** সমোষ্ণ রেখা (Isotherms) কাকে বলে ?
উঃ ভূপৃষ্ঠের উপর সামান তাপ বিশিষ্ট স্থানগুলোকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা উপস্থাপন করা হয় তাকে সমতাপ বা সমোষ্ণ রেখা বলে । সমোষ্ণ রেখা গুলো উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের জন্য ঘন ভাবে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের জন্য ফাঁকা ভাবে অবস্থান করে । এগুলো পৃথিবীর মানচিত্রে মোটামুটি অক্ষরেখা গুলিকে অনুসরণ করে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত । সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের সময় সমোষ্ণ রেখা গুলি উত্তর-দক্ষিণে সরে যায় ।
**মরু অঞ্চলে শীত-গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক কেন ?
উঃ সাধারণত মহাদেশের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মরু অঞ্চল গুলিতে শীত ও গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক হয়, কারণ :- i) মরু অঞ্চল গুলো বালুকাময় কোয়ার্টজ জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় তাপ ধারণ ও বিকিরণ ক্ষমতা বেশি; ii) সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান; iii) স্বল্প বৃষ্টিপাত ও জল ধারণ ক্ষমতা; iv) অক্ষাংশ গত অবস্থান ইত্যাদি ।
**জলবায়ুর নিয়ন্ত্রক সমূহের নাম লেখ
উঃ কোন স্থানের দীর্ঘকালীন আবহাওয়ার কার্যকরী ফল কে এই স্থানের জলবায়ু বলে । এর নিয়ন্ত্রক গুলি হল :- i) অক্ষাংশ গত অবস্থান, ii) স্থলভাগের অবস্থান, iii) পৃথিবীর গতির পরিবর্তন, iv) উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বলয় সমূহ ও বায়ুপ্রবাহ, v) বায়ু প্রবাহের দিক, vi) উচ্চতার পার্থক্য, vii) পর্বতের অবস্থান ও ভূমির ঢাল, viii) বৃষ্টিপাত ও জলীয়বাষ্প, ix) সমুদ্র স্রোত ও সমুদ্র থেকে দূরত্ব, x) মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ ইত্যাদি ।
** অটো ইকোলজি সিন ইকোলজি কাকে বলে ?
উঃ বাস্তু তন্ত্র দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যথাঃ অটো ইকোলজি ওসিন ইকোলজি । বাস্তু তন্ত্রের যে শাখায় একটি প্রজাতির অন্তর্গত একটি মাত্র বা সমস্ত জীব সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে অটো ইকোলজি বলে । অন্যদিকে যেখানে কোন একটি স্থানের বিভিন্ন প্রজাতির বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে সিন ইকোলজি বলে ।
**জৈব প্রণালী বলতে কি বোঝো ?
উঃ যে নির্দিষ্ট প্রণালীর মাধ্যমে কোন আবাসভূমির অন্তর্গত উদ্ভিদকুল নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পরিবেশ ও মৃত্তিকা থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে এবং প্রাণিকুল ওই প্রাকৃতিক পরিবেশ ভুক্ত উদ্ভিদকূল হতে পুষ্টি উপাদান সরাসরি সংগ্রহ করে; সেই পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ঘটিত প্রণালী কে জৈব প্রণালী বলে ।
**Biota কি ?
উঃ একটি অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির জীব অবস্থান করে । কোন অঞ্চলের বিভিন্ন জীব প্রজাতির, যথা স্বাভাবিক উদ্ভিদ, গুল্ম, ব্যাকটেরিয়া, প্রাণীজগৎ প্রকৃতির উপস্থিতিগত বিবরণকে বায়োটা বলে । জৈবমণ্ডলের গঠন সম্পূর্ণভাবে বিচার ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বায়োটা ব্যবহৃত হয় ।
** জীবগোষ্ঠী (Community) কি ?
উঃ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত কোন একটি নির্দিষ্ট বসতিতে পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠী কে একত্রে জীব গোষ্ঠী বলে । জীবগোষ্ঠীর প্রতিটি জীব পরিবেশের সাথে নিজেকে অভিযোজিত করে একে অপরের সাথে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করে ।
**ভাবর কি ?
উঃ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পাঞ্জাবি ভাষায় ভাবার বলে । অঞ্চলটির অবস্থান :- শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশ ও গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরাংশে । বিস্তার :- 10 থেকে 15 কিঃমিঃ । বৈশিষ্ট্য :- পূর্ব অংশ সংকীর্ণ এবং পশ্চিম অংশ ক্রমশ বিস্তৃত । ii) উঁচু-নীচু ও ঢেউ খেলানো প্রকৃতির, iii) অন্তঃসলিলা নদী যুক্তিযুক্ত এবং iv) দক্ষিণে নদী সৃষ্ট জলাভূমি যুক্ত ।
**ধ্রিয়ান কাকে বলে ?
উঃ ভারতীয় মরু অঞ্চলে প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে চলমান বালিয়াড়ি গুলোকে ধ্রিয়ান বলে । ইহা বায়ুর সঞ্চয়জাত একটি ভুমিরুপ । বালিয়াড়ির স্থানীয় নাম টিব্বা ।
** পম্পাস কি ?
উঃ দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে অঞ্চলে অর্ধচন্দ্রাকার নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি পম্পাস নামে অভিহিত । স্পেনীয় শব্দ 'পম্পাস' এর অর্থ 'বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চল' । তৃণভূমিটিতে লক্ষ লক্ষ পশম প্রদায়ী, মাংস প্রদায়ী জন্তু পালিত হয় । আন্দিজ পর্বতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের করডোরা এখানকার প্রধান গো-পালন কেন্দ্র ।
No comments:
Post a Comment