Saturday, 29 August 2020

প্রাকৃতিক ভূগোল ছোট প্রশ্ন ও উত্তর

1. পৃথিবীর স্তর বিন্যাসের সবথেকে হালকা পদার্থ দ্বারা গঠিত স্তরটি হল- ভূত্বক।

2. মহাসমুদ্রের তলায় ভূত্বকের বিস্তার- 5-10 কিমি।

3. সিয়াল ও সিমা যথাক্রমে যে শিলা দ্বারা গঠিত — গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট।

4. সিয়াল ও সিমার মধ্যে বিযুক্তি রেখা অবস্থিত -কনরাড বিযুক্তি।

5. মোহো বিযুক্তি রেখা পৃথক করেছে যে দুটি স্তরকে– ভূত্বক ও উদ্ধ গুরুমণ্ডল।

6. উর্ধ্ব ও নিম্ন গুরুমণ্ডলের মধ্যে অবস্থিত –র্যাপিটি বিযুক্তিরেখা।

7. বহিঃকেন্দ্র মণ্ডল ও নিম্ন গুরুমণ্ডলের মধ্যে অবস্থিত বিযুক্তিরেখা– গুটেনবার্গ।

৪. লেম্যান বিযুক্তিরেখার অবস্থান — অন্তঃ ও বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল- এর মাঝে।

9. র্যাপিটি বিযুক্তিরেখার গভীরতা– 700 km

10. গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখার গভীরতা– 2900 km

11. লেহম্যান বিযুক্তিরেখার গভীরতা — 5150 km

12. কনরাড বিযুক্তিরেখার আপেক্ষিক ঘনত্ব কত– 2.8 – 3 গ্রাম/ঘন সেমি।

13. মোহো বিযুক্তি রেখার আপেক্ষিক ঘনত্ব – 3.3-3.4গ্রাম/ঘনসেমি।

14. গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখার আপেক্ষিক ঘনত্ব – 5.5-10 গ্রাম/ঘনসেমি।

15. লেম্যান বিযুক্তিরেখার আপেক্ষিক ঘনত্ব–12.3-13.3 গ্রাম/ঘনসেমি।

16. নিফেসিমা ও ক্রোফেসিমা সম্পর্কিত –গুরুমণ্ডলের সঙ্গে।

17. সিয়াল ও সিমা সম্পর্কিত — ভূত্বকের সঙ্গে।

18. উর্ধ্ব গুরুমণ্ডল পরিচিত– ক্রোফেসিমা নামে।

19. নিফেসিমার গভীরতা কত — 700 – 2900 km

20. র্যাপিটি– 700 km ,গুটেনবার্গ— 2900 km , লেম্যান — 5150 km

21. সঠিক ক্রম — মোহো, র্যাপিটি, গুটেনবাৰ্গ, লেম্যান

22. বহিঃ ও অন্ত কেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা যথাক্রমে — 5150 3 6371 km

23. ‘S’ তরঙ্গ যে স্তরে অদৃশ্য হয়ে যায়– কেন্দ্রমণ্ডল।

24. ক্রোফেসিমার উপাদানগুলি যথাক্রমে — ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম।

25. কেন্দ্রমণ্ডলকে সংক্ষেপ বলা হয়– নিফে ।

26. মহাদেশীয় পাত যে শিলা দ্বারা গঠিত — গ্রানাইট।

27. মহাসাগরীয় পাত যে শিলা দ্বারা গঠিত — ব্যাসল্ট।

28. ভূঅভ্যন্তরে স্তর আছে– 3 টি।

29. জলের উৎস হল– শিলামণ্ডল।

30. সিয়াল — মহাদেশীয় ভূত্বক গঠন করে । সিমা -মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠন করে।

31. প্রবক্তার নামানুসারে- রেখাগুলির নামকরণ করা হয়েছে।

32. সিয়াল ও সিমা যথাক্রমে যে জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত– গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট।

33. সিয়াল ও সিমার প্রকৃতি যথাক্ৰমেঃ– আম্লিক ও ক্ষারকীয়।

34. M বিযুক্তিতলের অপরনাম — মোহো।

35. যে বিজ্ঞনী প্রথম লক্ষ্য করেন ভূত্বকের মহাদেশীয় অংশ গ্রানাইট ও মহাসাগরীয় অংশ ব্যাসল্ট শিলায় তৈরি –এডওয়ার্ড সুয়েস।

36. গুটেনবার্গ বিযুক্তি রেখা : বেনো গুটেনবার্গ : 1912 খ্রীস্টাব্দ।

37. অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলে ‘P’ তরঙ্গের গতিবেগ 11-23 কিমি/সেকেণ্ডে।

38. P ও S তরঙ্গের ব্যাপক গতি বিক্ষেপ ঘটে যে বিযুক্তিরেখায়– ওল্ডহাম।

39. গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখায় P তরঙ্গের গতিবেগ সেকেণ্ডে — 13.6 কিমি।

40. শীল্ড হল- (ক) অতিপ্রাচীন স্থায়ী ভূ-খণ্ড (খ) প্রিক্যামবিয়ানযুগে গঠিত (গ) পৃথিবীতে 11 টি শীল্ড অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে।

41. ক্রেটন- ভূত্বকের অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল অংশ।

ইহা– কেলাসিত শিলা দ্বারা গঠিত।

এখানে- মৃদু তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।

প্ল্যাটফর্ম –ক্রেটনের একটি অংশ।

42. মহীভাবক ও গিরিজনী আলোড়নকে সম্মিলিত ভাবে ডায়াস্ট্রফিজম বলেছেন –গিলবার্ট।

43. মহীভাবক ও গিরিজনী আলোড়ন, ইউস্ট্যাটিক আলোড়ন,সমস্থিতিক আলোড়ন হল–অন্তঃর্জাত প্রক্রিয়া।

44. বহিঃর্জাত প্রক্রিয়া হল- পুঞ্জিত ক্ষয়।

45. অ্যাসথেনোস্ফিয়ার –ভূ-ত্বক ও গুরুমন্ডলের সন্ধি এলাকায় অবস্থিত।

এটি- সান্দ্র, উয়, দুর্বল স্থিতিস্থাপক স্তর।

এটি– পরিচলন তাপস্রোতের চালিকা শক্তি।

46. ভূঅভ্যন্তরে প্রতি 32 মিটারে –1°C হারে তাপমাত্রা বাড়ে।

47. ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব –6370 km

48. দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত পৃথিবীর গভীরতম খনির (সোনা) গভীরতা — 3–4 km

49. শিলামণ্ডলের গড় গভীরতা কত –100 km

50. পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে– বহিঃকেন্দ্র মণ্ডলে।

51. যে বিজ্ঞানে শিলার সমগ্র ক্রিয়া, বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি প্রভৃতি আলোচনা করা হয় তাকে বলা হয়– পেট্রোলজি।

52. পেট্রো একটি – গ্রীক শব্দ, যার অর্থ শিলা।

53. পৃথিবীতে প্রায় 1000 খনিজ পদার্থ আছে এর মধ্যে–10 টি।

54. “সমস্ত শিলার জনক’ বলা হয় –আগ্নেয় শিলাকে।

55. আগ্নেয় শিলা –স্তরীভূত শিলা।

ইহা -স্ফটিকাকার।

এর-ভঙ্গুরতা কম।

56. নিঃসারী শিলা : লাভা শিলা ও পাইরোক্লাস্ট।

উদভেদী শিলা : পাতালিক ও উপপাতালিক।

57. পাইরোক্লাস্ট এর উদাহরণ হল- টাফ।

58. প্রকৃত জমাটবন্ধ হওয়ায় নিঃসারী শিলার কণাগুলি– খুবই সূক্ষ্ম।

অতি ধীর গতিতে শীতল হওয়ায় উদবোধী শিলার কণাগুলির — আকার বড় হয়।

59. আম্লিক শিলায় সিলিকা ও ক্ষারকীয় অক্সাইডের পরিমান যথাক্রমে– 65% ও 35%

60. গ্ৰথন অনুযায়ী আগ্নেয় শিলাকে—5 ভাগে ভাগ করা যায়।

61. গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট শিলায় গঠিত পাহাড়ের চূড়াগুলি যথাক্রমে, — গোল ও চ্যাপ্টা ধরনের হয়।

62. পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য -(a) ইহা স্তরীভূত (b) জীবাশ্ম দেখা যায় (c) সছিদ্রতা (d) স্ফটিক অনুপস্থিত।

63. রুপান্তরিত রুপ- গ্রানাইট > নিস , আগইট > হর্নরেন্ড , ব্যাসল্ট > অ্যাম্ফিবোলাইট।

64. রুপান্তরিত রুপ- (ক) বেলে পাথর > কোয়ার্টজাইট

(খ) চুনা পাথর > মার্বেল

(গ) কাদাপাথর > শ্লেট

65. গ্রাব্রোর রুপান্তরিত রুপটি হল– সাপেন্টাইট

66. নাইস > ফিলাইট, ফিলাইট > শিস্ট এটি -রুপান্তরিত শিলা থেকে সৃষ্ট রুপান্তরিত শিলা.

67. নীচের কোনটি চিহ্নিত করো।

কোয়ার্টজাইট , মার্বেল, বেলেপাথর . শ্লেট –এখানে বিজাতীয় হল- বেলেপাথর।

68. ভূগর্ভে চাপের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হলে শিলার যে জাতীয় রুপান্তর ঘটে–গতিশীল।

69. বেলেপাথর শিলায় — খনিজ তেল সঞ্চিত থাকে।

70. নিঃসার আগ্নেয় শিলার উদাহরণ– ব্যাসল্ট।

71. উদবোধী আগ্নেয় শিলার উদাহরণ- গ্রানাইট।

72. উপপাতালিক আগ্নেয় শিলা হল- পরফাইরি ও ডোলেরাইট।

73. পাতালিক শিলা হল- গ্রানাইট ও গ্রাব্রো।

74. ডেকানট্রাপ –ব্যাসল্ট শিলায় গঠিত।

75. দিল্লীর লাল কেল্লা, উদয় গিরি খণ্ড, গিরি মন্দির,খাজুরাহ মন্দির,জয়সলমীরের সোনার কেল্লা যে শিলায় তৈরি — বেলেপাথর।

76. গোলাকার ভূপ্রকৃতি যে শিলা দ্বারা গঠিতঃ — গ্রানাইট।

77. বেলেপাথরের — প্রবেশ্যতা খুব বেশি।

কাদাপাথরের– সছিদ্রতা খুব বেশি।

78. প্রবেশ্যতা বেশি হলে জল ধারণ ক্ষমতা– হ্রাস ও সচ্ছিদ্রতা বেশি হলে জলধারণ ক্ষমতা– বৃদ্ধি পায়।

79. সৈন্ধব লবন — অসংঘাত শিলা ও –রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়।

80. খনিজের কাঠিন্য পরিমানের স্কেলটি হল –মোহো স্কেল।

81. মোহো স্কেলে সর্বনিম্ন কাঠিন্যের খনিজটি হল -ট্যাল্ক।

82. শিলা —-সিলিকার পরিমাণ

1.আম্লিক—> 65%

2. মধ্যবর্তী—65 – 55%

3. ক্ষারকীয়— 55 – 45%

4. অতিক্ষারকীয়— 120° ।

103. দোকোলম ভাঁজ দেখা যায় -জুরা পর্ব…

104. পশ্চাদ কর্ষন ভাজ সৃষ্টি হয়– কঠিন শিলাদ্বয়ের মধ্যস্থিত নরম শিলার যুগ্ম বলের প্রভাবে।

105. আবৃত ভাজে বাহুদুটি হেলে থাকে– ভিন্ন কোণে ।

106. শেভরন ভাজ দেখতে অনেকটা আকৃতির — V

107. একনত ভাজ গঠিত হয় — চাপ পীড়নের ফল।

108. যে ভাজের অক্ষতল অনুভূমিক তলের সঙ্গে প্রায় সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করে তাকে— শায়িত ভাজ বলে।

109. দার্জিলিং হিমালয় যে ভাজের উদাহরণ— শায়িত।

110. একনত ভাজ সৃষ্টি হয়– সংকোচনের ফলে।

111. ভাজের জ্যামিতিক উপাদান –গ্রন্থি ও গ্রন্থিরেখা।

112. যে বলের প্রভাবে কোমল পাললিক শিলাস্তরে ভাজ পড়ে– সংনমন।

113. প্রাকৃতিক উধ্বভঙ্গ গুলি—পর্বত রূপে অবস্থান করে।

114. স্তরায়ন তল ও অনুভূমিক তল যে রেখা বরাবর পরস্পরকে ছেদ করে তাকে তাকে বলা হয়–আয়াম।

115. শিলাস্তরের নতি ও আয়াম—ক্লাইনেমিটার যন্ত্রের সাহায্যে পরিমান করা হয়।

116, প্রতিসম ভাজে – বল সমান ও উভমুখী হয়।

117. ভাজযুক্ত শিলাস্তরে অনুগামী নদী সৃষ্টি হয়– ভূমির প্রাথমিক ঢাল অনুযায়ী।

118. অধোভঙ্গের মধ্য দিয়ে ভূমির ঢাল অনুসারে প্রবাহিত নদীকে বলা হয়–অনুদৈর্ঘ্যনদী।

119. চুতির ফলে শিলাস্তরের কোনো অংশের অনুভূমিক বা পাশ্বীয় ব্যবধানকে বলে– ব্যবধি

120. অনুলোম চুতি দ্বয়ের মধ্যবর্তী অবনত অংশকে বলে– সংস্র উপত্যকা

121. বিলোম চুতি দ্বয়ের মধ্যবর্তী অবনত অংশকে বলে– র্যাম্প উপত্যকা।

122. দুটি সমান্তরাল চু্যতির মধ্যবর্তী অংশ যে উচ্চভূমি গঠন করে তাকে বলে–হোস্ট।

123. দুটি তির্যক চুতির মধ্যবর্তী উত্থিত ভূখণ্ডকে বলে– স্তুপ পর্বত।

124. ন্যাপের যে অংশ মূল শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করে তাকে কী বলে– ক্লিপে।

125. পাদমূল প্রাচীর অপেক্ষা ঝুলন্ত প্রাচীর নিচের দিকে বসে গেলে –অনুলোম চ্যুতি উৎপন্ন হয়।

ঝুলন্ত প্রাচীর পাদমূল প্রাচীরের উপরে উর্ধ্বে উঠে এলে –বিলোম চ্যুতি সৃষ্টি হয়।

126. যদি বিলোম চ্যুতির চ্যুতিতলের নতি –45°ডিগ্রীর কম হয় তখন তাকে থ্রাস্ট চ্যুতি বলে।

127. বিজাতীয় চিহ্নিত করো (ক) সমান্তরাল চ্যুতি (খ) সোপান চ্যুতি (গ) পরিধি চ্যুতি (ঘ) অরীয় চ্যুতি —

(খ) সোপান চ্যুতি

128.নতি স্থলন চ্যুতিতে প্রকৃত স্থলন ও নতি স্খলনের পরিমাণ–সমান।

129. যে চ্যুতিতে চ্যুতিরেখাগুলি বৃত্তীয় বা বৃত্তচাপীয় ধরনের হয়– পরিধি চ্যুতি ।

130. একই বিন্দুতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রবিমুখ চ্যুতি গোষ্ঠীকে বলে- -অরীয় চ্যুতি।

131. বিলোম চ্যুতির সৃষ্টি হয় —-চাপপীড়ন এর ফলে।

132. অরীয় চ্যুতিতে চ্যুতিরেখা গুলি ——কেন্দ্রবিমুখ অবস্থায় থাকে।

133. চ্যুতির জ্যামিতিক উপাদান হল-ব্যবধি।

134. বিলোম চুতি যে বলের প্রভাবে সৃষ্টি হয়– সংনমন।

135. যে চ্যুতির মাধ্যমে খরস্রোতের সৃষ্টি হয়–সোপান চ্যুতি।

136. কাশ্মীর হিমালয়ের পিরপাঞ্জাল থ্রাস্ট হল- সংঘট্ট চ্যুতি।

137. স্খলিত শিলাস্তরের যে অংশ চুতির ওপর অবস্থান করে তাকে বলে— ঝুলন্ত প্রাচীর।

138. যে চ্যুতির ক্ষেত্রে ভূমিধসের সম্ভবনা বেশি– বিলোম।

139. রাইন নদীর উপত্যকায় যে চ্যুতি দেখা যায়– অনুলোম।

140. অমিল পৃথক করো (ক) বিমিশ্র চ্যুতি রেখা ভৃগু (খ) বিপরা চ্যুতি রেখা ভৃগু (গ) চ্যুতি ভৃগু (ঘ) পুনর্ভবা চ্যুতিরেখা ভৃগু। —(গ) চ্যুতি ভৃগু।

141. বিমিশ্র চ্যুতিরেখা ভৃগুতটের উল্লেখ করেন বিজ্ঞানী– কটন।

142.বিলোম চ্যুতিতে চ্যুতিতলের নতির মান 45° বা তার বেশি হয়।

143. বৈষম্যমূলক ক্ষয়কার্যের ফলে প্রাচীন চুতি, খাড়াতলের স্থানে যে নতুন খাড়াতলের সৃষ্টি হয় তাকে ডব্লু এম. ডেভিস ——চ্যুতিরেখা-ভৃগু বলে অভিহিত করেছেন।

144. চ্যুতিতল ও অনুভূমিক তলের মধ্যে উৎপন্ন কোণকে —-চ্যুতিতলের নতি বলে।

145. চ্যুতিকোণ ও চ্যুতিতলের নতির মধ্যে সম্পর্ক হল- পরস্পরের পরিপূরক।

146. শিলং মালভূমি একটি ——হোস্ট এর উদাহরণ।

147. যে অংশে গ্রস্থ উপত্যকা সৃষ্টি হয়——–অনুলোম চ্যুতিদ্বয়ের মধ্যবর্তী অংশে।

148. চ্যুতিরেখা ভৃগু সৃষ্টি হয়– বৈষম্যমূলক ক্ষয় কার্যের ফলে।

149. অগ্ন্যুৎপাতের সময় লাভার সঙ্গে ভূ-ত্বকীয় শিলার অংখ্য টুকরো নির্গত হলে তাকে -পাইরোক্লাস্ট বলে।

150. 4–32 মিমি ব্যাসের অধিক শিলাখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত পাইরোক্লাস্ট পদার্থকে ——টেপেরা বলে।

151.অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত লাভাখণ্ডের মোটামুটি ছিদ্র থাকলে তাকে —সিন্ডার এবং যথেষ্ট ছিদ্র থাকলে তাকে —–ল্যাপিলি বলে।

152. লাভা ও পাইরোক্লাস্ট উভয়ই চূর্ণ-বিচুর্ণ ও Cindery texture হলে ——স্কোরিয়াবলে।

153. আগ্নেয় ভস্ম যখন আগ্নেয়গিরির চারপাশে সিমেন্টের মতো জমাট বাধে তখন তাকে বলে–আগ্নেয় তুফ।

154. আগ্নেয় ভস্ম আগ্নেয়গিরির চারপাশে ঢালাই লোহার মতো দৃঢ়ভাবে যুক্ত হলে তাকে —ইগনিমব্রাইট বলে।

155. রায়োলাইট —–আম্লিক জাতীয় লাভা।

156. অগ্নেয়গিরি থেকে CO2 নির্গত হলে তাকে বলে–মফেতিস।

157. আগ্নেয়গিরি থেকে বোরিক অ্যাসিড নির্গত হলে তাকে বলে– স্যফিওনি।

158. “The valley of Ten thousand Smoke” নামে যে আগ্নেয়গিরি পরিচিত -আলাস্কার কাটমাই।

159. “পিলি কেশ’ নামে পরিচিত — হাওয়াই ধরনের আগ্নেয়গিরি।

160. জ্বালামুখের চারপাশে লাভা ঝামা ইটের ন্যায় কঠিন ভূত্বক সৃষ্টি করলে তাকে —— স্কোরিয়াসিয়াসবলে।

161. ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ বলা হয়– স্টোম্বলিয় ধরনকে।

162. যে শ্রেণির আগ্নেয়গিরি থেকে আগ্নেয় পদার্থ ফুলকপির মতো গাঢ় কালো মেঘ সৃষ্টি করে–ভলকান।

163. যে শ্রেণির অগ্নদগম সর্বাপেক্ষা ধ্বংসাত্মক–পিলি।

164. ধনাত্মক বা উন্নীত ভূমিরুপ নয়–ক্যালডেরা।

165. অবনত ভূমিরুপ –জ্বালামুখ ও ক্যালডেরা।

166. নিঃসারী (Extrusive) ভূমিরুপ–(ক) ব্যাথোলিথ (খ) স্ট্যাফ (গ) ডাইক।

167. পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বিধ্বংসী আগ্নেয়গিরি হল –মাউন্ট পিলি।

168. দড়ির মতো পাকানো লাভা প্রবাহকে বলে– পা হো হো।

169. ভস্মসঞ্চিত মালভূমিকে বলে– স্টেপটো।

170. সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আগ্নেয়গিরি আছে– জাপানে।

171. মাউন্ট এটনা যে ধরনের আগ্নেয়গিরির উদাহরণ– মিশ্র।

172. একটি কর্দম আগ্নেয়গিরি হল– সিন্ধুপ্রদেশের হিংলাজ।

173. উত্তল লেন্সের আকৃতি বিশিষ্ট উদ্ধমুখী উদবোধী আগ্নেয় অবয়বকে বলে–ল্যাকোলিথ।

174. চামচ বা সরার আকৃতি বিশিষ্ট উদবোধী অবয়বকে বলে –লপোলিথ।

175. ল্যাকোলিথ : হেনরি পর্ব ।

176. ফ্যাকোলিথ : কর্ডন পর্বত। লোপোলিথ : ডুলুথ গ্র্যারো।

177. ভারতের ডেকানট্রাপ অঞ্চলে দেখা যায়–ডাইক।

178. ভারতের প্রচুর পরিমাণে ল্যাকেলিথ দেখতে পাওয়া যায় ছোটোনাগপুর অঞ্চলে।

179. যে শ্রেণির অগ্লুদপাতের ফলে ডেকানট্রাপ গঠিত হয়েছে– বিদার।

180. সিডার বৃক্ষের ন্যায়–ল্যাকেলিথ।

181. ভূত্বক ও গুরু মণ্ডলের মাঝে যে বিযুক্তিরেখা তার নাম–কনরাড বিযুক্তি।

182. অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের অবস্থান –50 – 250 কিমি গভীরতায়।

183. P এবং S তরঙ্গের গতিবিক্ষেপ ঘটে–2900 কিমি।

184. S তরঙ্গ প্রবাহিত হতে পারে না– বহিঃগুরু মণ্ডলে।

185. ভূকম্পীয় ছায়া বলয়ের অবস্থান – 120–143 কিমি।

186. ভূত্বকের ঘনত্ব— 2.8 কিমি।

187. ভূত্বকের বিস্তার— 30–100 কিমি।

188. ভূঅভ্যন্তরে 2900 কিমি গভীরতায় উষ্ণতা –3700°C

189. বহিঃকেন্দ্র মণ্ডলের আপেক্ষিক ঘনত্ব– 10 – 12.3 গ্রাম / ঘনসেমি

190. P তরঙ্গ অন্ত কেন্দ্রমণ্ডল দিয়ে যে বেগে প্রবাহিত হয় 11.23 কিমি/সেকেণ্ড

191. কনরাড বিযুক্তি রেখাটি আবিস্কৃত হয়–1934 খ্রিস্টাব্দে

192. মোহো বিযুক্তি রেখাটি আবিস্কৃত হয় — 1909 খ্রিস্টাব্দ

193. ওল্ড হাম বিযুক্তি রেখার অপর নাম –গুটেনবার্গ বিযুক্তি

194. লেহম্যান বিযুক্তি রেখা আবিষ্কৃত হয়– 1936 খ্রিস্টাব্দ

195. মহাদেশের প্রাচীনতম ভূখণ্ড/শীল্ড যে যুগে গঠিত- প্রিক্যাম্বিয়ান।

196. ভারতের দাক্ষিনাত্যের মালভূমি অঞ্চল গঠিত –আগ্নেয় শিলা দিয়ে।

197. টাফ যে ধরনের শিলা– পাইরোক্লাস্ট।

198. একটি আম্লিক শিলার উদাহরণ হল— অবসিডিয়ান।

199. একটি মধ্যবর্তী শিলার উদাহরণ– পরফাইরি।

200. গ্যারো একটি কি ধরনের শিলা –ক্ষারকীয়।

201. একটি অতিক্ষারকীয় শিলা হল— কিম্বারলাইট।

202. গ্র্যারো যে ধরনের শিলা –ফ্যানেরাইটিক।

203. গ্রানাইট শিলায় সিলিকার পরিমান– 65%

204. কর্ণাটকের মালনাদ অঞ্চলের ভূমিরুপ গঠিত -গ্রানাইট শিলায়।

205. তুফ (Tuff) যে ধরনের পাললিক শিলা–সংঘাত।



206. বালুকাময় পাললিক শিলার কণার ব্যস– 0.06 – 2 মিমি।

207. কোয়ার্টজাইট যে ধরনের রুপান্তরিত শিলা–অ্যারিনাসিয়াস।

208. শ্লেট যে ধরনের রুপান্তরিত শিলা –আজিলাসিয়াস।

209. একটি ক্যালকেরিয়াস শিলার উদাহরণ হল– মার্বেল।

210. একটি কার্বোনিফেরাস শিলার উদাহরণ হল– মার্বেল।

211. একটি ফেলসিক শিলার উদাহরণ হল– মাসকোভাইট।

212. একটি ম্যাফিক শিলার উদাহরণ হল–বায়াটাইট।

213. খনিজ তেল তৈরি হয় যে প্রাণীর দেহনির্যাস থেকে–ফোরামিনিফেরা।

214. ফিলাইট যে শিলায় রুপান্তরিত হয়– শিষ্ট।

215. পত্রায়ন তল লক্ষ্য করা যায় যে শিলায় –রুপান্তরিত।

216. ‘প্লেট কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন–জে. টি. উইলসন.

217. পাতসংস্থানতত্ত্ব বিকাশ লাভ করে– 1960 খ্রিস্টাব্দে.

218. ভূত্বকে বড় পাতের সংখ্যা– 6 টি.

219. পাতসংস্থানতত্ত্বের দ্বারা যে আলোড়নকে ব্যাখ্যা করা যায় –মহিভাবক ,গিরিজনি, সমসিথতিক ।

220. গঠনকারী সীমান্ত বলা হয় কাকে- প্রতিসারী পাতসীমান্ত।

221. “সান আন্দ্রিজ ফল্ট” হল– নিরপেক্ষ পাতসীমান্ত।

222. অলাকোজেন দেখা যায়– ত্রিপাত সম্মেলনে।

223. পরিচলন স্রোত তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন— হোমস।

224. যে রেখা বরাবর দুটি পাতের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে তাকে বলে –জীবন রেখা।

225. বেনিয়ফ অঞ্চল চিহ্নিত করেন–হিউগো বেনিয়ফ।

226. কুরী পয়েন্টের উষ্ণতা হল- 600°Ꮯ

227. মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা যে ধরনের পাত সীমানার উদাহরণ–অপসারী পাতসীমানা।

228. যে পাতটি ত্রিপাত সম্মেলনে অবস্থিত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত।

229. সামুদ্রিক ভূত্বক প্রসারনের ধারনা প্রথম দেন- হ্যারি হেস।

230. সামুদ্রিক ভূত্বক প্রসারনের তত্ত্ব প্রকাশিত হয় – 1960 সালে।

231. আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশের বিস্তারের হার বছরে— 2 সেমি।

232. ভারত মহাসাগরের বিস্তারের হার বছরে – 1.5 – 3 সেমি।

233. পৃথিবীর চৌম্বকীয় বিচূতি মাপা হয় যে যন্ত্র দিয়ে- ম্যাগনেটোমিটার।

234. চতুস্তলক মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন- লোথিয়ান গ্রীন।

235. মহীসঞ্চরন মতবাদ 1910 সালে প্রকাশ করেন- এফ. বি. টেলর

236. এফ. বি. টেলর তার মহাদেশীয় সঞ্চরনের ধারনায় যে যুগে তৈরি পর্বতমালার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন- টার্সিয়ারি।

237. প্রথম মহীসঞ্চারনের একটি পূর্ণ ধারনা অবতারনা করেছিলেন- ওয়েগনার

238. ওয়েগনার তার মহীসঞ্চারনের ধারনা দেন- 1912 সালে।

239. “Die Entstehung der Kontinente and ozeane’-বইটির লেখক- ওয়েগনার

240. ড্যুটয়েট মহীখাতের নাম দিয়েছিলেন – সামফ্রাউ

241. সমস্থিতি কথাটা প্রথম ব্যবহার করেন- ডাটন।

242. জি. বি. এইরি তার তত্ত্ব প্রকাশ করেন – 1855 খ্রিস্টাব্দ।

243. জে. এইচ প্র্যাট তার তত্ত্ব প্রকাশ করেন -1859 খ্রিস্টাব্দ।

244. ‘ওরোজনি’ শব্দটির প্রবর্তক হলেন- জি. কে. গিলবার্ট।

245. ‘ওরোজোন’ শব্দটি প্রবর্তিত হয় -1890 সালে।

246. Oros’ কথাটির অর্থ কি- পর্বত।

247. পর্বত সৃষ্টির মহীখাত তত্ত্বের প্রবক্তা – ডালি।

248. মাধ্যিক ভর-এর ধারনাটি উপস্থাপন করেন- ভূতত্ত্ববিদ কোবার।

249. পর্বত গঠনের তাপীয় সংকোচন মতবাদের প্রবক্তা – জেফ্রিস।

250. ‘কার্ডিলেরা’ শব্দের অর্থ -পর্বত শ্রেণী।

251. একটি কর্ডিলেরার উদাহরণ হল- আন্দিজ।

252. জিওসিনক্লাইনের প্রথম ধারনা দেন- জেমস হল ও জেমস ডানা।

253. জিওক্লাইন কথাটি উপস্থাপন করেন- সেলবি।

254. জেনটিক্লাইন দেখা যায়—ইন্দোনেশিয়ায়।

255. একটি সঞ্চয়জাত পর্বতের উদাহরণ হল- ভিসুভিয়াস।

256. অ্যাপলেশিয়ান একটি – ক্ষয়জাত পর্বত।

257. রকি – ভঙ্গিল পর্বত।

258. পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রস্ত উপত্যকা – দ্যি গ্রেট রিফট ভ্যালি।

259. দক্ষিণাত্য মালভূমিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে- ফিসার অগ্ন্যুৎপাত।

260. পিলীর কেশ দেখা যায় – হাওয়াই শ্রেণির আগ্নেয়গিরিতে।

261. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয়মেখলায় পৃথিবীর–৮৫ শতাংশ আগ্নেয়গিরি আছে।

262. পৃথিবীতে হটস্পট আছে – 21টি।

263. একটি প্লিউমের উদাহরণ হল- ট্রিবেস্টি।

264. পৃথিবীর বৃহত্তম কালডেরা- জাপানের আসোয়ান

265. উত্তল গম্বুজাকৃতির আগ্নেয় ভূমিরুপকে বলে -ল্যাকোলিথ।

266. ভূগর্ভের ফাটলে উল্লেখ ভাবে ম্যাগমা জমাট বাধলে তাকে বলে- ডাইক।

267. ভূগর্ভের ফাটলে উল্লম্ব ভাবে মাগমা জমাট বাধলে তাকে বলে- সিল।

268. একটি মৃত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ – মাউন্ট পোপো।

269. চিম্বোরাজো- মিশ্র শঙ্কু ধরনের আগ্নেয়গিরি।

270. একটি গম্বুজাকৃতি আগ্নেয়গিরির উদাহরণ- মাউন্ট পিলি।

271. সালফাটরা থেকে নিঃসৃত হয়- গন্ধক মিশ্রিত গ্যাস।

272. –1. প্রতিসম ভাঁজ – দুটি বাহুর দৈর্ঘ্য ও নতি সমান

2. অপ্রতিসম ভাজ – দুটি বাহুর দৈর্ঘ্য ও নতি অসমান

3. সমনত ভাজ- দুটি বাহু সমান কোনে সমান্তরাল ভাবে একই দিকে হেলে থাকে।

4. শায়িত ভাজ – সমতল প্রায় অনুভূমিক হয়

273. ছত্রাকার ভাজের নীচের অংশে পার্শ্বচাপ সর্বাধিক হলে তা- শায়িত ভাজে পরিণত হয়।

274. যে রেখা বরাবর অনুভূমিক তলের সঙ্গে ভাজপ্রাপ্ত শিলাস্তরটি ছেদ করে তাকে বলে- আয়াম রেখা 275. সিনিস্ট্রাল বলতে বোঝায়- বা হাতি আয়াম স্খলন চুতি।

276. হর্ন ব্লেণ্ড- অগাইট শিলার রুপান্তরের ফলে সৃষ্টি হয়।

277. বৈপরীত্য ভূমিরুপে উদ্ধভঙ্গ ও অধোভঙ্গতে যে ভূমিরুপ গঠন করে তাকে যথাক্রমে বলে— উপত্যকা ও শৈলশিরা।

278. সর্বাপেক্ষা বিধ্বংসী তরঙ্গের নাম হলো— এল তরঙ্গ।

279. রিখটার স্কেল এর মাত্রা হলো- 0 – 10 মাত্রা।

280, ত্রিপাত সম্মেলন এর নিস্ক্রিয় বাহুর নাম হলো— আলকাজেন।

281. ‘পাত সঞ্চরণ তত্ত্বের জনক হলেন- পিচো।

282. সিমাটোজেনি ধারনার প্রবর্তন করেন— এল সি কিং

283. প্লুটোনিক শিলা বলা হয়— গ্রানাইট কে।

284. ‘S’ তরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট ছায়া বলয়ের পরিমাণ -26.5%

285. ‘L’ তরঙ্গ ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণ(ক) পৃথিবীর পরিধি বরাবর কার্যকরী হয়।

286. ল্যাপিলি হলো আগ্নেয় বোমা থেকে প্রাপ্ত -অতিক্ষুদ্র শিলাখণ্ড।

287. প্লিউম হলো— ম্যাগমার উর্ধ্বমুখী প্রবাহ।

288. পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যালডেরা অবস্থিত – জাপানে।

289. পরিচলন স্রোত’ তত্ত্বটির আবিষ্কর্তা হলেন- আর্থার হোমস।

290. পাতগুলি মহাদেশের তলদেশে – 150 কিমি বিস্তৃত।

291. নিউটনের মহাকর্য সূত্র অনুযায়ী ১৭৯৮ সালে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব পরিমাপ করেছিলেন-

ক্যাভেনডিস।

292. উত্তর আমেরিকার হেনরি পর্বত একটি– ল্যাকোলিথ।

293. প্যানজিয়া বিভক্ত করেছিল যে যুগে সেই যুগটির নাম- মেসোজোয়িক।

294. মহীসঞ্চারন তত্ত্ব এর প্রথম ধারনা দেন– আলফ্রেড ওয়েগনার

295. পদার্থের ভাসমানতার ধর্মের ওপর ভিত্তি করে সমস্থিতি তত্ত্ব প্রবর্তন করেন- জর্জ এইরি।

296. 1950 সালের অসমের ভূমিকম্পে কোন নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় ?

Ans. ডিবং নদীর ।

297. সুনামির প্রধান কারণ কী ?

Ans. সমুদ্রের তলায় ভূমিকম্প ।

298. ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের প্রায় বিপরীত দিকে অবস্থিত অঞ্চলকে কী বলে ?

Ans. ভূমিকম্পের ছায়া অঞ্চল (Shadow zone of earthquake)।

299. লাভ তরঙ্গ কে আবিষ্কার করেন ?

Ans. A.E.H. Love ।

300. ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি কোনটি ?

Ans. ব্যারেন ।

301. পৃথিবীর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি কোনটি ?

Ans. মৌনালোয়া ।

302. বেশি ধ্বংসত্মক ভূ – কম্পীয় তরঙ্গ কোনটি ?

Ans. L তরঙ্গ ।

303. ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে প্রতিপাদ কেন্দ্রের কৌণিক দূরত্ব কত ?

Ans. 180 ডিগ্রি ।

304. হাওয়াই দ্বীপে অবস্থানকারী পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নয়গিরি কোনটি ?

Ans. মাউনা কিয়া ।

305. ভূ – অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের উৎস অঞ্চলকে কি বলে ?

Ans. বেনিয়ফ অঞ্চল ।

306. ভূমিকম্পের কেন্দ্রের সোজাসুজি ভূ – পৃষ্ঠের ওপরের স্থানটিকে কি বলে ?

Ans. উপকেন্দ্র ।

307. ভূমিকম্পের ‘P’ তরঙ্গ , ‘S’ তরঙ্গ এবং পৃষ্ঠ তরঙ্গ যে শিলা গঠিত অংশের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে পারে তাকে কি বলে ?

Ans. ভূ – ত্বক ।

308. অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট দুটি পদার্থ কি কি ?

Ans. পাইরোক্লাস্ট ও সিন্ডার ।

309. বেনিয়ফ মণ্ডলের ঢাল ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণ করে অবস্থান করে ?

Ans. 30 – 80 ডিগ্রি ।

310. সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কোনটি ?

Ans. কটোপ্যাক্সি ।

311. আগ্নেয় পদার্থ সমৃদ্ধ কাদার প্রবাহকে কী বলে ?

Ans. লাহার ।

312. ‘P’ – তরঙ্গ সৃষ্ট ছায়া অঞ্চলের পরিমান কত ?

Ans. 26.5% ।

313. বিশ্বের বৃহত্তম ও সমুদ্র তলদেশ থেকে সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নয়গিরি কোনটি ?

Ans. কিলাউই ।

314. ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে কত ?

Ans. 5-6 kms ।

315. ভূমিকম্প নির্মাণ কেন্দ্র প্রথম তৈরি করেন কে 

Ans. মিলনে ।

Friday, 28 August 2020

প্রক্ষোভ (Emotions)

 1) আবেগ (Emotions) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ ইংরাজী 'Emotion' শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ 'Emovere' থেকে যার অর্থ হল 'To be Agitated' বাংলায় 'প্রক্ষুব্ধ হওয়া' বা 'উত্তেজিত হওয়া' যার বাংলা সমর্থক হিসেবে 'প্রক্ষোভ' শব্দের ব্যবহার। অর্থাৎ প্রক্ষোভ বলতে বোঝায় সেই অনুভূতিকে যার শারিরীক এবং পরিজ্ঞানমূলক উভয় উপাদান আছে এবং যা আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ইহা একধরনের মানসিক অবস্থা। 

প্রক্ষোভ এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে মনোবিদ ম্যাকডুগাল তাঁর প্রবৃত্তির তত্বে বলেন প্রবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত মানসিক অবস্থাই হল প্রক্ষোভ। 

Crow and Crow এঁর মতে "An emotion is a dynamic internal adjustment that operates for the satisfaction protection and welfare of the individual." 

C.W. Vallentine এঁর মতে "When feelings become intense we have emotions." 

Woodworth এর মতে "Each emotion is  a feeling, and each is at the same time, a motor set." 

P.T. Young (1961) এর মতে "Emotion is an acute disturbance of the individual as a  whole, psychological  in  origin, involving  behavior, conscious experience and viceral functioning."      


2. প্রক্ষোভ এর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করুন । 

উঃ প্রক্ষোভ এর কয়েকটি কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলঃ i) প্রক্ষোভ হল বিশেষ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষনের ফল। ii) এর পরিধি ব্যাপক, প্রক্ষোভ কালে দেহাভ্যান্তরে কতগুলি সংবেদনের সৃষ্টি হয়। iii) প্রক্ষোভ ব্যাক্তিকে কর্মে প্রবৃত্ত করে, এই সময় দৈহিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। iv) বয়স ও অভিজ্ঞতার স্বাপেক্ষে প্রক্ষোভিক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটে। v) প্রক্ষোভ বিচার-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে এবং একই প্রক্ষোভ বিভিন্ন অবস্থা দ্বারা উদ্দীপ্ত হতে পারে। vi) ইহা জীবের মধ্যে জাগ্রত অবস্থা দ্বারা সংযুক্ত। vii) সাধারণত শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে । viii) দুঃখ ব্যতীত প্রতিটি আবেগে প্রচুর শক্তি মুক্তি পায় । 


3. প্রক্ষোভ কয়টি স্বতন্ত্র উপাদান দ্বারা প্রতিভাত হয় ? 

উঃ প্রক্ষোভ একটি জটিল মানসিক প্রক্রিয়া, Hockenbury & Hockenbury (2007) ইহা 3 টি স্বতন্ত্র উপাদান জড়িত অবস্থা, এগুলো হলঃ i)  বিষয়গত অভিজ্ঞতা, ii) শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং iii) আচরণগত বা অভিব্যক্তিক প্রতিক্রিয়া।



4. প্রক্ষোভ কত প্রকারের হতে পারে ? 

উঃ প্রক্ষোভ এর প্রকারভেদ নিয়ে মনোবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে । মনোবিদ ম্যাকডুগাল মানবীয় প্রক্ষোভকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন, যথা :- A) প্রাথমিক বা মৌলিক প্রক্ষোভ :- সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত প্রক্ষোভগুলিকে ম্যাকডুগাল প্রাথমিক বা মৌলিক হিসাবে ব্যক্ত করেছেন। তিঁনি 14 টি প্রাথমিক প্রক্ষোভের উল্লেখ করেছেন, এগুলি হলঃ :- ভয়, ক্রোধ, বিরক্তি, স্নেহানুভূতি, আমোদ, ক্ষুধা, কাম, বিষ্ময়, দুঃস্থভাব, হীনমন্যতা, একাকিত্ববোধ, আত্ম গৌরব, স্বাধিকারবোধ, সৃজনশীলতা। 

B) জটিল প্রক্ষোভ :- একাধিক প্রক্ষোভের সংমিশ্রণে গঠিত প্রক্ষোভ এরুপ প্রক্ষোভ, এগুলি হলঃ ঘৃণা, প্রশংসা, বিভীষিকা, লজ্জা, শ্রদ্ধা, করুণা, কৃতজ্ঞতা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি । 

C) অর্জিত প্রক্ষোভ :- এরূপ প্রক্ষোভ প্রবল ইচ্ছার সঙ্গে যুক্ত, এগুলি হলো :- আশা, আকাঙ্খা, উল্লাস, অনুশোচনা, হতাশা ইত্যাদি l

ওয়াটসনের মতে মানুষের সহজাত মৌলিক প্রক্ষোভ তিনটি, যথা :-F > Fear (ভয়), A > Anger (ক্রোধ) এবং L > Love (ভালবাসা) । 


5. প্রক্ষোভ চক্রের প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং প্রাথমিক বিপরীত প্রক্ষোভগুলি কিকি ? 

উঃ আমেরিকান মনোবিদ Robert Plutchik 1980 সালে "The Nature of Emotions" নামক গ্রন্থের মাধ্যমে প্রক্ষোভ চক্রের (Wheel of Emotions) উপস্থাপন করেন যেখানে তিনি 8 প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং 8 টি উন্নত প্রক্ষোভ এর কথা উল্লেখ করেন । এই প্রক্ষোভ চক্রের প্রাথমিক প্রক্ষোভ এবং প্রাথমিক বিপরীত প্রক্ষোভগুলি হলঃ  Joy এর বিপরীত প্রক্ষোভ Sadness,Trust এর বিপরীত প্রক্ষোভ Disgust, Fear এর বিপরীত প্রক্ষোভ Anger, Surprise এর বিপরীত প্রক্ষোভ Anticipation, Sadness এর বিপরীত প্রক্ষোভ Joy, Disgust এর বিপরীত প্রক্ষোভ Trust, Anger এর বিপরীত প্রক্ষোভ Fear, Anticipation এর বিপরীত প্রক্ষোভ Surprise

       


6. সামাজিকভাবে নির্মিত এবং স্ব-সচেতন প্রক্ষোভ কি ?

উঃ সামাজিকভাবে নির্মিত এবং স্ব-সচেতন প্রক্ষোভ হল: গর্ব, কুণ্ঠাবোধ, অস্বস্তি, অপরাধবোধ এবং লজ্জা । এই আবেগ কয়েকটি পৃথক তথ্য প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া হিসাবেও কাজ করে । 


7. পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রক্ষোভের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে কি ?

উঃ পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রক্ষোভের মধ্যে কার্যগত পার্থক্য খুব একটা থাকে না, আবার মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল নন । তবে তারা পুরুষের চেয়ে অধিক সংবেদন প্রকাশ করার জন্য নিজের এবং অপরের ক্ষেত্রে প্রক্ষোভের নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বেশি দায়বদ্ধ হতে উৎসাহিত হন ।


8. প্রক্ষোভ কি ভুল হতে পারে ?

উঃ প্রক্ষোভ ভুল হতে পারে না, তবে কোনও নির্দিষ্ট প্রক্ষোভ প্রকাশ প্রসঙ্গে ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া অনুপযুক্ত হতে পারে । যেমনঃ বাংলা প্রবাদ প্রবচন 'চোরের উপর রাগ করে ভূঁইয়ে ভাত' অনুযায়ী যদি চুরির পর আপনি চোরের উপর রাগ করে থালার পরিবর্তে মাটিতে খাবার খান তাহলে তা অনুপযুক্ত । 


9. মুখের ভাব (Facial Expression) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ মানুষের মধ্যে সংবেদনশীল আচরণ মূলত মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয় । কোন প্রক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের প্রথম চিত্র ফুটে উঠে মানুষের মুখে । অর্থাৎ কোন প্রক্ষোভের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মানুষের মুখমণ্ডলের যে জৈবিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় তাকে মুখের ভাব বলা যায় । বিভিন্ন প্রক্ষোভের প্রকাশভাবগুলি সর্বজনীন, তবে সংবেদন থেকে সংস্কৃতিতে কখন এবং কতটা প্রক্ষোভ প্রকাশ করা যায় তার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই ।


10. প্রক্ষোভ এবং শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা (Emotion and Physiological Arousal) এর সম্পর্ক কী?

উঃ শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা একটি সম্ভাব্য চিন্তা, তবে এটি প্রক্ষোভের প্রয়োজনীয় দিক হিসাবে প্রমাণিত হয়নি । তবে স্বয়ংক্রিয় এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উভয়ই সংবেদনে জড়িয়ে পড়ে, প্রতিটি প্রক্ষোভের শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার নিজস্ব নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে এই ধারণাকে সমর্থন করার মতো প্রমাণ খুব কমই রয়েছে

ভূগোল প্রশ্নোত্তর Part -3

21. ফ্যাটেনিং (Fattening) কি ? 

উঃ প্রধানতঃ নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি অঞ্চলে গবাদিপশুগুলোকে প্রথমে নরম দীর্ঘ তৃণ যুক্ত ভূমিভাগে প্রতিপালন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে গবাদিপশুগুলো একটু বড়ো হলে নিকটবর্তী ভুট্টা বলয়ে স্থানান্তরিত করা হয়, ফলে চারণভূমির পৌষ্টিক খাদ্যের প্রভাবে গবাদিপশুগুলো মাংশল হয় । এরকম পরিবর্তিত পশুচারণ ক্ষেত্র নির্ভর পশুপালন পদ্ধতিকে ফ্যাটেনিং বলে । মাংস উৎপাদন শিল্পে যুক্ত ফার্মগুলিতে এরুপ ব্যবস্থা ব্যপক জনপ্রিয় । 


22. শিল্পায়ন কাকে বলে ? 

উঃ মানবীয় জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য যখন কোন দেশ বৃহৎ সম্পদনীতি গ্রহণ করে সুপরিকল্পিতভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোন ব্যপক অঞ্চলজুড়ে শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত হয়ে শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলে তখন তাকে শিল্পায়ন বলা হয় । স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এই শিল্পায়নের মধ্য দিয়েই উন্নয়নশীল ভারত অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়েছে । বিশ্বের শিল্প ব্যবস্থায় শিল্পায়নের সূচনা হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে এবং ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বিশ্বে দ্বিতীয় শিল্পায়ন সূচিত হয় । 


23. আন্তর্জাতিক কার্টেল কি ? 

উঃ যে সামগ্রিক ব্যবস্থায় একচেটিয়াভাবে উৎপাদিত কোন পণ্যের উৎপাদক সংস্থা অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ ওই পণ্যের যোগানকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে তাদের নিজের যৌথ মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সামর্থ হয় সেই ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক কার্টেল বলে । Organization of Petroleum‐Exporting Countries (OPEC) হল এরুপ একটি প্রথম সারির আন্তর্জাতিক কার্টেল, যার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি অপরিশোধিত খনিজ তেলের মূল্য নির্ধারণে সক্ষম । বর্তমানে বিশ্বে 1300 এর অধিক সংখ্যক আন্তর্জাতিক কার্টেল রয়েছে এবং প্রতি বছর গড়ে 75 টি করে নতুন আন্তর্জাতিক কার্টেল গড়ে উঠছে । বিশেষজ্ঞ John M. Connor (Professor emeritus at Purdue University) এর মতে 2026 পর্যন্ত বিশ্বে 2400 টি আন্তর্জাতিক কার্টেল গড়ে উঠবে । 


24. শিল্প জাড্য কি ? 

উঃ শিল্প স্থাপনের প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে কোন শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে সেই অনুকুল সুবিধাগুলি পরবর্তীকালে না থাকা সত্বেও যদি সংশ্লিষ্ট শিল্পটির স্থানান্তরণ না ঘটে তবে শিল্পের সেই অবস্থাকে শিল্প জাড্য বলে । উদাহরণ হিসাবে শেফিল্ড ইস্পাত কেন্দ্রটিকে ধরা যায় । শিল্পাঞ্চলটির উদ্যোগিক পর্বের সমস্ত আকরিক বা শক্তির পরিমাণ হ্রাস পেলেও স্থানান্তরণ ঘটেনি । 


25. আমল্যান্ড (Umland) কাকে বলে ? 

উঃ আমল্যান্ড হল কোন নগরের চতুষ্পার্শ্বে অবস্থিত সেই ক্ষেত্র যা বিভিন্ন আর্থিক বা সাংস্কৃতিক কারণে ঐ নগর থেকে প্রভাবিত এবং কার্যাত্মক রুপে সমন্বিত । ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী Ander Allix 1914 সালে সর্বপ্রথম অন্তঃস্থ নগরের পার্শ্ববর্তী এলাকাকে চিহ্নিত করে 'Umland' পরিভাষা ব্যবহার করেন । 'একটি অভ্যন্তরীণ শহরের (Lyon শহর) অর্থনৈতিক ক্ষেত্র বর্ণনা করতে' Umland শব্দটি জার্মান ভাষা থেকে তিনি গ্রহণ করেন যার আক্ষরিক অর্থ “Land Around” । ডঃ হিটলসী (1954) এর মতে 'নগরের চতুষ্পার্শ্বে 48-64 কিঃমিঃ বিস্তৃত সহায়ক ক্ষেত্রকে আমল্যান্ড বলে ।' 


26. মেধা প্রাচার (Brain Drain) কি ? 

উঃ সাধারনতঃ অন্যান্য দেশে অপেক্ষাকৃত উন্নত সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের জনসংখ্যার উচ্চশিক্ষিত, বুদ্ধিমান এবং বিভিন্ন পেশায় দক্ষ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ অংশের বহিরাগমন বা অন্য দেশে পরিব্রাজন কে মেধা প্রাচার বলা হয় । এরুপ পরিব্রাজন স্বেচ্ছামূলক বা আমন্ত্রণমূলক উভয়ই হতে পারে । ইহা Human Capital Flight নামেও অভিহিত যা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধক । যেমনঃ বর্তমানে গুগুলের সর্বেসর্বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুন্দর পিচাই ভারতের ক্ষেত্রে মেধা প্রাচার এর অন্যতম প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।



27. বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা কি ? 

উঃ যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের সমস্ত Port Trust, NHAI, Indian Rail এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সংস্থা দঃ-পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলোকে চার চ্যানেল বিশিষ্ট রাজপথ ও রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে তা বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা নামে অভিহিত । 2005 সালে পরিকল্পনাটির সূচনা হয় । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলদিয়া, পারাদ্বীপ, বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, এণ্ণোর ও তুতিকোরিন প্রভৃতি 12 টি বন্দরকে 1133 কিঃমিঃ নতুন সড়কপথ দ্বারা সংযুক্তির কাজ চলছে । 


28. খোয়াই কি ? 

উঃ জল প্রবাহের রিলক্ষয় ও খাতক্ষয় দ্বারা সংঘটিত বিশেষ ধরনের এক মৃত্তিকা ক্ষয়কে বলা হয় খোয়াই । চম্বল উপত্যকা, অরবল্লীর পূর্ব অংশ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কিয়দাংশ এর দ্বারা প্রভাবিত । জল প্রবাহের রিলক্ষয় ও খাতক্ষয়, মাটির আলগা গঠন, কৃষিক্ষেত্রে জল প্রবাহের অনুপ্রবেশ খোয়াই এর নিয়ন্ত্রক । অজয়, ময়ূরাক্ষী এবং তাদের শাখা নদীগুলির এরুপ বৈচিত্রময় ক্ষয়ের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এরুপ ভূমিরূপের বিকাশ সুস্পষ্টভাবে লক্ষণীয় । 


29. সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ কি ? 

উঃ যে প্রকার অভিক্ষেপে একটি নির্দিষ্ট স্কেলে ভূপৃষ্ঠের দুটি স্থানের ও মানচিত্রের দুটি বিন্দুর দূরত্বের আনুপাতিক হারকে সঠিক রাখার জন্য অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের জাল গঠন করা হয় তাকে সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ বলে । যেমনঃ Polar Zenithal Equidistant Projection . 


30. ট্রানজিট চার্ট কি ? 

উঃ :- কোন ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির মধ্যে সম্পর্ক নিরুপনের জন্য যে তালিকা বা চার্ট তৈরি করা হয় তাকে ট্রানজিট চার্ট বলে । এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতির সাথে পরিবহন ও জনবসতি প্রভৃতি অর্থ-সাংস্কৃতিক বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক জানা যায় । 1890 এর দশকে পরিবহন ক্ষেত্র এর মাধ্যমে এরুপ চার্ট এর প্রারম্ভ ঘটে ।

Saturday, 22 August 2020

ভূগোল প্রশ্নোত্তর Part - 2


11. লী তরঙ্গ (Lee Wave) কি ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের মন্দগতি বায়ু প্রবাহ কোন শৈলশিরায় বাধা পেলে তার অনুবাত ঢালের বায়ুমন্ডলে অভিস্তরীয় প্রবাহ উৎপন্ন হয় । এই বায়ুপ্রবাহের বেগ স্বল্প বৃদ্ধি পেলে নিম্নচাপের আবির্ভাব ঘটে । নিম্নচাপের বায়ু প্রবাহ আরো বৃদ্ধি পেলে প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বায়ু তরঙ্গাকারে প্রবাহিত হয় । এরূপ তরঙ্গ যুক্ত বায়ু প্রবাহই লী তরঙ্গ । এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য 3 থেকে 30 কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যমান । 


12. বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে সারা বছর ধরে বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ লক্ষ্য করা যায়; এই দুই ভিন্নধর্মী চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের এক একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বায়ুচাপ বৃত্তাকারে ঘিরে অবস্থান করে, এদের একেকটিকে  বায়ুচাপ বলয় বলে । পৃথিবীতে এরকম সাত টি বায়ুচাপ বলয় রয়েছে; যথাঃ i) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, ii & iii) কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়, iv & v) সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত নিম্নচাপ বলয় এবং vi & vii) সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় । 



13. বায়ুচাপ কক্ষ কাকে বলে ? 

উঃ পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয় গুলি অক্ষরেখা বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত । ভূপৃষ্ঠে স্থলভাগ ও জলভাগ এর মধ্যে বায়ুর উষ্ণতা ও বায়ুচাপের পার্থক্য জনিত কারণে অনেকাংশে বায়ুচাপ বলয় গুলি বলয়াকারে অবস্থান না করে ছোট ছোট ভাগে অবস্থান করে, এই ভাগগুলির একেকটিকে বায়ুচাপ কক্ষ বলে । উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের জন্য বায়ুচাপ কক্ষ বেশি থাকে । যেমন অ্যালুসিয়ান নিম্নচাপ কক্ষ । 


14. Eluviation কাকে বলে ? 

উঃ মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রক্রিয়া এলুভিয়েশন । এর অর্থ হল 'ধৌতিকরণ' । যে পদ্ধতিতে অনুস্রবনরত জলের সাথে মৃত্তিকা উপাদানগুলি প্রলম্বিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় ঊর্ধ্ব স্তর থেকে নিম্ন স্তর গুলিতে  অধোগত হয় তাকে এলুভিয়েশন বলে । ইহা দুই প্রকারের যথাঃ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক । এলুভিয়েশনের  হার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল । 


15. হিউমাস (Humas) কি ? 

উঃ হিউমাস হলো একটি কালো বাদামি রঙের সমসত্ত্ব ও পচনক্রিয়া প্রতিরোধক্ষম জটিল কলয়ডাল পদার্থ, যা মাটির মধ্যে থাকা জীব দেহ ও জীবাণু দেহ নিঃসৃত উৎসেচক দ্বারা জারিত হয়ে তৈরি হয় । শ্বেতসার, প্রোটিন, ফ্যাট, মোম, রজন প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত হিউমাস হলো মাটির একটি উপাদান । 


16. মৃত্তিকার স্তরায়ন বা পরিলেখ কাকে বলে 

উঃ অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্ট পরিণত বা আদর্শ মাটির পৃষ্ঠদেশ থেকে নিচে মূলশিলা বা আদি শিলাস্তর পর্যন্ত লম্বচ্ছেদ করলে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালভাবে কয়েকটি স্তর গড়ে উঠতে দেখা যায়, একে মৃত্তিকা পরিলেখ বলে । প্রখ্যাত রাশিয়ান ভূবিজ্ঞানী ডকুচায়েভ (Vasily Vasilyevich Dokuchaev) এর ধারণা থেকে 'Soil Profile' এর কথা জানা যায় । একাটি পরিণত মৃত্তিকা স্তরায়নে A, B, C এই তিনটি স্তর বিদ্যমান । 


17. জলের স্থিতিপুঞ্জ (Water Stable Aggregate) কি ? 

উঃ কোন অঞ্চলের নিয়মিত বাষ্পীভবন ও বৃষ্টিপাতের সামঞ্জস্যের ফলে ভৌম জলস্তর মাটির অগভীর অংশে অবস্থান করায় অনেক সময় উদ্ভিদ গ্রহণ উপযোগী জল মাটিতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী স্থিতিশীল ভাবে অবস্থান করে, জলের এই বিশেষ অবস্থানকে জলের স্থিতিপুঞ্জ বলে । ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতার সাথে WSA হ্রাস পায়, তাই বেশিরভাগ ফসলের প্রস্তাবিত মূল অঞ্চলে (উদাঃ 0-15 সেমি, 0-20 সেমি) পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে স্থিতিপুঞ্জ নির্ধারণ করা হয় । 


18. Hard Pan কাকে বলে ? 

উঃ উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে অধঃক্ষেপন অপেক্ষা বাষ্পীভবন বেশি হওয়ার ফলে ভৌম জল কৌশিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠে আসে এবং সেইসঙ্গে A স্তর থেকে সিলিকা, অ্যালুমিনিয়াম ও কাদা জাতীয় কলয়েড পদার্থ B স্তরের B2 হরাইজনে জমে যে শক্ত, অদ্রবণীয় কলয়েডের স্তর সৃষ্টি করে তাকে হার্ড প্যান বলে । ইহা সাধারণত ভূপৃষ্ঠের 2-4 মিটার গভীরতায় বিস্তৃত । ইহা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যথাঃ Caliche, Claypan, Fragipan, Plowpan, Traffic pan ইত্যাদি । 


19. জীব ভর (Biomass) কাকে বলে ? 

উঃ কোন একটি বাস্তুতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থিত সব জৈব বস্তুর মোট ভর বা পরিমাণের সংখ্যাগত হিসেবকে জীবভর বলে । মোট ঘনত্ব হিসেবে জীবভর প্রকাশ করা হয় । উদাঃ কোন একটি বনাঞ্চলে প্রতি বর্গমিটারে যতটা কাষ্ঠ বা শুকনো পাতা পাওয়া যায় তা হল ঐ অঞ্চলের জীবভর । পরিবেশের সামগ্রিক জীবভরের 80% গৃহস্থালীর কাজে, 18% শিল্প ক্ষেত্রে এবং 2% জীবভর শক্তি পরিবহন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । 


20. Tyranopolis কাকে বলে ? 

উঃ নগর গঠনের যে পর্যায়ে অনেক রূপে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যার প্রভাবে প্রশাসনযন্ত্র অচল হতে থাকল আর্থিক সংকট গ্রস্থ জনগণ নগর পরিত্যাগের প্রস্তুতি নেয়, ফলে শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা ক্ষেত্রে মন্দা দেখা দেয় সেই পর্যায় কে আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী মামফোর্ড (Lewis Mumford) টিরানোপলিস নামে অভিহিত করেন । মামফোর্ড এর শহর বিভাজনের এটি পঞ্চম অবস্থা, যা আধোগতির অর্থসূচক ।

Friday, 21 August 2020

ভূগোল প্রশ্নোত্তর GEOGRAPHY QUESTION AND ANSWER

** সমোষ্ণ রেখা (Isotherms) কাকে বলে ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের উপর সামান তাপ বিশিষ্ট স্থানগুলোকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা উপস্থাপন করা হয় তাকে সমতাপ বা সমোষ্ণ রেখা বলে । সমোষ্ণ রেখা গুলো উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের জন্য ঘন ভাবে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের জন্য ফাঁকা ভাবে অবস্থান করে । এগুলো পৃথিবীর মানচিত্রে মোটামুটি অক্ষরেখা গুলিকে অনুসরণ করে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত । সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের সময় সমোষ্ণ রেখা গুলি উত্তর-দক্ষিণে সরে যায় । 


**মরু অঞ্চলে শীত-গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক কেন ? 

উঃ সাধারণত মহাদেশের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মরু অঞ্চল গুলিতে শীত ও গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক হয়, কারণ :- i) মরু অঞ্চল গুলো বালুকাময় কোয়ার্টজ জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় তাপ ধারণ ও বিকিরণ ক্ষমতা বেশি; ii) সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান; iii) স্বল্প বৃষ্টিপাত ও জল ধারণ ক্ষমতা; iv) অক্ষাংশ গত অবস্থান ইত্যাদি । 


**জলবায়ুর নিয়ন্ত্রক সমূহের নাম লেখ 

উঃ কোন স্থানের দীর্ঘকালীন আবহাওয়ার কার্যকরী ফল কে এই স্থানের জলবায়ু বলে । এর নিয়ন্ত্রক গুলি হল :-  i) অক্ষাংশ গত অবস্থান, ii) স্থলভাগের অবস্থান, iii) পৃথিবীর গতির পরিবর্তন, iv) উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বলয় সমূহ ও বায়ুপ্রবাহ, v) বায়ু প্রবাহের দিক, vi) উচ্চতার পার্থক্য, vii) পর্বতের অবস্থান ও ভূমির ঢাল, viii) বৃষ্টিপাত ও জলীয়বাষ্প, ix) সমুদ্র স্রোত ও সমুদ্র থেকে দূরত্ব, x) মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ ইত্যাদি । 


** অটো ইকোলজি সিন ইকোলজি কাকে বলে ? 

উঃ বাস্তু তন্ত্র দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যথাঃ  অটো ইকোলজি ওসিন ইকোলজি ।  বাস্তু তন্ত্রের যে শাখায় একটি প্রজাতির অন্তর্গত একটি মাত্র বা সমস্ত জীব সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে অটো ইকোলজি বলে । অন্যদিকে যেখানে কোন একটি স্থানের বিভিন্ন প্রজাতির বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে সিন ইকোলজি বলে । 



**জৈব প্রণালী বলতে কি বোঝো ? 

উঃ যে নির্দিষ্ট প্রণালীর মাধ্যমে কোন আবাসভূমির অন্তর্গত উদ্ভিদকুল নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পরিবেশ ও মৃত্তিকা থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে এবং প্রাণিকুল ওই প্রাকৃতিক পরিবেশ ভুক্ত উদ্ভিদকূল হতে পুষ্টি উপাদান সরাসরি সংগ্রহ করে; সেই পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ঘটিত প্রণালী কে জৈব প্রণালী বলে । 


**Biota কি ? 

উঃ একটি অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির জীব অবস্থান করে । কোন অঞ্চলের বিভিন্ন জীব প্রজাতির, যথা স্বাভাবিক উদ্ভিদ, গুল্ম, ব্যাকটেরিয়া, প্রাণীজগৎ প্রকৃতির উপস্থিতিগত বিবরণকে বায়োটা বলে । জৈবমণ্ডলের গঠন সম্পূর্ণভাবে বিচার ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বায়োটা ব্যবহৃত হয় । 


** জীবগোষ্ঠী (Community) কি ? 

উঃ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত কোন একটি নির্দিষ্ট বসতিতে পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠী কে একত্রে জীব গোষ্ঠী বলে । জীবগোষ্ঠীর প্রতিটি জীব পরিবেশের সাথে নিজেকে অভিযোজিত করে একে অপরের সাথে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করে । 


**ভাবর কি ? 

উঃ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পাঞ্জাবি ভাষায় ভাবার বলে । অঞ্চলটির অবস্থান :- শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশ ও গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরাংশে । বিস্তার :- 10 থেকে 15 কিঃমিঃ । বৈশিষ্ট্য :- পূর্ব অংশ সংকীর্ণ এবং পশ্চিম অংশ ক্রমশ বিস্তৃত । ii) উঁচু-নীচু ও ঢেউ খেলানো প্রকৃতির, iii) অন্তঃসলিলা নদী যুক্তিযুক্ত এবং iv) দক্ষিণে নদী সৃষ্ট জলাভূমি যুক্ত । 


**ধ্রিয়ান কাকে বলে ? 

উঃ ভারতীয় মরু অঞ্চলে প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে চলমান বালিয়াড়ি গুলোকে ধ্রিয়ান বলে । ইহা বায়ুর সঞ্চয়জাত একটি ভুমিরুপ । বালিয়াড়ির স্থানীয় নাম টিব্বা । 


** পম্পাস কি ? 

উঃ দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে অঞ্চলে অর্ধচন্দ্রাকার নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি পম্পাস নামে অভিহিত । স্পেনীয় শব্দ 'পম্পাস' এর অর্থ 'বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চল' ।  তৃণভূমিটিতে লক্ষ লক্ষ পশম প্রদায়ী, মাংস প্রদায়ী জন্তু পালিত হয় । আন্দিজ পর্বতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের করডোরা এখানকার প্রধান গো-পালন কেন্দ্র ।

Thursday, 20 August 2020

ধ্বনি BENGALI


১. ধ্বনি বলতে কী বোঝায় ? 

উঃ বাগ যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত বর্ণকে ধ্বনি বলা হয় । মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ বা আওয়াজের মাধ্যমে আমরা ধ্বনি উচ্চারণ করি । অধ্যাপক মিহির চৌধূরী কামিল্যা এর মতে - "মানুষের ইচ্ছায়, তার গলা থেকে নিঃসৃত স্বর, বায়ুস্তরে শোনার মতো যে স্পন্দন তোলে, তাকে বলে 'ধ্বনি' ।" যেমনঃ অ, আ, ই, উ, এ, ঔ, ক, গ, শ - এদের উচ্চারণ টুকু । 

এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন ভাষা ও ছন্দ-বিজ্ঞানে পশুপাখির ডাক বা পদার্থের আঘাতে সৃষ্ট ধ্বনিকে 'ধ্বনি' বলে না । শুধুমাত্র মানুষের কণ্ঠজাত ধ্বনিই 'ধ্বনি' । 


২. ভাষায় ধ্বনির গুরুত্ব কিরূপ ? 

উঃ ধ্বনি হল ভাষার ক্ষুদ্রতম অংশ তথা ভাষার মূল উপকরণ । 


৩. ধ্বনি ও বর্ণের সম্পর্ক কিরূপ ? 

উঃ ধ্বনির কোন রূপ থাকে না, আবার মুখনিঃসৃত ধ্বনির কোন প্রতীকও নেই কিন্তু ধ্বনি যখন লিখে উপস্থাপন করা হয় তখন দৃষ্টিগ্রাহ্য যে চিত্র ব্যবহার করা হয় তাই ধ্বনির প্রতীক । এই প্রতীককে 'বর্ণ' বলা হয় । 


৪. ধ্বনি কয় প্রকার ও কীকী ? 

উঃ উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ুর গতিপথ, বাধার স্থান, পরিমাণ ও প্রকৃতিকে মানদণ্ড হিসাবে গ্রহণ করে ডঃ রামেশ্বর শ' তার "সাধারণ ভাষাবিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা" নামক গ্রন্থে ধ্বনি কে তিনটি প্রধান গোত্রে বিভক্ত করে মোট ছয় ভাগে বিভক্ত করেছেন । এই প্রধান গোত্র তিনটি হলঃ (১) অন্তর্গামী ও বহির্গামী ধ্বনি (Ingressive and Aggressive Sounds), (২) বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি (Segmental and Supra-segmental Sounds) এবং (৩) সঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি (Voiced and Voiceless Sounds)। 


৫. অন্তর্গামী ও বহির্গামী ধ্বনি (Ingressive and Aggressive Sounds) বলতে কী বোঝায় ? 

উঃ ফুসফুস, ঊর্ধ্বকণ্ঠ, মুখগহ্বর ইত্যাদির মধ্যবর্তী শূন্যস্থান প্রসারিত হলে ঐ শূন্যস্থানে বাইরের বায়ু প্রবেশ করে যে ধ্বনির উৎপত্তি ঘটে তাকে অন্তর্গামী বা অ-ঘনীভূত বায়ুজাত ধ্বনি বলে । যেমনঃ চু-চু ।

ফুসফুস, ঊর্ধ্বকণ্ঠ, মুখগহ্বর ইত্যাদির মধ্যবর্তী শূন্যস্থান সংকোচিত হলে ঐ শূন্যস্থানে অবস্থিত শ্বাসবায়ু মুখ বা নাসিকা দিয়ে নির্গত হয়ে যে ধ্বনির সৃষ্টি করে তাকে বহির্গামী ধ্বনি বা ঘনীভূত বায়ুজাত ধ্বনি বলে । যেমনঃ অ, আ, ক্, চ্, প্, ম্ ইত্যাদি । 



 ৬. বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি (Segmental and Supra-segmental Sounds) বলতে কী বোঝায় ?

উঃ কোন বাক প্রবাহকে বা বাক্যকে  বিশ্লেষণ করলে যে ধ্বনিগুলিকে পৃথক পৃথক এককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় তখন তাদের বিভাজ্য ধ্বনি বলা হয়; আবার আবার বাক্যে অবস্থিত বাক্যের অর্থ নির্দেশকারী কিছু ধ্বনি যাদের সুস্পষ্ট এককে বিভক্ত করা যায় না সেগুলিকে বলা হয় অবিভাজ্য ধ্বনি । 

যেমনঃ 'রাম যায় ?' ও 'রাম যায় ।' এই বাক্য দুটি কে বিশ্লেষণ করলে র্+আ+ম্ এবং য্+আ+য়্  এই ধ্বনি গুলি পাওয়া যায় যা বিভাজ্য ধ্বনি । আবার ঐ দুটি বাক্যকে উচ্চারণ করার সময় একটি বাক্য দ্বারা জিজ্ঞাসা করা হয় এবং অন্য বাক্যটি সাধারণ বিবৃতিমূলক ইতিবাচক বাক্য । একই বাক্যের দুই বা ততোধিক ধরনের উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যে ধ্বনি টি কার্য করে সেটিই অবিভাজ্য ধ্বনি । ইহা সর্বদা অদৃশ্য থেকে ভাষায় ছন্দের ধর্ম সঞ্চার করে । 


৭. সঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি (Voiced and Voiceless Sounds) বলতে কী বোঝায় ?

উঃ শ্বাসবায়ুর যাতায়াতের পথে স্বরতন্ত্রীতে বাধার মাত্রাভেদ অনুযায়ী ধ্বনি চারটি শ্রেণীবৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়, যথাঃ স্পর্শ্ব ধ্বনি, সঘোষ ধ্বনি, ফিশফিশে ধ্বনি ও অঘোষ ধ্বনি । 

কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় যদি স্বরতন্ত্রীদুটির কম্পনের ফলে সৃষ্ট স্বর (ঘোষ বা নাদ) যুক্ত হয়ে নির্গত হয় তখন সেই ধ্বনি কে সঘোষ ধ্বনি বলা হয় । বাংলা বর্গীয় ধ্বনির তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম ধ্বনি; র্, ল্, হ্, ড়্, ঢ়্ ওয়্, য়্; সমস্ত স্বরধ্বনি সঘোষ ধ্বনির উদাহরণ ।

এবং কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় যদি এই ঘোষ বা নাদ যুক্ত না থাকে তখন তাকে অঘোষ ধ্বনি বলা হয় । বাংলা বর্গীয় ব্যঞ্জনধ্বনির প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনি এবং স্, শ্ হল অঘোষ ধ্বনির উদাহরণ । 


৮. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কী ? 

উঃ ধ্বনিসত্বার রূপ অনুযায়ী বিভক্ত 'বিভাজ্য ধ্বনি'র দুটি প্রধান রূপ হিসাবে অ) স্বরধ্বনি ও আ) ব্যঞ্জনধ্বনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।


৯. স্বরধ্বনি বলতে কী বোঝায় ? 

উঃ সাধারণভাবে স্বরধ্বনির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলা যায়, 'অপর ধ্বনির সহায়তা ব্যতীত যে ধ্বনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিস্ফুটরূপে উচ্চারিত হতে পারে এবং যাকে আশ্রয় করে অপর ধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে স্বরধ্বনি বলে ।' আবার উচ্চারণ প্রক্রিয়ার দিক থেকে স্বর ও ব্যঞ্জনের পার্থক্য নির্দেশ করে স্বরধ্বনির সংজ্ঞাটি হল - ' যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখবিবরে কোনরকম বাধা পায় না তাকে স্বরধ্বনি বলে ।' যেমনঃ অ, আ, অ্যা, এ, ও ইত্যাদি । 


১০. ব্যঞ্জনধ্বনি বলতে কী বোঝায় ? 

উঃ সাধারণভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলা যায়, 'স্বরধ্বনির সহায়তা ব্যতীত যে ধ্বনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিস্ফুটরূপে উচ্চারিত হতে পারেনা এবং যে ধ্বনি অপর ধ্বনিকে আশ্রয় করেই উচ্চারিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে ।' আবার উচ্চারণ প্রক্রিয়ার দিক থেকে স্বর ও ব্যঞ্জনের পার্থক্য নির্দেশ করে ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞাটি হল - ' যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখবিবরে কোনরকম বী কোন স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে ।' যেমনঃ ক (ক্+অ), চ (চ্+অ), প (প্+অ), চি (চ্+ই) ইত্যাদি ।

ভৌগোলিক সালানুক্রম

1972- 15 আগস্ট ভারতে পিন কোড চালু হয় l

1972- Environmental Protection Agency (E P A)D D T ও অন্যান ক্লোরিন যুক্ত কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন l


1972- Wiltaker বাস্তুতান্ত্রিক জীব বৈচিত্র নির্ধারণের সূচক এর ধারণা দেন l

1972- আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞান সংস্থা মাটির শ্রেণীবিভাগ করে l

1972- জে.সেহ্গাল ধাতব ক্যাটায়নের গতিশীলতার সূত্র আবিষ্কার করেন l

1973-Carribean Community (CARICOM) গঠিত হয় l

1973-F.E.R.A নূতন ভাবে পরিবর্তিত হয় l

1974-Conservation of Smuggling Activities Act (COFE POSAA) পাশ হয় l

1974-K.Brahamananda Raddi র সভাপতিত্বে 6th অর্থ কমিশনের সূচনা ; 5th এর অবসান l

1974-Value Added Tax (V.A.T) চালু হয় L.K.Jnha Comitee র সুপারিশে l


1974-বিপাশা পরিকল্পনায় পঙ বাঁধ নির্মীত হয় l

1975- 'Human Geography : Evolution or Revolution ?'-নামক ভৌগলিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন -মাইকেল চিস হোম l


1975- Ritzer প্যারাডাইম এর চারটি বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করেন l 




1975-আরব - ইসরাইল যুদ্ধের প্রভাবে আট বছর বন্ধ থাকার পর সুয়েজ খাল উন্মুক্ত করা হয় l

1975-বৃটিশ সরকার মিশরের থেকে সুয়েজ খালের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে l

1977- ভাকরা-নাঙ্গাল এর সাথে বিপাশা নদীকে যুক্ত করা হয় l

1977-বিপাশা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয় l

1978-West African Economic Community (WAEC) গঠিত হয় l

1979- Woods এর "Population Analysis in Geography" প্রকাশিত হয় এবং জনসংখ্যা ভূগোলের আলোচনা অন্য মাত্রা পায় l

1979-Jastice J.M.Selat এর সভাপতিত্বে 7th Economic plane এর সূচনা হয় ; ষষ্ট পরিকল্পনার সমাপ্তি l

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...