Tuesday, 4 August 2020

ইতিহাস শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী

1. ইতিহাস শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি কিকি ? 
উঃ ভূগোল শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি হলঃ i) ইতিহাস মিউজিয়াম তৈরি, ii) বুলেটিন বোর্ড তৈরি, iii) ঐতিহাসিক ভ্রমণ, iv) ইতিহাস সমিতি বা ক্লাব পরিচালনা, v) ইতিহাস প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, vi) ইতিহাস পত্রিকা প্রকাশ, vii) ইতিহাস সংক্রান্ত বিশেষ কর্ম অনুশীলন, viii) বিতর্কসভার আয়োজন, ix) ইতিহাস গ্রন্থাগার পরিচালনা ইত্যাদি । 

2. ইতিহাস মিউজিয়াম বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনাবলীর নিদর্শন, প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান, প্রাচীন স্থাপত্য মডেল, লিখিত প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদান ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালাকে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । এক কথায় ইতিহাস পঠনপাঠনের উপযোগী পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে সেগুলি যেসব প্রতিষ্ঠান বা ভবনে সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেইসব ভবন বা প্রতিষ্ঠান কে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । ইতিহাস পাঠদানের ক্ষেত্রে অনাদি অতীতকে প্রাণবন্ত করে তুলতে এবং কল্পনাপ্রবণ শিক্ষার্থীর মানসচক্ষুতে জীবন্ত ও বাস্তব করে তোলার এক অনবদ্য কার্যাবলী হল ইতিহাস মিউজিয়াম । 

3. কোন সময়কে যাদুঘরের যুগ বলা হয় ? 
উঃ ঊনবিংশ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সময়কালকে যাদুঘরের যুগ বলা হয়, কারণ এই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাদুঘর প্রতিষ্ঠার ব্যপক উদ্যোগ দেখা দেয় এবং বহু নতুন যাদুঘর গড়ে ওঠে । 

4. ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের পদ্ধতি কিরকম ? 
উঃ মিউজিয়ামের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করে তা সংরক্ষণ করা । ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের ক্ষেত্রে সংগৃহীত ঐতিহাসিক উপাদানগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগীভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক উপাদানের গায়ে শিক্ষামূলক পরিচিত লাগিয়ে রাখতে হবে । প্রত্যেকটি উপাদানের সঙ্গে একটি করে নির্দেশনা পত্র থাকবে যাতে উপকরণের নাম, প্রাপ্তির স্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লিখিত থাকবে । 


5. ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি হবে ? 
উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থী নিজের দ্বায়িত্বে নমুনা ও উপকরণ সংগ্রহ করে নিজেরাই সাজাবে, পরিচিতিপত্র তৈরি করবে এবং দর্শকদের দেখাবে । এছাড়া বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মডেল নিজেরাই তৈরি করে পাঠ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে । 

6. ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্য কি ?
উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) অতীত ঘটনাবলী সম্পর্কে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা এবং তাদের অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ ঘটানো । ii) ঐতিহাসিক বিভিন্ন উপাদান, নিদর্শন, স্থাপত্য ইত্যাদির কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা । iii) সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের মনোভাবের বিকাশসাধন করা । iv) পাঠ্য বইএর পাঠ্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যরেখে বিভিন্ন নিদর্শন শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আরো কৌতূহলী ও আকৃষ্ট করে তোলা ইত্যাদি । 

7. ইতিহাস মিউজিয়ামের প্রধান উপাদানগুলি কিকি ? 
উঃ ইতিহাস মিউজিয়ামে প্রধান উপাদান হিসাবে - i) প্রাক ঐতিহাসিক যুগের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যেমন - তৈজসপত্র, অলংকার, অস্ত্রশস্ত্র, শিল্পকলা; ii) ঐতিহাসিক যুগের বাস্তব নিদর্শন, ভাস্কর্যের চিহ্ন, স্থাপত্য শিল্পের নমুনা ও শিল্প সৌন্দর্যের নমুনা; iii) বিভিন্ন উপাদানে খোদাই করা প্রাচীন লিপি, প্রাচীন মুদ্রা, দানপত্র, পুঁথি, ব্যক্তিগত দলিল; iv) বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের স্মৃতিচিহ্ন, বিভিন্ন সাম্রাজ্য ও শাসকের জীবনপঞ্জিকা; v) ঐতিহাসিক বস্তুর মডেল, ধংসাবাশেষের ফটোগ্রাফ, স্থাপত্য শিল্পের মডেল, ব্যক্তিগত তৈলচিত্র; vi) প্রাচীন বিদেশী স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং পামফলেট ইত্যাদি রাখা যায় । 

8. ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর কত ধরনের হতে পারে ? 
উঃ ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমনঃ i) বিশ্বকোষ যাদুঘর, ii) প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, iii) ঐতিহাসিক গৃহ যাদুঘর, iv) শিল্প যাদুঘর, v) প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘর, vi) বিজ্ঞান যাদুঘর, vii) সামরিক যাদুঘর, viii) জীবন্ত যাদুঘর, ix) চলমান যাদুঘর, x) ব্যক্তিগত যাদুঘর ইত্যাদি । 

9. সর্বজনীন যাদুঘর কোন যাদুঘরকে বলা হয় ? 
উঃ British Museum কে সর্বজনীন যাদুঘর (Universal Museum) বলা হয় । এই যাদুঘর বিশ্বকোষ যাদুঘরেরও শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ।

প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশবিদ্যা

1. ভারতে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযোজ্য পরিবেশবিদ্যা বিষয়টির প্রথম পাঠক্রম কখন প্রকাশ করা হয় ? 
উঃ "Nature Environment and Pollution Technology" নামক জার্নালে 2010 সালে প্রকাশিত "Environmental Education and Curriculum at Primary Level" নামক আর্টিকেলে Geetha G. Nair উল্লেখ করেন NCERT 1963 সালে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়টিকে ভিত্তি করে প্রাথমিক স্তরের (I–VIII) জন্য পরিবেশবিদ্যার প্রথম পাঠক্রমটি প্রস্তুত করে । এই পাঠক্রমে পরিবেশবিদ্যার বিষয় হিসাবে Air, Water and Weather; Rocks, Soils এবং Minerals ইত্যাদি বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয় । 

2. কোন পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রথম পরিবেশবিদ্যা বিষয়টি প্রাথমিক স্তরে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমে পাঠ্যবিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় ? 
উঃ 1975 সালে গঠিত The Review Committee এর "The Curriculum for the Ten Year School – A Framework (1975)" অনুযায়ী পরিবেশবিদ্যা বিষয়টি প্রথম প্রাথমিক স্তরে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমে পাঠ্যবিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় । 

3. প্রাথমিক স্তরে (I-II) পরিবেশবিদ্যা বিষয়টির পাঠক্রম হিসাবে 1975 সালে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয় ? 
উঃ প্রাথমিক স্তরে (I-II) পরিবেশবিদ্যা বিষয়টির পাঠক্রম হিসাবে 1975 সালে সমাজ বিদ্যা এবং সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের বিভিন্ন টপিক অন্তর্ভুক্ত করা হয় । 

4. প্রাথমিক স্তরে (III-V) পরিবেশবিদ্যা বিষয়টির পাঠক্রম হিসাবে 1975 সালে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয় ?
উঃ 1975 সালে প্রাথমিক স্তরে (III-V) পরিবেশবিদ্যা বিষয়টিকে দুটি পর্বে বিন্যাস করা হয় যেখানে পাঠক্রম হিসাবে 'Environmental Studies – I' এ সমাজবিদ্যার টপিক এবং 'Environmental Studies – II' এ সাধারণ বিজ্ঞানের টপিক অন্তর্ভুক্ত করা হয় । 

5. NPE - 1986 অনুযায়ী National Curriculum for Elementary and Secondary Education – A Framework (1988) তে পরিবেশবিদ্যা বিষয়টিকে কয়টি ভাগে বিভক্ত করে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ? 
উঃ NPE - 1986 অনুযায়ী National Curriculum for Elementary and Secondary Education – A Framework (1988) তে পরিবেশবিদ্যা বিষয়টিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে Environmental Studies I & II হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । 

6. NCF 2005 অনুযায়ী পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের প্রধান কয়টি সাধারণ থিম রয়েছে ? 
উঃ NCF 2005 অনুযায়ী পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের প্রধান 6 টি সাধারণ থিম রয়েছে, এগুলো হলঃ i) পরিবার এবং বন্ধু (Family and friends), ii) খাদ্য (Food), iii) আশ্রয় (Shelter), iv) জল (Water), v) ভ্রমণ (Travel) এবং vi) আমাদের করণীয় বিষয় (Things we make and do) ইত্যাদি । 

7. NCF 2005 অনুযায়ী তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশবিদ্যায় পরিবেশের উপাদান হিসাবে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ? 
উঃ NCF 2005 অনুযায়ী তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশবিদ্যায় পরিবেশের উপাদান হিসাবে - প্রাকৃতিক (Physical, জৈবিক (Biological), সামাজিক (Social) এবং সংস্কৃতিক (Cultural) বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । 

8. NCF 2005 অনুযায়ী পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রমের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি কিকি ? 
উঃ NCF 2005 অনুযায়ী পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রমের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হলঃ i) পরিবেশবিদ্যা শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । ii) শিশুর সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার জ্ঞানের বিকাশ । iii) বৃহত্তর ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রকৃতি সমন্ধে জ্ঞান অর্জন । iv) মানব কল্যাণে পরিবেশবিদ্যা শিক্ষার ভূমিকা উপলব্ধি । v) মানবতাবোধে পরিবেশবিদ্যা শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি । 

9. NCF 2005 অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রম তৈরির মৌলিক বিষয়গুলি কিকি ? 
উঃ NCF 2005 অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রম তৈরির মৌলিক বিষয়গুলি হলঃ i) শিশু শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তরে আনন্দচিত্তে পারিপার্শ্বিক জগতের সাথে অভিযোজিত হবে এবং মূল্যবোধ গঠন করবে । ii) প্রাথমিক স্তরে পরিবেশবিদ্যা বিষয় পাঠের উদ্দেশ্য হবে শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষ ও জীব প্রকৃতি সম্পর্কে কৌতুহল জাগ্রত করা এবং তার লালনপালন করা । iii) শিশুর পর্যবেক্ষণ ও শ্রেণিবিভাজনের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে মৌলিক জ্ঞান ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটানো । iv) স্বাস্থ্য বিষয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে সচেতন করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান বিকশিত করা ইত্যাদি । 

10. NCF 2005 অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রম তৈরির মৌলিক বিষয়গুলি কিকি ? 
উঃ NCF 2005 অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের পাঠক্রম তৈরির মৌলিক বিষয়গুলি হলঃ i) প্রাথমিক স্তরে অর্জিত পরিবেশবিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞানের উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে প্রয়োগের দক্ষতা অর্জন করা । ii) পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের বিশ্লেষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলীর বিচার করার ক্ষমতা অর্জন করা । iii) মানবাধিকার বিষয়ের জ্ঞান সঞ্চার করা । iv) সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, স্বাধীনতা, মূল্যবোধ, আত্মমর্যাদা, শ্রদ্ধা, বিনয়, অতীত ঐতিহ্য, পরম্পরা ইত্যাদি সম্পর্কে বোধ ও জ্ঞানের বিকাশ সাধন ইত্যাদি ।

Friday, 24 July 2020

শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশ বিজ্ঞান 1

1. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science) বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ পরিবেশ, পরিবেশকেন্দ্রিক বিভিন্ন উপাদান যেমন প্রাকৃতিক, রাসায়নিক ও জৈবিক ইত্যাদি এবং মানব জীবনে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশের প্রভাব সমন্ধে সমন্বিত আলোচনা উপস্থাপন করা হয় বিজ্ঞানের সেই শাখাকে পরিবেশ বিজ্ঞান বলা হয় । অন্যভাবে বলা যায় - "Environmental science is defined as a branch of biology focused on the study of the relationships of the natural world and the relationships between organisms and their environments."

2. পরিবেশ বিজ্ঞান কোন কোন বিষয়ের সমন্বয়ে বিকশিত হয়েছে ?  
উঃ পরিবেশ বিজ্ঞান বিভিন্ন বিষয়ের শৃঙ্খলাবদ্ধ সমন্বয়ের ফলে বিকশিত একটি বিষয় । এই বিষয়গুলির মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জীববিদ্যা, ভূগোল, ভূ-তত্ব, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, জলবিদ্যা, সমাজ বিদ্যা উল্লেখযোগ্য । 

3. "Environment" শব্দটি প্রথম কে চয়ন করেন ? 
উঃ "Literature Compass" নামক অনলাইন জার্নালে 2012 সালে প্রকাশিত Jessop, R. তার আর্টিকেলে উল্লেখ করেন যে জার্মান লেখক Johann Wolfgang von Goethe এর ব্যবহৃত জার্মান শব্দ "Umgebung" এর অনুবাদ করতে গিয়ে ব্রিটিশ ঐতিহাসিক Thomas Carlyle "Environment" শব্দটি প্রথম চয়ন করেন ।  

4. পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রেক্ষাপট তৈরিতে কাদের কার্যাবলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ? 
উঃ আমেরিকান 26 তম রাষ্ট্রপতি Theodore Roosevelt, আমেরিকান পরিবেশবিদ Aldo Leopold, ব্রিটিশ-আমেরিকান পরিবেশ দার্শনিক তথা  "Father of the National Parks"- John Muir, প্রখ্যাত আমেরিকান সামুদ্রিক জীববিদ Rachel Louise Carson, আমেরিকান সংরক্ষণবিদ তথা "Man and Nature" (1864) গ্রন্থের লেখক George Perkins Marsh এর কার্যাবলীর ভিত্তিতে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় । 

5. কোন সময় কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়টির সূচনা হয় ? 
উঃ 1962 সালে Rachel Carson এর "Silent Spring" বইটি প্রকাশের পর রাসায়নিক ও কীটনাশকের প্রয়োগে বাস্তুতন্ত্রে কুপ্রভাবের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের দরবারে পরিবেশের অবনমন বিষয়টি স্পষ্ট হয় এবং পরিবেশ সচেতনতার প্রয়োজনে Biology, Ecology, Geology ও Chemistry ইত্যাদি বিষয়ের এর সমন্বয়ে 1960 এর দশকে "Environmental Science" বিষয়টির আত্মপ্রকাশ ঘটে । 

6. কাকে পরিবেশগত শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা পিতা হিসাবে গণ্য করা হয় ? 
উঃ সারা বিশ্বে এবং নিজের দেশ স্কটল্যান্ডে পরিবেশগত শিক্ষা নীতি ও কর্মসূচী প্রতিষ্ঠার জন্য অগণিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ প্রদান করার জন্য স্কটিশ অধ্যাপক তথা প্রথম Environmental Education এর সংজ্ঞা প্রদানকারী অধ্যাপক John Smyth কে পরিবেশগত শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা পিতা হিসাবে গণ্য করা হয় । (Source :- Environmental Education Research, Vol. 11, No. 2, April 2005) 

7. শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের উদ্ভবের কারণ কি ? 
উঃ শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের উদ্ভবের সঙ্গত কারণগুলি হলঃ i) জটিল পরিবেশগত সমস্যার বিশ্লেষণের জন্য একটি বহু-শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, ii) নির্দিষ্ট পরিবেশগত আচরণবিধির গবেষণার জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশগত নীতির প্রয়োজনীয়তা এবং iii) পরিবেশগত সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য  জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি । 

8. পরিবেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়ার কথা কোন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ? 
উঃ  1987 সালে প্রকাশিত Brundtland Commission এর "Our Common Future” শীর্ষক রিপোর্টে পরিবেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিজ্ঞানের গুরুত্ব নতুন মাত্রা ধারণ করে । 

9. "Global Environment Policy: Concepts, Principles, and Practice" গ্রন্থের লেখক কে ? 
উঃ আমেরিকান লেখক Charles H. Eccleston "Global Environment Policy: Concepts, Principles, and Practice" গ্রন্থের লেখক; গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় 2010 সালে । 

10. ভারতে কোন সময় থেকে Environmental Education এর সূচনা হয় ? 
উঃ ভারতে NPE 1986 এর “Protection of the environment is a value which must form an integral part of the curriculum at all stages of education” দৃষ্টিভঙ্গি থেকে 1986 থেকেই Environmental Education এর সূচনা হয় ।

শিশু মনস্তাত্ত্বিক কিছু গ্রন্থ:প্রথমপর্ব

1. "Psychology and Social Problems" লেখকঃ Michael Argyle, প্রথম প্রকাশিত হয় 1964 সালে । 

2. "Psychology of Infancy and Early Childhood" লেখকঃ Ada Hart Arlitt, প্রথম প্রকাশিত হয় 1946 সালে । 

3. "The Psychology of Human Growth and Development" লেখকঃ Don C. Charles and Warren Robert Baller, প্রথম প্রকাশিত হয় 1961 সালে । 

4. "Behaviour in Infancy and Early Childhood" লেখকঃ Y. Brackbill ও G. G. Thompson, প্রথম প্রকাশিত হয় 1967 সালে । 

5. "Child Development" লেখকঃ M. E. Breckenridge ও E. L. Vincent, প্রথম প্রকাশিত হয় 1966 সালে । 

6. "From birth to maturity" লেখকঃ Charlotte Buhler, প্রথম প্রকাশিত হয় 1935 সালে । 

7. "An Introduction to Child Guidance" লেখকঃ Winifred Mary Burbury প্রথম প্রকাশিত হয়, 1945 সালে । 

8. "Human intelligence; its nature and assessment" লেখকঃ Harold Butcher,
প্রথম প্রকাশিত হয় 1968 সালে ।  
9. "Social Training from Childhood to Maturity" লেখকঃ Nancy Catty প্রথম প্রকাশিত হয়, 1951 সালে । 

10. "Worry and Its Control" লেখকঃ Matthew N. Chappell" প্রথম প্রকাশিত হয়, 1961 সালে । 

11. "Readings in Psychology" লেখকঃ John Cohen প্রথম প্রকাশিত হয়, 1964 সালে । 

12. "Repressed Emotions" লেখকঃ Isador H. Coriat প্রথম প্রকাশিত হয়, 1920 সালে । 

13. "The Language of Emotion" লেখকঃ Joel R . Davitz প্রথম প্রকাশিত হয়, 1969 সালে । 

14. "Readings in Child Psychology" লেখকঃ Wayne Dennis, প্রথম প্রকাশিত হয় 1961 সালে । 

15. "Some Contributions to Child Psychology" লেখকঃ Margaret Drummond, প্রথম প্রকাশিত হয় 1923 সালে ।

শিক্ষাব্যবস্থায় সমাজবিদ্যা

1. সমাজবিদ্যা (Social Studies) বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ সমাজবিদ্যা বলতে বোঝায় এমন একটি শিক্ষা বিষয়কে যেখানে মানবীয় আচরণ ও মানবীয় আন্তঃক্রিয়াশীলতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবহারিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয় । 1916 সালে "Committee on Social Studies Report" এ সমাজবিদ্যা সম্পর্কিত প্রথম সংজ্ঞা প্রদান করা হয়, যেখানে বলা হয় - "The social studies are understood to be those whose subject matter relate to the organization and development of human society, and to man as a member of social groups." এটি David Warren Saxe 1991 সালে প্রকাশিত তার "Social Studies in Schools: A History of the Early Years" নামক গ্রন্থে পুনরায় প্রকাশ করেন । 
National Council for Social Studies 1993 সালে Social Studies এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন - “The integrated study of the social sciences and humanities to promote civic competence.”
1977 সালে প্রকাশিত Robert D. Barr, James L. Barth, S. Samuel Shermis তাদের "Defining the Social Studies" গ্রন্থে সমাজবিদ্যার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন - “Social studies is an integration of experience and knowledge concerning human relations for the purpose of citizenship education” 

2. কোন বিষয় থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজবিদ্যা বিষয়টি উদ্ভুত হয়েছে ? 
উঃ সমাজবিদ্যা বিষয়টি কোন স্বতন্ত্র বিষয় নয় । মানবীয় সমাজ সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তারকারী বিভিন্ন বিষয়ের ব্যবহারিক ক্ষেত্রের আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্গত বিষয় নিয়ে সমাজবিদ্যা বিষয়টি সৃষ্টি হয়েছে । মূলত সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science) এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রের বিষয়বস্তুর আলোচনার প্রেক্ষিতে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজবিদ্যা বিষয়টি উদ্ভুত হয়েছে । 

3. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science) বলতে কি বোঝায় ?
উঃ সামাজিক বিজ্ঞান বলতে এমন একটি শিক্ষা বিষয়কে যেখানে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের সামাজিক উপযোগীতার ভিত্তিতে মানব সভ্যতার বিকাশের বিভিন্ন কার্য-কারণ পদ্ধতির বিজ্ঞানভিত্তিক তাত্বিক আলোচনা প্রস্তুত করা হয় । Dr Eugene T. Aliegba 2004 সালে প্রকাশিত তার "The humanities and social-economic development in Nigeria. A critical evaluation" নামক গ্রন্থে  উল্লেখ করেন - "Social Science as a discipline that deals with socio-cultural aspect of human behaviours." 
oxford advance learner’s dictionary 7th edition (2006) অনুযায়ী - "Social Science as the study of people in the society or a particular subject connected with the study of people in society.."
Adagba Okpaga 2013 সালে প্রকাশিত "Invigorating the social science for national development" এ সামাজিক বিজ্ঞানকে "The discipline of study that attempt to give an understanding and explanation of human activity in the context of social relations, social groups and institution." হিসাবে ব্যখ্যা করেছেন । 


4. শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজবিদ্যার বিষয় হিসাবে কোন কোন বিষয়গুলি (Subjects) অন্তর্ভুক্ত ? 
উঃ সমাজবিদ্যার সূচনাকালে অর্থাৎ 1850 থেকে 1910 এই সময় পর্যায়ে সমাজবিদ্যার বিষয় হিসাবে মূলত ইতিহাস (History), পৌরবিজ্ঞান (Civics) এবং ভূগোল (Geography) এই তিনটি বিষয় অন্তর্গত ছিল । পরবর্তী সময়ে এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটে এবং অর্থনীতি (Economics) ও সমাজমিতি (Sociology) বিষয়দুটি সমাজবিদ্যার বিষয় হিসাবে অন্তর্গত হয় । 

5. কার কার্যাবলীর ভিত্তিতে বিষয় হিসাবে সমাজবিদ্যা এর ভিত্তি গড়ে ওঠে ?  
উঃ 1977 সালে প্রকাশিত Robert D. Barr, James L. Barth, S. Samuel Shermis তাদের "Defining the Social Studies" গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে John Dewey এর কার্যাবলীর প্রভাবে সমাজবিদ্যা বিষয়টির ভিত্তি গড়ে ওঠে । পরবর্তীকালে George Counts, Edgar Wesley, Harold Rugg, এবং Earle Rugg বিষয়টিকে জনপ্রিয় করে তোলেন । 

6. কাকে সমাজবিদ্যা বিষয়ের জনক বলা হয় ? 
উঃ আমেরিকান অধ্যাপক Edgar Bruce Wesley 1937 সালে প্রকাশিত তার "Teaching the Social Studies: Theory and Practice." নামক গ্রন্থে সমাজবিদ্যা বিষয়ের অতীত, বর্তমান ও ভবিষৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টিকে নতুন মাত্রা প্রদান করেন, এই কারণেই তাকে অনেক শিক্ষাবিদ সমাজবিদ্যা বিষয়ের জনক হিসাবে অভিহিত করেন । 

7. কোন সময় কোথায় শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজবিদ্যা বিষয়টির ভিত্তি স্থাপিত হয় ? 
উঃ Saxe (1991) এর মতে 1820 এর দশকে গ্রেট ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যবস্থায় সমাজবিদ্যা বিষয়টির ভিত্তি স্থাপিত হয় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই তা আমেরিকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । 

8. কোন দেশে প্রথম জাতীয় স্তরে সমাজবিদ্যা বিষয়টির পঠন-পাঠন আরম্ভ হয় ? 
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় স্তরে সমাজবিদ্যা বিষয়টির পঠন-পাঠন আরম্ভ হয় । আমেরিকায় National Education Association (NEA) দ্বারা Clarence Kingsley এর তত্বাবধানে 1911 সালে গঠিত Commission for the Reorganization of Secondary Education (CRSE) এর July 13, 1913 রিপোর্ট প্রকাশের পর 1916 থেকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্তরে সমাজবিদ্যা বিষয়টির পঠন-পাঠন আরম্ভ করে । 

9. National Council for the Social Studies (NCSS) কখন স্থাপিত হয় ? 
উঃ 1921 সালে আমেরিকার কলম্বিয়াতে 50 টি দেশীয় রাজ্য এবং 69 টি অন্য দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় National Council for the Social Studies (NCSS) স্থাপিত হয় । এর মূল উদ্দেশ্য ছিল একই ছাতার নীচে History, Geography, Economics, Political Science, Sociology, Psychology, Anthropology এবং Law-related Education ব্যবস্থার ভবিষৎ রূপরেখা তৈরি করা ।

বায়ুমন্ডল : প্রশ্ন ও উত্তর

1. বায়ুমন্ডল কাকে বলে?
উঃ- সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। যা গ্যাস, জলীয়বাষ্প ও বিভিন্ন জৈব-অজৈব কণিকা দ্বারা গঠিত।  বায়ুমণ্ডলের 97% বিরাজ করে 30 কিমি উচ্চতার মধ্যে। বিজ্ঞানী Patterssen তাপমাত্রার তারতম্য অনুসারে বায়ুমন্ডলকে ট্রোপ, স্ট্র্যাটো, মেসো, আয়ন/থার্মো, এক্সো এবং ম্যাগনেটো-স্ফিয়ারে ভাগ করেন।  সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 90 বা 100 কিমি পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলীয় অংশ আবহবিদ্যার অন্তর্গত।

2. Aerosol কি?
উঃ "Aerosol" শব্দটি দুটি শব্দের মিলন- 'Air'+'Sol', যার অর্থ "বায়ু মিশ্রিত ধূলিকনা"। বায়ুমন্ডলে ভাসমান মরু অঞ্চল ও সমুদ্রতীরের অতিসূক্ষ ধূলিকণা, খনিজ, লবণকণা এবং কলকারখানা, আগ্নেয়গিরি হতে উৎক্ষিপ্ত ছাই, ভস্ম, উল্কাপাতের ধূলিকণা ইত্যাদির  সম্মিলিত অবস্থাকে  "Aerosol" বলে।

3. Troposphere কে "ঘনমন্ডল" বলা হয় কেনো?
উঃ  সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে গড়ে 18 কিমি (ক্রান্তীয় অঞ্চলে 14 কিমি, মেরুতে 8 কিমি) উচ্চতা যুক্ত বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর Troposphere কে ঘনমণ্ডল বলে, কারণ  - i) বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদানের (N2, O2, CO2, H2, হিলিয়াম) 75% এই স্তরে থাকে, ii) বায়ুমন্ডলের মোট জলীয়বাস্পের 90% এই স্তরে থাকে, iii) ধূলিকণা, লবনকণা, সিন্ডার, উড়ন্ত ছাঁই, ভস্ম, ধোঁয়া, বিভিন্ন জৈব কণিকা প্রভৃতির বেশির ভাগই এই স্তরে পাওয়া যাওয়ায় ফলে স্তরটি সংবদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি করে ।

4. INSOLATION কি?
উঃ The word insulation means- "contraction of short wave incoming solar radiation".অর্থাৎ প্রতিমিনিটে সূর্য্য থেকে নির্গত শক্তি ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে বিরামহীন ভাবে প্রায় 300000 কিমি/সেকেন্ড বেগে পৃথিবীতে এসে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে পৃথিবীর জৈবিক  প্রক্রিয়া এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে Insolation বলে।

5. Solar Constant কাকে বলে?
উঃ সূর্য্য প্রতিনিয়ত যে তাপশক্তি বিকিরণ করে, তার মাত্র 200 কোটি ভাগের 1 ভাগ পৃথিবীতে এসে পড়ছে,  সৌর কিরণের যতটুকু অংশ ভূ-পৃষ্ঠে প্রতি মিনিটে লম্ব ভাবে পড়ে তাকে Solar Constant বলে। এর পরিমানের আয়তন প্রতি মিনিটে প্রায় 1.95 ল্যাঙল/বর্গসেমি:। বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি 11 বছর অন্তর সৌর কলঙ্কের বিস্ফোরণ ঘটে, ফলে সৌর স্থিরাঙ্ক-এর ও তারতম্য ঘটে।


6. Heat Equator কি?
উঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি দ্রাঘিমায় সর্বোচ্চ উষ্ণতাকে মানচিত্রে কোনো রেখা দ্বারা যুক্ত করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে Heat Equeator বলে। নিরক্ষরেখা বরাবর উষ্ণতা বেশি বলে এই রেখা গুলি নিরক্ষরেখা বরাবর বিস্তৃত থাকে।

7. Onset Vortex কি?
উঃ কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় অনেক সময় গভীর নিম্নচাপের জন্য ভারতে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটে । একে Onset Vortex বলে।

8. ঘূর্ণবাতের চক্ষু কি? 
উঃ ক্রান্তীয় অঞ্চলে (5°N/S--30°N/S) অতি বিধ্বংসী (হ্যারিকেন,টাইফুন,টর্নেডো) ঝড়ের কেন্দ্রে উষ্ণতা বেশি হয়, ফলে কেন্দ্রে এক গতিহীন, শান্ত, প্রায় মেঘ শূন্য অবস্থা বিরাজ করে, একেই ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে। ঘূর্ণ বাতের চক্ষুর পরিধি সর্বাধিক 80 কিমি এবং বায়ুরগতিবেগ ঘন্টায় 120-130 কিমি পর্যন্ত হয়। এখানে ব্যারোমিটারের পারদস্তম্ভ দ্রুত নেমে যায়।

9. SALR/WALR বা Wet Adiabetic Lapse Rate কি?
উঃ ঘনীভবন কালে সমতলের উপর বায়ু ভিন্ন হারে শীতল হয়। ঘণীভবন সমতলের উপরে যে হারে সম্পৃক্ত বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় তাকে আর্দ্রতাপ বিযুক্তি হার বা WALR বলে। একেই আবার Saturated Adiabetic Lapse Rate বা SALR বলে। এখানে তাপমাত্রা হ্রাসের হার 4℃ থেকে 9℃/কিমিতে।

10. ওজোন স্তর সংরক্ষনের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে গৃহীত পদক্ষেপ গুলি কি কি ?
উঃ ওজোন স্তর সংরক্ষনের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে গৃহীত পদক্ষেপ গুলি হল-- ভিয়েনা কনভেনশন (1985), মন্ট্রিল চুক্তি (1987), লন্ডন সম্মেলন (1989) বসুন্ধরা সম্মেলন (1992) ইত্যাদি।

Saturday, 11 July 2020

Child Psychology

1. বৃদ্ধি কাকে বলে ?
উঃ  মনোবিদ Arnold Jones এর মতে "দেহের উচ্চতা ও ওজন বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে ।" বৃদ্ধি বলতে বোঝায় ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতিমূলক পরিবর্তন, অগ্রগতিমূলক কথার অর্থ হল সামনে দিকে এগিয়ে চলে পশ্চাতের দিকে নয় । ধারাবাহিকতার অর্থ হল পরিবর্তন আগে ও পরে নিদির্ষ্ট পরিমানে হয় ।

2. পরিনমন কাকে বলে ?
উঃ সহজাত বা জিনগতভাবে শিশু যে বৈশিষ্ট্যাবলী নিয়ে আসে তার প্রকাশকেই পরিনমন বলে । মনোবিদ R. N. KOLESNICK  এর মতে"  জন্মগত প্রবনতাগুলি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হওয়ার ফলে শিশুর আচরনের গুনগত ও পরিমানগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই হল পরিনমন ।"

3. বৃদ্ধির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন ।
উঃ বৃদ্ধির দুটি বৈশিষ্ট্য হল :- i) বৃদ্ধি বাংশধারা ও পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার দ্বারা হয় । ii) বৃদ্ধি অনুশীলন নির্ভর, বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধির পার্থক্য পরিলিক্ষত হয় ।


4. বৃদ্ধিকে নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া কেন বলা হয়  ?
উঃ একটা স্তর পর্যন্ত  বৃদ্ধি নিরবচ্ছিন্ন এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া । বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্য টি মুখ্য  আবার একই সঙ্গে অসুবিধাজনক । শিশুর বৃদ্ধি নিরবচ্ছিন্ন ঘটে । বয়স ভেদে বৃদ্ধির পরিবর্তন ঘটতে পারে । কিন্তু কোনো বয়সে তা থেমে গিয়ে আবার শুরু হয়  এই পদ্ধতিতে ঘটে না, তাই বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিকতা একটি অন্যতম প্রধান শর্ত হিসাবে কাজ করে ।

5. শিশুর দৈহিক বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম নীতিটি লিখুন ।
উঃ শিশুর দৈহিক বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম নীতিটি হল শিশুর দৈহিক বিকাশ শিশুর উদ্ধাংশ থেকে ক্রমশ নিন্মাংশের দিকে ঘটে ।
6. দৈহিক বিকাশের নিয়ম গুলি লিখুন ।
উঃ দৈহিক বিকাশের নিয়ম গুলি  হল :- i) Law of Continuity, ii) Law of Development Activity, iii) Law of Rhythmic  Growth.


7. কোন মনোবিদ বৃদ্ধির হারের উপর দীর্ঘ অধ্যয়ন পদ্ধতি (Longitudinal Method) ব্যবহার করেছিলেন ?
উঃ মনোবিদ H . V. Meredith  বৃদ্ধির হারের উপর দীর্ঘ অধ্যয়ন পদ্ধতি (Longitudinal Method) ব্যবহার করেছিলেন ।
8. মনোবিদ H . V. Meredith এর মতানুযায়ী কখন শিশুর বৃদ্ধির হার  সবচেয়ে বেশি থাকে ?
উঃ মনোবিদ H . V. Meredith এর মতানুযায়ী  শিশুর জন্ম থেকে  ২ বছর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি থাকে ।

9. বৃদ্ধি বিকাশ  এবং  হাত ও চোখের  সমন্বয়ে কাজের উপর কোন মনোবিদ  বিশদে আলোচনা করেছেন  ?
উঃ বৃদ্ধি বিকাশ  এবং  হাত ও চোখের  সমন্বয়ে কাজের উপর  মনোবিদ হিলড্রেথ  বিশদে আলোচনা করেছেন ।

10. শিশুর বৃদ্ধিতে সেরিবেলাম বা করটেক্স এর ভূমিকা কী ?
উঃ সেরিবেলাম বা নিন্ম মস্তিষ্ক  যা ভারসাম্য  নিয়ন্ত্রণ করে  অল্প বয়স থেকেই  সক্রিয় হয় এবং যা ৫ বছর বয়সে পূর্ণতা লাভ করে অন্যদিকে কর্টেক্স বা উচ্চ মস্তিষ্ক  বিশেষ করে  ফ্রন্টল লবস  অংশ  যা চলন দক্ষতাকে নিয়ন্ত্রণ  করে  একটু বিলম্বে কার্যকারিতা  লাভ করে এবং এর বিকাশ ধীর গতিতে হয় ।

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...