলিতে  অধোগত হয় তাকে এলুভিয়েশন বলে । ইহা দুই প্রকারের যথাঃ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক । এলুভিয়েশনের  হার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল । 


** হিউমাস (Humas) কি ? 

উঃ হিউমাস হলো একটি কালো বাদামি রঙের সমসত্ত্ব ও পচনক্রিয়া প্রতিরোধক্ষম জটিল কলয়ডাল পদার্থ, যা মাটির মধ্যে থাকা জীব দেহ ও জীবাণু দেহ নিঃসৃত উৎসেচক দ্বারা জারিত হয়ে তৈরি হয় । শ্বেতসার, প্রোটিন, ফ্যাট, মোম, রজন প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত হিউমাস হলো মাটির একটি উপাদান । 


** মৃত্তিকার স্তরায়ন বা পরিলেখ কাকে বলে 

উঃ অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্ট পরিণত বা আদর্শ মাটির পৃষ্ঠদেশ থেকে নিচে মূলশিলা বা আদি শিলাস্তর পর্যন্ত লম্বচ্ছেদ করলে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালভাবে কয়েকটি স্তর গড়ে উঠতে দেখা যায়, একে মৃত্তিকা পরিলেখ বলে । প্রখ্যাত রাশিয়ান ভূবিজ্ঞানী ডকুচায়েভ (Vasily Vasilyevich Dokuchaev) এর ধারণা থেকে 'Soil Profile' এর কথা জানা যায় । একাটি পরিণত মৃত্তিকা স্তরায়নে A, B, C এই তিনটি স্তর বিদ্যমান । 



** জলের স্থিতিপুঞ্জ (Water Stable Aggregate) কি ? 

উঃ কোন অঞ্চলের নিয়মিত বাষ্পীভবন ও বৃষ্টিপাতের সামঞ্জস্যের ফলে ভৌম জলস্তর মাটির অগভীর অংশে অবস্থান করায় অনেক সময় উদ্ভিদ গ্রহণ উপযোগী জল মাটিতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী স্থিতিশীল ভাবে অবস্থান করে, জলের এই বিশেষ অবস্থানকে জলের স্থিতিপুঞ্জ বলে । ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতার সাথে WSA হ্রাস পায়, তাই বেশিরভাগ ফসলের প্রস্তাবিত মূল অঞ্চলে (উদাঃ 0-15 সেমি, 0-20 সেমি) পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে স্থিতিপুঞ্জ নির্ধারণ করা হয় । 


** Hard Pan কাকে বলে ? 

উঃ উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে অধঃক্ষেপন অপেক্ষা বাষ্পীভবন বেশি হওয়ার ফলে ভৌম জল কৌশিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠে আসে এবং সেইসঙ্গে A স্তর থেকে সিলিকা, অ্যালুমিনিয়াম ও কাদা জাতীয় কলয়েড পদার্থ B স্তরের B2 হরাইজনে জমে যে শক্ত, অদ্রবণীয় কলয়েডের স্তর সৃষ্টি করে তাকে হার্ড প্যান বলে । ইহা সাধারণত ভূপৃষ্ঠের 2-4 মিটার গভীরতায় বিস্তৃত । ইহা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যথাঃ Caliche, Claypan, Fragipan, Plowpan, Traffic pan ইত্যাদি । 


** জীব ভর (Biomass) কাকে বলে ? 

উঃ কোন একটি বাস্তুতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থিত সব জৈব বস্তুর মোট ভর বা পরিমাণের সংখ্যাগত হিসেবকে জীবভর বলে । মোট ঘনত্ব হিসেবে জীবভর প্রকাশ করা হয় । উদাঃ কোন একটি বনাঞ্চলে প্রতি বর্গমিটারে যতটা কাষ্ঠ বা শুকনো পাতা পাওয়া যায় তা হল ঐ অঞ্চলের জীবভর । পরিবেশের সামগ্রিক জীবভরের 80% গৃহস্থালীর কাজে, 18% শিল্প ক্ষেত্রে এবং 2% জীবভর শক্তি পরিবহন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । 


&* Tyranopolis কাকে বলে ? 

উঃ নগর গঠনের যে পর্যায়ে অনেক রূপে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যার প্রভাবে প্রশাসনযন্ত্র অচল হতে থাকল আর্থিক সংকট গ্রস্থ জনগণ নগর পরিত্যাগের প্রস্তুতি নেয়, ফলে শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা ক্ষেত্রে মন্দা দেখা দেয় সেই পর্যায় কে আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী মামফোর্ড (Lewis Mumford) টিরানোপলিস নামে অভিহিত করেন । মামফোর্ড এর শহর বিভাজনের এটি পঞ্চম অবস্থা, যা আধোগতির অর্থসূচক ।

ভৌগোলিক সালানুক্রম|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

 1861- ম্যাকিন্ডার জন্মগ্রহণ করেন । 

1864- জি.পি.মার্স তাঁর "Man and Water" গ্রন্থ প্রকাশ করেন । 

1865- জার্মান ভৌগোলিক অস্কার পেশেল এঁর "Geschichte der Erdkunde" প্রকাশিত হয় ।

1865- বৃটিশ ভূগোলবিদ এ.জে. হার্বার্টসন এঁর জন্ম । 

1866- জার্মান ভৌগোলিক সিগফ্রিড প্যসার্জ এঁর জন্ম । 

1866- রেক্লু এঁর প্রধান গ্রন্থ "La Terr"প্রকাশিত হয় । 

1868- ফরাসি ভূগোলবিদ জ্যঁ ব্রুঁস এঁর জন্ম । 

1869- আর্নেস্ট হেকেল প্রথম ব্যাখ্যা সহ বর্তমান অর্থে 'Ecology' শব্দটি ব্যবহার করেন । 

1869- সুয়েজ খাল খনন শেষ হয় । 

1870- জার্মান ভৌগোলিক অস্কার পেশেল এঁর   "New problem der vergleich enden Erdkunde als versuch einer morphology der erdoberflacheerdoberflache " প্রকাশিত হয় । 

1870- ফ্রান্সে স্কুল স্তরে ভূগোল শিক্ষা শুরু হয় । 

1871- আটলান্টিক মহাসাগরের তলে টেলিগ্রাফ লাইন পাতা হয় । 

1871- টেলর 'Culture' শব্দের প্রথম সংজ্ঞা দেন । 

1872 - মহাসাগরগুলির তথ্য আহরণে প্রথমবার ব্রিটিশ জাহাজ চ্যালেঞ্জার জলে নামে । 

1872- অটো স্লুটারের জন্ম । 

1872- ফরাসি ভূগোলবিদ অ্যালবার্ট ডেমানজিওন এঁর জন্ম । 

1872- ভারতে লোক গণনা শুরু হয় । 

1873- জাপানে লোক গণনা শুরু হয় । 

1873- ফরাসি ভূগোলবিদ ইমান্যুয়েল ডে মার্তোনির জন্ম । 

1875-94- রেক্লু এঁর "Nouville Geographie Universelle" গ্রন্থ 19 খন্ডে প্রকাশিত হয় । 


1876- G.K.Gilbert সর্বপ্রথম 'Grade' শব্দটি ব্যবহার করেন । 

1876- ভৌগলিক Peschel মৃত্যু বরণ  করেন ।   

1877- Huxley 'ভূপ্রকৃতি' অর্থে 'Physiography' শব্দ ব্যবহার করেন । 

1877- ফরাসি ভূগোলবিদ পল ব্লাঞ্চর্ড  এঁর জন্ম । 

 

1877- ফরাসি ভূগোলবিদ হেনরি বাউলিং এঁর জন্ম । 

 

1877- ভারতে Value Payable (V.P) চালু হয় । 

 

1880- এশিয়ায় 10 টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলের অধ্যাপনা শুরু হয় । 

1880- ফরাসি ভূগোলবিদ ম্যাক্সমিলিয়েন সর  এঁর জন্ম । 



1881- ভারতে টেলিফোন ব্যবস্থার সূচনা হয় । 

1882- Fredrick Ratjel এঁর "Anthropogeography" গ্রন্থের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ।

1882- ফরাসি সমাজ তাত্বিক ফ্রেডরিক ল্য প্লে এঁর মৃত্যু ।

1883- ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপক রোসি-ফেরল স্কেল আবিষ্কার হয় । 

1884 - ব্রিটিশ রসায়নবিদ ডিটমার সমুদ্র জলের লবণতার গড় মাত্রা নির্ণয় করেন । 

1884- ভন হফ্ট এঁর ধারণা প্রকাশিত হয়।

1885- ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে । 

1885- জে. উইমার এঁর "Historische Landscheft Skunde" গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ।

1885- ভারতে সেভিংস ব্যাঙ্ক খোলা হয়।

1885- হাল্ট্ 'Succession' শব্দটি ব্যবহার করেন ।

ভূগোল প্রশ্নোত্তর -3 GEOGRAPHY|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS



** ফ্যাটেনিং (Fattening) কি ? 

উঃ প্রধানতঃ নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি অঞ্চলে গবাদিপশুগুলোকে প্রথমে নরম দীর্ঘ তৃণ যুক্ত ভূমিভাগে প্রতিপালন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে গবাদিপশুগুলো একটু বড়ো হলে নিকটবর্তী ভুট্টা বলয়ে স্থানান্তরিত করা হয়, ফলে চারণভূমির পৌষ্টিক খাদ্যের প্রভাবে গবাদিপশুগুলো মাংশল হয় । এরকম পরিবর্তিত পশুচারণ ক্ষেত্র নির্ভর পশুপালন পদ্ধতিকে ফ্যাটেনিং বলে । মাংস উৎপাদন শিল্পে যুক্ত ফার্মগুলিতে এরুপ ব্যবস্থা ব্যপক জনপ্রিয় । 


**শিল্পায়ন কাকে বলে ? 

উঃ মানবীয় জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য যখন কোন দেশ বৃহৎ সম্পদনীতি গ্রহণ করে সুপরিকল্পিতভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোন ব্যপক অঞ্চলজুড়ে শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত হয়ে শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলে তখন তাকে শিল্পায়ন বলা হয় । স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এই শিল্পায়নের মধ্য দিয়েই উন্নয়নশীল ভারত অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়েছে । বিশ্বের শিল্প ব্যবস্থায় শিল্পায়নের সূচনা হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে এবং ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বিশ্বে দ্বিতীয় শিল্পায়ন সূচিত হয় । 


** আন্তর্জাতিক কার্টেল কি ? 

উঃ যে সামগ্রিক ব্যবস্থায় একচেটিয়াভাবে উৎপাদিত কোন পণ্যের উৎপাদক সংস্থা অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ ওই পণ্যের যোগানকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে তাদের নিজের যৌথ মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সামর্থ হয় সেই ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক কার্টেল বলে । Organization of Petroleum‐Exporting Countries (OPEC) হল এরুপ একটি প্রথম সারির আন্তর্জাতিক কার্টেল, যার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি অপরিশোধিত খনিজ তেলের মূল্য নির্ধারণে সক্ষম । বর্তমানে বিশ্বে 1300 এর অধিক সংখ্যক আন্তর্জাতিক কার্টেল রয়েছে এবং প্রতি বছর গড়ে 75 টি করে নতুন আন্তর্জাতিক কার্টেল গড়ে উঠছে । বিশেষজ্ঞ John M. Connor (Professor emeritus at Purdue University) এর মতে 2026 পর্যন্ত বিশ্বে 2400 টি আন্তর্জাতিক কার্টেল গড়ে উঠবে । 


**  শিল্প জাড্য কি ? 

উঃ শিল্প স্থাপনের প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে কোন শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে সেই অনুকুল সুবিধাগুলি পরবর্তীকালে না থাকা সত্বেও যদি সংশ্লিষ্ট শিল্পটির স্থানান্তরণ না ঘটে তবে শিল্পের সেই অবস্থাকে শিল্প জাড্য বলে । উদাহরণ হিসাবে শেফিল্ড ইস্পাত কেন্দ্রটিকে ধরা যায় । শিল্পাঞ্চলটির উদ্যোগিক পর্বের সমস্ত আকরিক বা শক্তির পরিমাণ হ্রাস পেলেও স্থানান্তরণ ঘটেনি । 


**  আমল্যান্ড (Umland) কাকে বলে ? 

উঃ আমল্যান্ড হল কোন নগরের চতুষ্পার্শ্বে অবস্থিত সেই ক্ষেত্র যা বিভিন্ন আর্থিক বা সাংস্কৃতিক কারণে ঐ নগর থেকে প্রভাবিত এবং কার্যাত্মক রুপে সমন্বিত । ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী Ander Allix 1914 সালে সর্বপ্রথম অন্তঃস্থ নগরের পার্শ্ববর্তী এলাকাকে চিহ্নিত করে 'Umland' পরিভাষা ব্যবহার করেন । 'একটি অভ্যন্তরীণ শহরের (Lyon শহর) অর্থনৈতিক ক্ষেত্র বর্ণনা করতে' Umland শব্দটি জার্মান ভাষা থেকে তিনি গ্রহণ করেন যার আক্ষরিক অর্থ “Land Around” । ডঃ হিটলসী (1954) এর মতে 'নগরের চতুষ্পার্শ্বে 48-64 কিঃমিঃ বিস্তৃত সহায়ক ক্ষেত্রকে আমল্যান্ড বলে ।' 



**  মেধা প্রাচার (Brain Drain) কি ? 

উঃ সাধারনতঃ অন্যান্য দেশে অপেক্ষাকৃত উন্নত সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের জনসংখ্যার উচ্চশিক্ষিত, বুদ্ধিমান এবং বিভিন্ন পেশায় দক্ষ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ অংশের বহিরাগমন বা অন্য দেশে পরিব্রাজন কে মেধা প্রাচার বলা হয় । এরুপ পরিব্রাজন স্বেচ্ছামূলক বা আমন্ত্রণমূলক উভয়ই হতে পারে । ইহা Human Capital Flight নামেও অভিহিত যা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধক । যেমনঃ বর্তমানে গুগুলের সর্বেসর্বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুন্দর পিচাই ভারতের ক্ষেত্রে মেধা প্রাচার এর অন্যতম প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।


**  বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা কি ? 

উঃ যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের সমস্ত Port Trust, NHAI, Indian Rail এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সংস্থা দঃ-পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলোকে চার চ্যানেল বিশিষ্ট রাজপথ ও রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে তা বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা নামে অভিহিত । 2005 সালে পরিকল্পনাটির সূচনা হয় । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলদিয়া, পারাদ্বীপ, বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, এণ্ণোর ও তুতিকোরিন প্রভৃতি 12 টি বন্দরকে 1133 কিঃমিঃ নতুন সড়কপথ দ্বারা সংযুক্তির কাজ চলছে । 


**  খোয়াই কি ? 

উঃ জল প্রবাহের রিলক্ষয় ও খাতক্ষয় দ্বারা সংঘটিত বিশেষ ধরনের এক মৃত্তিকা ক্ষয়কে বলা হয় খোয়াই । চম্বল উপত্যকা, অরবল্লীর পূর্ব অংশ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কিয়দাংশ এর দ্বারা প্রভাবিত । জল প্রবাহের রিলক্ষয় ও খাতক্ষয়, মাটির আলগা গঠন, কৃষিক্ষেত্রে জল প্রবাহের অনুপ্রবেশ খোয়াই এর নিয়ন্ত্রক । অজয়, ময়ূরাক্ষী এবং তাদের শাখা নদীগুলির এরুপ বৈচিত্রময় ক্ষয়ের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এরুপ ভূমিরূপের বিকাশ সুস্পষ্টভাবে লক্ষণীয় । 


** সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ কি ? 

উঃ যে প্রকার অভিক্ষেপে একটি নির্দিষ্ট স্কেলে ভূপৃষ্ঠের দুটি স্থানের ও মানচিত্রের দুটি বিন্দুর দূরত্বের আনুপাতিক হারকে সঠিক রাখার জন্য অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের জাল গঠন করা হয় তাকে সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ বলে । যেমনঃ Polar Zenithal Equidistant Projection . 


** ট্রানজিট চার্ট কি ? 

উঃ :- কোন ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির মধ্যে সম্পর্ক নিরুপনের জন্য যে তালিকা বা চার্ট তৈরি করা হয় তাকে ট্রানজিট চার্ট বলে । এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতির সাথে পরিবহন ও জনবসতি প্রভৃতি অর্থ-সাংস্কৃতিক বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক জানা যায় । 1890 এর দশকে পরিবহন ক্ষেত্র এর মাধ্যমে এরুপ চার্ট এর প্রারম্ভ ঘটে ।

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...