Thursday, 15 October 2020

শিখন : প্রভাবক উপাদান|CHILD PSYCHOLOGY

@ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রধান চারটি প্রতিবন্ধক কিকি ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রধান চারটি প্রতিবন্ধক হল :- i. শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা প্রাপ্ত বাধা, ii. শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত বাধা, iii. কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাধা এবং iv. অভিভাবকদের থেকে প্রাপ্ত বাধা, ইত্যাদি । 



# সহযোগিতামূলক শিখনের উপাদানগুলি কিকি ? 

উঃ সামাজিক মনোবিদ David W. Johnson এবং Roger T. Johnson 1994 সালে প্রকাশিত "Learning Together and Alone" গ্রন্থে সহযোগিতামূলক শিখন সংক্রান্ত পাঁচটি উপাদানের কথা উল্লেখ করেন, যথাঃ A) ধনাত্মক আত্মনির্ভরশীলতা, B) ব্যক্তিগত ও দলগত দায়বদ্ধতা, C) সম্মুখ আত্মসম্পর্ক, D) সামাজিক দক্ষতা এবং E) দলগত প্রক্রিয়া ইত্যাদি । 



* সহযোগিতামূলক শিখন কয় প্রকার ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখন মূলতঃ দুই প্রকার, যথাঃ A) প্রথাগত সহযোগিতামূলক শিখন :- এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা দলগত লক্ষ্য পুরনার্থে সুসংগঠিত সহযোগিতামূলক শিখন প্রক্রিয়া সম্পাদন করে । B) অপ্রথাগত সহযোগিতামূলক শিখন :- এক্ষেত্রে পরোক্ষ শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে সম্পূর্ণ পাঠক্রম ধরে অথবা একক পাঠ দানের শেষে বিষয় সমূহকে আলোচনা করা হয় । 



@ সহযোগিতামূলক শিখনের গুরুত্ব কি ? 

উঃ সহযোগিতামূলক শিখনের প্রভাবে i. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাজের প্রতি প্রেষণা বাড়ে, ii. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তনির্ভরতা বৃদ্ধি পায়, iii. শিক্ষার্থীর সৃজন প্রতিভা বিকশিত হয়, iv. সহযোগিতামূলক কাজের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, v. শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ প্রশমিত হয়, vi. শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি । 



# বন্ধু বা সহপাঠী শিক্ষণ (Peer Tutoring) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ যে শিখন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী অন্য কোন সহপাঠীর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাকে বন্ধু বা সহপাঠী শিক্ষণ বলে । এটি শিক্ষণ, শিখন নয় । 'শিক্ষণ মানে দু'বার শেখা'- Whitman(1998) । 




* সহপাঠী শিক্ষণ কয় প্রকারের হয়ে থাকে ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণ দুই প্রকারের হয়ে থাকে, যথাঃ A) বেশি বয়সের বন্ধুশিক্ষণ (Cross-age Peer Tutoring) এবং B) সমবয়সী বন্ধুশিক্ষণ (Same-age Peer Tutoring) । 




# সহপাঠী শিক্ষণের বৈশিষ্টগুলি কিকি ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণ ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্টগুলি হল :- i. এই ধরনের শিক্ষণে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থী শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে । ii. এই ধরনের শিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা থাকে অপ্রত্যক্ষ । iii. এখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং শিক্ষানবিশ এর মধ্যে পারষ্পরিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে । iiv. এই ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতি বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম, ইত্যাদি । 



* সহপাঠী শিক্ষণের শিক্ষাগত তাৎপর্য কি ? 

উঃ সহপাঠী শিক্ষণের শিক্ষাগত তাৎপর্যগুলি হল :- i. সহপাঠী কর্তৃক শিক্ষণ ব্যবস্থায় নির্বাচিত শিক্ষক (শিক্ষর্থীটি) আত্মবিশ্বাস অর্জন করে এবং তার দ্বায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায় । ii. শ্রেণিশৃঙ্খলা বজায় এর মাধ্যমে পারষ্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হয় । iii. একটি দলের চিন্তাধারা অন্য দলে সঞ্চারিত হয় । iv. শিক্ষার্থীদের পারষ্পরিক মিথস্ক্রিয়া উন্নত হয় এবং সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় । v. এরুপ শিক্ষণে শিখন দ্রুত হয়, মান উন্নত হয়, শিক্ষার্থীর অবাঞ্ছিত আচরণের উন্নতি ঘটে । vi. শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন অভিমুখী প্রেষণা সঞ্চারিত হয় এবং শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রেণি শৃঙ্খলা বজায় থাকে । 



@ বন্ধু শিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা কি হবে ? 

উঃ বন্ধু শিক্ষণে শিক্ষক :- i. সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার তত্বাবধায়ক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে । ii. প্রক্রিয়াটিতে শিক্ষক একই সাথে নির্দেশক ও পর্যবেক্ষক । iii. শিক্ষার্থীদের ত্রুটি নির্ণায়ক এবং তার সংশোধক । iv. বিষয়বস্তর নির্বাচকও । 



* বন্ধু শিক্ষণ উন্নত করার কৌশলগুলি কিকি ? 

উঃ Sinclair Goodlad & Beverley Hirst 1989 সালে প্রকাশিত "Peer Tutoring: A Guide to Learning by Teaching" নামক গ্রন্থে এবং Jenkins & Jenkins 1987 সালে (আফ্রিকান-আমেরিকান মনোবিদ Adelbert H. Jenkins & আমেরিকান মনোবিদ James Jerome Jenkins) বন্ধু শিক্ষণকে উন্নত করার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, যেমনঃ i. এক্ষেত্রে Cross-age Tutoring এর ব্যবস্থা অধিক কার্যকরী হতে পারে, কারণ Same-age Tutoring এ অনেকসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসম মনোভাব তৈরি হতে পারে । ii. এই ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য দিনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে এবং বিষয়বস্তকেও নির্ধারন করে দেওয়া আবশ্যক । iii. শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয় ভূমিকাই পালন করতে দিতে হবে যাতে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি না হয় । iv. এরুপ শিক্ষণ কালে তত্বাবধানের জন্য শিক্ষক/শিক্ষিকার উপস্থিতি আবশ্যক । v. শ্রেণিকক্ষে অধিক বন্ধু শিক্ষণ না করাই ভাল নতুবা এই পদ্ধতি গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের জানানো উচিৎ ।

No comments:

Post a Comment

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...