Friday, 26 June 2020

জাতীয় শিক্ষা নীতি NATIONAL EDUCATION POLICY

1. জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Police on Education) বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ ভারতের জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক প্রণীত শিক্ষা নীতিকে জাতীয় শিক্ষা নীতি বলা হয় । সময়ের সাথে সাথে এই নীতি পরিবর্তিত ও প্রসারিত হয়ে থাকে । 

2. ভারতে জাতীয় শিক্ষা নীতি গ্রহণের পূর্বে কোন কোন শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় ? 
উঃ ভারতে জাতীয় শিক্ষা নীতি গ্রহণের পূর্বে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের জন্য তিনটি কমিশন গঠিত হয়, যথাঃ 1948–1949 এর University Education Commission, 1952–1953 এর The Secondary Education Commission, 1964–66 এর The Kothari Commission .

3. স্বাধীনতা পূর্ব থেকে পরবর্তী সময়কালে ভারতীয় শিক্ষার উন্নয়নে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকমিশন/প্রতিবেদন গুলি কিকি ? 
উঃ 1.স্বাধীনতা পূর্ব থেকে পরবর্তী সময়কালে ভারতীয় শিক্ষার উন্নয়নে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকমিশন/প্রতিবেদন গুলি হলঃ i) The Indian Education Commission, or Hunter Commission -1882, ii) The Indian Universities Commission -1902, iii) The Calcutta University Commission - 1917-19, iv) The Hartog Committee - 1928-29. v) Abbot-Wood Committee - 1936-37, vi) Zakir Hussain/Wardha Committee on Basic Education - 1938, vii) The Sergeant Report - 1944, The University Education Commission/ Radhakrishnan Commission - 1948-49, viii) B. G. Kher Committee on Primary Education - 1951, ix) The Secondary Education Commission - 1952-53, x) Official Language Commission - 1956, xi) The university Grants Commission/ Kunzuru Committee Report. xii) The Education Commission/ Kothari Commission - 1964-66, xiv) Dr. Trigun Sen/ Higher Education Committee Report - 1967, xv) The Study Group Reports on the Teaching of English - 1967-71, xvi) National Policy on Education - 1986,  xvii) Archarya Ramamurti Commission - 1990।

4. এখনো পর্যন্ত কয়টি শিক্ষানীতি গৃহীত হয়েছে ? 
উঃ এখনো পর্যন্ত চারটি শিক্ষানীতি গৃহীত হয়েছে, তার মধ্যে দুটি শিক্ষানীতি স্বতন্ত্র, একটি পরিমার্জিত এবং একটি খসড়া (Draft) অবস্থায় রয়েছে । 

5. প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি কখন গৃহীত হয় ? 
উঃ 1968 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এবং শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেন এর সময়কালে ভারতের প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি গৃহীত হয় । 


6. কোন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৎকালীন ভারত সরকার প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করেন ? 
উঃ The Kothari Commission (1964–66) এর রিপোর্ট এবং সুপারিশের ভিত্তিতে তৎকালীন ভারত সরকার প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করেন । 

7. প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতির জন্য কখন খসড়া কমিটি গঠিত হয় ? 
উঃ প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতির জন্য ভারত সরকার 1967 সালের 5 ই এপ্রিল 'The Committee of Members of Parliament on Education' নামক 30 সদস্যের খসড়া কমিটি গঠিত হয় । 

8. প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি অন্য কি নামে পরিচিত ? 
উঃ প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতি "National School System" নামেও পরিচিত । 

9. প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতিতে অনুসৃত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি কিকি ? 
উঃ প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতিতে অনুসৃত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি হলঃ i) বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা (Free and Compulsory Education), ii) শিক্ষকদের মর্যাদা, সক্ষমতা ও শিক্ষা সুনিশ্চিত করা (Status, Emulations and Education of Teachers), iii) ভাষার বিকাশ (Language Development), iv) সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি (Education Opportunity for all), v) সময় সময় অগ্রগতি পর্যালোচনা (To review the progress), vi) সংস্কৃত ভাষার উন্নতি সাধন করা (Development of Sanskrit language), vii) ভারতের সম্মিলিত সংস্কৃতিতে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে হিন্দি ভাষার গুরুত্ববৃদ্ধি (Promotion of Hindi as a medium of expression in the composite culture of India), viii) সারাদেশে শিক্ষার সাধারণ গ্রহণযোগ্য কাঠামোর বিকাশ (The acceptance of common structure of education throughout the country), ix) আন্তর্জাতিক ভাষা, বিশেষত ইংরেজী অধ্যয়নের উপর গুরুত্বআরোপ করা (Emphasis on the study of international language, especially English) ইত্যাদি । 

10. প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতির লক্ষ্যগুলি কিকি ছিল ? 
উঃ প্রথম জাতীয় শিক্ষা নীতির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলি ছিল - i) সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা, ii) শিক্ষাব্যবস্থাকে বিজ্ঞানসম্মত করা এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো, iii) সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রগতি মসৃণ করা, iv) মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা ইত্যাদি ।

Thursday, 25 June 2020

ভূগোল শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী

1. সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী (Co-curricular Activities) বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ বিদ্যালয় (প্রথাগত) শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ ক্রমের অন্তর্ভুক্ত না হয়েও যে সমস্ত কার্যাবলী শিক্ষার্থীদের সামাজিকিকরণ, চরিত্র গঠন, প্রত্যক্ষ জ্ঞানের সংগঠন, দেহ ও মনের সার্বিক বিকাশে সহায়তা করে সেই সমস্ত কার্যাবলীকে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী বলা যায় । Oxford Dictionary অনুযায়ী "Co-curricular Activities are defined as the activities that enables to supplement and compliment the curricular or main syllabi activities. " 
Secondary Educational Commission (Mudaliar Commission - 1952-53) অনুযায়ী "Co-curricular activities are as integral part of curricular activities of a school and their proper organization needs just as much care and forethought as the organization of curricular activities." 


2. সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উদ্দেশ্যগুলি কিকি ? 
উসহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) শিক্ষার্থীর নির্বাচিত লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য নির্বাচিত প্রয়োজনীয় সংকল্প এবং উৎসর্গের বিকাশ ঘটানো । ii) ব্যক্তিগত ইচ্ছার আগে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক শুভ মনোভাবের বিকাশ ঘটানো । iii) শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতা প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া । iv) শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক সুযোগগুলি সরবরাহ করা ইত্যাদি ।

3. ভূগোল শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি কিকি ? 
উঃ ভূগোল শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি হলঃ i) ভূগোল মিউজিয়াম তৈরি, ii) বুলেটিন বোর্ড তৈরি, iii) ভ্রমণ, iv) ভূগোল সমিতি বা ক্লাব পরিচালনা, v) ভূগোল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, vi) ভূগোল পত্রিকা প্রকাশ, vii) ভূগোল সংক্রান্ত বিশেষ কর্ম অনুশীলন, viii) বিতর্কসভার আয়োজন, ix) ভূগোল গ্রন্থাগার পরিচালনা ইত্যাদি । 
4. ভূগোল মিউজিয়াম বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ বিভিন্ন ভৌগোলিক উপাদান যা আমাদের চারপাশে ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং যেগুলো শ্রেণি শিক্ষণে কোন না কোন ভাবে ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে নির্দিষ্ট কক্ষে পৃথক পৃথকভাবে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থাকে ভূগোল মিউজিয়াম বলা যায় । এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন শিলা, মৃত্তিকা মডেল, বিভিন্ন চার্ট, ছবি, মডেল, ভৌগোলিক যন্ত্র প্রভৃতি সাজিয়ে রাখা হয় । 

5. ভূগোল মিউজিয়াম ধারণার প্রবক্তা কে ? 
উঃ ব্রিটিশ ভূতাত্বিক Henry Thomas De la Beche সর্বপ্রথম ভূগোল মিউজিয়াম ধারণার প্রবর্তন করেন । তার পরামর্শের ভিত্তিতেই 1835 সালে লন্ডনে The Museum of Practical Geology গড়ে ওঠে । 

6. ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনের পদ্ধতি কিরকম ? 
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনের ক্ষেত্রে সংগৃহীত ভৌগোলিক উপাদানগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগীভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক উপাদানের গায়ে শিক্ষামূলক পরিচিত লাগিয়ে রাখতে হবে । প্রত্যেকটি উপাদানের সঙ্গে একটি করে নির্দেশনা পত্র থাকবে যাতে উপকরণের নাম, প্রাপ্তির স্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লিখিত থাকবে । ভৌগোলিক যন্ত্রের ক্ষেত্রে যন্ত্রটির চিত্র সহ কার্যপ্রণালী উল্লেখ করতে হবে । 


7. ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি হবে ? 
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থী নিজের দ্বায়িত্বে নমুনা ও উপকরণ সংগ্রহ করে নিজেরাই সাজাবে, পরিচিতিপত্র তৈরি করবে এবং দর্শকদের দেখাবে । এছাড়া বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের মডেল নিজেরাই তৈরি করে পাঠ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে । 

8. ভূগোল মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্য কি ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) পরিবেশে সম্পর্কে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা এবং তাদের অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ ঘটানো । ii) প্রাকৃতিক সম্পদের কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা । iii) সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের মনোভাবের বিকাশসাধন করা ইত্যাদি । 

9. ভূগোল মিউজিয়ামের প্রধান উপাদানগুলি কিকি ? 
উঃ ভূগোল মিউজিয়ামে প্রধান উপাদান হিসাবে - i) ছবি, ছবি পোস্ট কার্ড এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন যাত্রার প্রতিফলক চিত্র (Illustrating painting), ii) বিভিন্ন ভৌগোলিক ঘটনা, ভৌগোলিক পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা উপস্থাপন করতে সক্ষম কাদামাটি বা প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন মডেল, iii) স্থানীয়ভাবে নির্মিত জিনিষ যেমন কাপড়, মৃৎপাত্র, কাঠের ও মানসিক কাজের নমুনা, iv) স্থানীয় বা আঞ্চলিক কৃষি ফসলের নমুনা, শিল্প মডেল, v) মহাবিশ্ব তথা সৌরজগতের মডেল, vi) প্রাপ্তি স্থানের উল্লেখ ও বৈশিষ্ট্য যুক্ত বিভিন্ন ধরনের শিলা, পাথর, খনিজ; vii) ) বিদেশী স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং পামফলেট ইত্যাদি রাখা যায় । 

10. ভূগোল মিউজিয়ামে স্থাপিত Showcases গুলির আয়তন কেমন হয় ? 
উঃ ভূগোল মিউজিয়ামে স্থাপিত Showcases গুলির আয়তন হয় 6X3X4 ফুট ।

Wednesday, 24 June 2020

তিপয় বাংলা সাহিত্যকর্মের প্রধান চরিত্র

তিপয় বাংলা সাহিত্যকর্মের প্রধান চরিত্র
----------------------------------------

✿ গল্প ও গল্পের প্রধান চরিত্র
➺ ছুটি – ফটিক, মাখন
➺ কাবুলীওয়ালা – রহমত, খুকী
➺ খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন – রাইচরণ
➺ পোস্টমাস্টার – রতন
➺ সমাপ্তি – মৃন্ময়ী
➺ নষ্টনীড় – চারু
➺ শাস্তি – দুখিরাম, ছিদাম, রাধা, চন্দরা
➺ পয়লা নম্বর – অনিলা
➺ ল্যাবরেটরী – মোহিনী, নন্দ কিশোর
➺ হৈমন্তী – হৈমন্তী, অপু
➺ মধ্যবর্তী – হরসুন্দরী, শৈলবালা
➺ হালদার গোষ্ঠী – বানোয়ারী লাল
➺ একরাত্রি – সুরবালা
➺ না-মঞ্জুর – গিরিবালা
➺ অতিথি – তারাপদ
➺ জীবিত ও মৃত – কদম্বিনী
➺ মেঘ ও রৌদ্র – শশীভূষণ
➺ বোষ্টামী – জানন্দী
➺ অপরিচিতা – কল্যাণী
➺ দিদি – শশীমুখী
➺ অাপদ – নীলকণ্ঠ
➺ ফুলের মূল্য – ম্যাগী
➺ ধ্বংস পথের যাত্রী – ভুলি
➺ অরক্ষণীয়া – জ্ঞানদা, দুর্গামণি
➺ রামের সুমতি – রাম, নারায়ণী
➺ মেজদিদি – হরিলক্ষী
➺ অভাগীর স্বর্গ – কাঙ্গালীর মা
➺ মহেশ – গফুর, অামিনা
➺ বিলাশী – বিলাশী, মৃত্যুঞ্জয়
➺ পণ্ডিত মশাই – বৃন্দাবন, কুসুম
➺ বড়দিদি – মাধবী, সুরেশ
➺ তারিণী মাঝি – সখী
➺ প্রাগৈতিহাসিক – ভিখু, পেহলাদ, পাঁচী
➺ পাশ-ফেল – নীরেন, বিমল, বকুল
➺ শিউলিমালা – শিউলিমালা
➺ অামরা তিনজনে – মোনালিসা
➺ জতুগৃহ – শতদল, মাধুরী
➺ পথ জানা নেই – গহুরালি
➺ নয়নচারা – অামু
➺ অাত্মজা ও একটি করবী গাছ – ফেকু

✿ নাটক ও নাটকের প্রধান চরিত্র

➺ শকুন্তলা – শকুন্তলা
➺ নীলদর্পণ – তোরাপ, নবীন, মাধবী, অাদুরী
➺ কৃষ্ণকুমারী – কৃষ্ণকুমারী, ভীম সিং, বিলাসবতী, মর্দানকী, তপস্বিনী।
➺ অচলায়তন – পঞ্চক
➺ ডাকঘর – অমল, সুধা, মাধব, দত্ত, ঠাকুর দা
➺ রক্তকরবী – নন্দিনী, রঞ্জন
➺গৃহ প্রবেশ – যতীন, মণি।
➺ রক্তাক্ত প্রান্তর – জোহরা, জরিনা, হিরণবালা, ইব্রাহীম কার্দি।

✿ উপন্যাস ও উপন্যাসের প্রধান চরিত্র

➺ অালালের ঘরে দুলাল – ঠকচাচা, বাঞ্ছারাম, বাবুরাম বাবু
➺ চোখের বালি – মহেন্দ্র, বিনোদিনী।
➺ গোরা – গৌরমোহন, সুচরিতা, ললিতা, বিনয়, লবণ্য।
➺ শেষের কবিতা – অমিত, লাবণ্য, শোভণলাল
➺ চতুরঙ্গ – দামিনী, শচীশ, শ্রী বিলাস
➺ ঘরে বাইরে – নিখিলেশ, বিমলা, মেজরানী।
➺ যোগযোগ – মধসূদন, কুমুদিনী।
➺ দুই বোন – শর্মিলা, শাশাঙ্ক, উর্মিমালা, নীরদ।
➺ মালিনী – নীরজা, অাদিত্য, সরলা
➺ দুর্গেশনন্দিনী – অায়েশা, তিলোত্তমা
➺ চন্দ্রশেখর – শৈবালিনী, দলনী বেগম, প্রতাপ, চন্দ্রশেখর।
➺ রজনী – রজনী, শচীন্দ্র।
➺ বিষবৃক্ষ – কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা, সূর্যমুখী।
➺ কৃষ্ণকান্তের উইল – ভ্রমর, রোহিনী, হরলাল, গোবিন্দলাল।
➺ পরিণীতা – ললিতা, শেখর।


➺ পল্লী সমাজ – রমা, রমেশ।
➺ দেনা-পাওনা – ষোড়শী, নির্মল।
➺ দত্তা – বিলাশ, বিজয়, নরেন।
➺ শ্রীকান্ত – শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, অন্নদা, রাজলক্ষ্মী, অভয়া।
➺ চরিত্রহীন – সতীশ, সাবিত্রী, কিরণময়ী, দিবাকর।
➺ গৃহদাহ – মহিম, সুরেশ, অচলা, মৃণাল।
➺ শেষের পরিচয় – সবিতা, রমণী, বাবু।
➺ কবি – ঠাকুর ঝি, নিতাই।
➺ রাইকমল – রসিকদাস, কমল, রঞ্জন।
➺ ধাত্রীদেববতা – শিবনাথ, গৌরী।
➺ রজনী – রজনী, সুনীল, অহিন্দ
➺ জাম – শঙ্কর।
➺ ক্যানভাসার – হীরালাল, কাত্যায়নী।
➺ জোহরা – জোহরা
➺ অনোয়ারা – অানোয়ারা
➺ অাব্দুল্লাহ – অাবদুল্লাহ, অাবদুল কাদের।
➺ পদ্মা নদীর মাঝি – মালা, কুবের, হোসেন মিয়া, কপিলা।
➺ লৌহকপাট – বিবি।
➺ ত্রিপদী – চারু, সলথ, দেবল।


✿ কাব্য ও কাব্যের প্রধান চরিত্র

➺ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন – বাধা, কৃষ্ণ, বড়াই।
➺ চন্ডীমঙ্গল – ফুল্লরা, ভাড়ুদত্ত, মুরারীশীল
➺ সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী – মহিষী ময়নামতি, রাজা লোর
➺ অন্নদামঙ্গল – ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী, বিদ্যা ও সুন্দর
➺ পদ্মাবতী – পদ্মাবতী
➺ চিত্রাঙ্গদা – চিত্রাঙ্গদা, অর্জুন
➺ বিদায় অভিশাপ – দেবযানী, কচ
➺ সতী – অমাবাঈ
➺ বিসর্জন – অপর্ণা, জয়সিংহ, রঘুপতি, গোবিন্দ মাণিক্য
➺ মালিনী – ক্ষোমংকর, মালিনী
➺ পদ্মপুরণ – চাঁদ সওদাগর, মনসা, লখিন্দর
➺ মেঘনাদবধ – মেঘনাদ, বীরবাহু, চিত্রাঙ্গদা, রাবণ, সীতা, লক্ষণ, রাম, বিভীষণ|

বাংলা সাহিত্যের চরিত্র ও তার স্রষ্টা

 *বাংলা সাহিত্যের চরিত্র ও তার ?    
উঃ নিরঞ্জন (শূন্য পূরণ)।
অমল চরিত্রের স্রষ্টা নাট্যকার কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ডাকঘর)।
ঠকচাচা নামক চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ প্যারীচাঁদ মিত্র (আলালের ঘরের দুলাল)।
রোহিনী চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?    
উঃ কৃষ্ণকান্তের উইল।
চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্য ধারার চরিত্র?    
উঃ মনসামঙ্গল।
রাজলক্ষ্মী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (শ্রীকান্ত)।
অমিত ও লাবন্য চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শেষের কবিতা)।
ললিতা চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গোরা)।
ললিতা ও শেখর চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পরিনীতা)।
রতন ও দাদাবাবু চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (পোষ্ট মাস্টার)।
হেমাঙ্গিনী ও কাদম্বিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মেজদিদি)।
কুবের চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (পদ্মানদীর মাঝি)।
মহিম, সুরেশ ও অচলা চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (গৃহদাহ)।
দীপাঙ্কর (দীপু), সতী, লক্ষ্মী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ বিমল মিত্র (কড়ি দিয়ে কিনলাম)।



দীপাবলী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ সমরেশ মজুমদার (দীপাবলী)।
রমা ও রমেশ চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পল্লী সমাজ)।
ষোড়শী ও নির্মল চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেনা-পাওনা)।
সতীশ ও সাবেত্রী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (চরিত্রহীন)।
নবকুমার কপালকুন্ডলা চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (কপালকু-লা)।
নবীন মাধব চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ দীনবন্ধু মিত্র (নীল দর্পণ)।
ঘটিরাম ডেপুটি ও নিমচাঁদ চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ দীনবন্ধু মিত্র (সধবার একাদশী)।
নন্দলাল চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ অমৃতলাল বসু (বিবাহ-বিভ্রাট)।
দেবযানী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ অমৃতলাল বসু (বিদায়-অভিশাপ)।
নন্দিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (রক্তকরবী)।
রাইচরণ চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন)।
মৃন্ময়ী ও অপূর্ব চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সমাপ্তি)।
সুরবালা চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (একরাত্রী)।
দুখিরাম ও চন্দরা চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শাস্তি)।
পার্বতী ও চন্দ্রমূখী চরিত্রের স্রষ্টা কে?    
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেবদাস)।

Saturday, 20 June 2020

নেহেরুর জীবন ইতিহাস ও ভারত

1} 1951 সালে নেপালের রাজা ত্রিভুবন নেপালকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নেহেরু তা প্রত্যাখ্যান করেন!

2} বালুচিস্তানের নবাব ওয়াহিদ খান নেহেরুকে চিঠি লিখে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিমত প্রকাশ করেন, কিন্তু নেহেরু তা প্রত্যাখ্যান করেন!
কিছুদিন পরেই পাকিস্তান বালুচিস্তানের কব্জা করে নেয়।

3} 1947 সালে ওমান নেহেরকে অফার দিয়েছিল আরব সাগরের তীরে গাদার পোর্ট কিনে নেওয়ার জন্য, কিন্তু নেহেরু প্রত্যাখ্যান করেন!
গাদার পোর্ট পাকিস্তান কিনে নিল, নিয়ে চিনকে লিজ দিয়ে দিল! চিন আমাদের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করল!

4} 1950 সালে নেহেরু বার্মাকে গিফ্ট হিসাবে দিলেন কোকো আইল‍্যাণ্ড! বার্মা ওটা বিক্রি করে দিল চিনকে!
চিন কোকো আইল্যান্ড নিয়ে সেখানে নৌ ঘাঁটি বানিয়ে ভারতের নৌবাহিনীর উপর নজরদারি শুরু করে দিল!

5} 1952 সালে অতি দয়ালু নেহেরু বার্মাকে দান করলেন কাবাও ভ‍্যালে! এর আয়তন 22,327 বর্গ কিলোমিটার! ওটা ছিল কাশ্মীরের মতন আর এক ভূ-স্বর্গ!
বার্মা ওটা নিয়েও চিনকে বিক্রি করে দিল!
চিন ভ‍্যালে তে বায়ুসেনা ঘাঁটি গড়ে আমাদের উপর গুপ্তচর বৃত্তি করছে!



6} ভারত স্বাধীনতা পাবার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন.এফ.কেনেডি নিউক্লিয়ারের উপর এক্সপিরিমেন্ট করার জন্য ও নিউক্লিয়ার সমৃদ্ধ দেশ হবার জন‍্য অফার দেয় নেহেরুকে, কিন্তু নেহেরু রিজেক্ট করলেন!
একসেপ্ট করলে আজকে চীনের বদলে NSG র সদস্য হতো ভারত।
আজ 70 বছর পর NSG তে ঢোকার জন্য পাঁপড় বেলতে হত না। আর চিনের দাদাগিরিও সহ্য করতে হত না!

7} 1950 সালে আমেরিকা ভারতকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়, কিন্তু দানবীর নেহেরু তা প্রত‍্যাখ‍্যান করে চিনের নাম প্রস্তাব করলেন! যার ফলে চিন আজকে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী।
1955 সালে আমেরিকা ও রাশিয়া যৌথভাবে ভারতকে অফার করল, কিন্তু নেহেরু স্বমহিমায় আবার প্রত‍্যাখ‍্যান করলেন!

8} 1947 সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের ট্রাইবাল আর্মি কাশ্মীরে প্রবেশ করল! সর্দার প‍্যাটেল ভারতীয় ফৌজ পাঠালেন কাশ্মীরের মহারাজকে সহায়তা করার জন্য।
ইণ্ডিয়ান আর্মি যখন পাকিস্তানের উপর বুলডোজার চালাচ্ছে ---- তখন নেহেরু হঠাৎ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলেন!
লাখো পাকিস্তানী সৈন্য বন্দী হওয়া সত্ত্বেও কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ পাকিস্তানের দখলে ছেড়ে দিলেন! যেটা আজকে POK নামে পরিচিত।

9} 1962 সালে ভারত-চিন যুদ্ধে ইন্ডিয়ান নিজেদের এয়ারফোর্স প্ল্যান অনুযায়ী চলতে চেয়েছিল ---- নেহেরু না করে দিলেন।
পরাজয় স্বীকার করলেন।
তিব্বত, কৈলাস মানস সরোবর এবং COK সহ আকসাই চিন নামক 72000 বর্গ কিমি জায়গা চিনকে উপহার ছেড়ে দিলেন!
পার্লামেন্টের ডিবেটে তিনি যুক্তি দিলেন ওই অঞ্চলে নাকি একটি ঘাসও জন্মায় না তাই ওই অঞ্চলের কোনো গুরুত্ব নাই, অতএব গেছে যাক্ গে।
3000 ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন তাদেরও কোনো ভ্যালু ছিল না।
এইভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের চূড়ামণি এবং হিন্দু ধর্মের সবথেকে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র কৈলাস মানস সরোবর নেহেরুর ভুলে আজকে চিনের দখলে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সহ লক্ষলক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রাণের আহুতি দিয়ে যে অখণ্ড ভারত গড়ার রাস্তা তৈরি করে গিয়েছিলেন ---- নেহেরুর মতন ধূর্ত ক্ষমতা লোভীরা সেটা ক্ষমতা হাতে পেয়েও হেলায় হারিয়েছেন।
উৎস: SM.

Thursday, 18 June 2020

বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা

✮ ইকথায়োলজি – মাছ সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ অ্যান্থ্রোপোলজি – মানুষের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ ফাইকোলজি – শৈবাল সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ মাইকোলজি – ছত্রাক সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ ইথোলজি – অাচারণ সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ জেনেটিক্স – জীনতত্ত্ব ও বংশগতি সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ ইভোলিউশন – বিবর্তন ও অভিব্যক্তি সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ অরনিথোলজি – পাথি সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ অস্টিওলজি – হাড় বিষয়ক বিদ্যা।
✮ নিউরোলজি – স্নায়ু সম্পর্কিত চিকিৎসা বিদ্যা।
✮ নেফ্রোলজি – রেচন সম্পর্কিত চিকিৎসা বিদ্যা।
✮ জিওলজি – ভূতত্ত্ববিদ্যা।
✮ হাইড্রোলজি – ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ পানি সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ টক্সিকোলজি – বিষ বিষয়ক বিদ্যা।
✮ ইকোলজি – বাস্তুসংস্থান বিদ্যা।


✮ অার্কিওলজি – প্রত্নতত্ত্ব বিদ্যা।
✮ পমোলজি – ফলগাছ চাষাবাদ বিদ্যা।
✮ হেলমিনথোলজি – কৃমি সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ মাইক্রোবায়োলজি – অনুজীব বিষয়ক বিদ্যা।
✮ এমব্রায়োলজি – ভ্রুণ সম্পর্কিত বিদ্যা।
✮ হারপেটোলজি – উভচর ও সরীসৃপ বিষয়ক বিদ্যা।
✮ এপিকালচার – মৌমাছি চাষ বিদ্যা।
✮ ফ্রগ কালচার – ব্যাঙচাষ বিদ্যা।
✮ হর্টিকালচার – উদ্যানপালন বিদ্যা।
✮ অ্যানিমেল হ্যাজবান্ডরী – গবাদিপশু পালন বিদ্যা।
✮ পোলটি ফার্মিং – হাঁস মুরগী পালন বিদ্যা।
✮ পেডিয়াট্রিক্স – শিশুদের চিকিৎসা বিদ্যা।
✮ এভিকালচার – পাখিপালন বিদ্যা।
✮ পিসিকালচার – মৎস্যচাষ বিদ্যা।
✮ সেরিকালচার – রেশমচাষ বিদ্যা।
✮ প্রনকালচার – চিংড়িচাষ বিদ্যা।
✮ পার্ল কালচার – মুক্তাচাষ বিদ্যা।

ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাব্যবস্থা Part -1

1. ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাব্যবস্থা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসরগুলি কিকি ? 
উঃ ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাব্যবস্থা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসরগুলি হলঃ A. বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা (Right of free and compulsory education) 
B. শিক্ষার অধিকার (Right to education)
C. নারী শিক্ষা (Education for women) 
D. তপশিলি জাতি ও উপজাতি সহ অন্যান্য দুর্বল শ্রেণীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উন্নয়ন (Promotion of education and economic interests of SC, ST and other weaker sections)
E. ধর্মীয় শিক্ষার প্রাবধান (Provision of Religious education) 
F. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও স্বার্থ সুরক্ষা (Education of minorities, protection of interests of minorities) 
G. সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনার অধিকার (Right of minorities to establish and administer educational institutions) 
H. প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা (Instruction in mother-tongue at primary stage) 
I. হিন্দি ভাষার প্রচার (Promotion of Hindi)
J. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষা (Education in union territories) 
K. শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য মৌলিক দায়িত্ব (Fundamental duty to provide opportunity for education) I



2. সংবিধানের কত নম্বর ধারায় বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে ? 
উঃ সংবিধানের 45 নম্বর ধারায় বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে । এই ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্র ছয় বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত শিশুর শৈশব কালীন যত্ন ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা করবে । সংবিধানের নির্দেশাত্মক নীতির 45 নম্বর ধারায় রাষ্ট্রকে সংবিধান প্রচলনের দিন থেকে 10 বছরের মধ্যে 14 বছর বয়স্ক সকল শিশুদের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করার নির্দেশ দেওয়া হয় । এই দ্বায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সহ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সকলের সম্মিলিত দ্বায়িত্ব । 




3. শিক্ষার অধিকার (Right to education) সংবিধানের কত নম্বর ধারায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ? 
উঃ 2002 সালের 86 তম সংবিধান সংশোধনী তে 21A ধারায় শিক্ষার অধিকার কে ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই সংশোধনীর যথার্থ প্রয়োগের জন্য 2009 সালে The Right of Children to Free and Compulsory Education (RTE) Act, 2009 নামক আইন প্রণয়ন করে প্রতিটি শিশুকে প্রথাগত বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পূর্ণ সময়ের সন্তোষজনক এবং সমতুল্য মানের অপরিহার্য প্রাথমিক শিক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়েছে । সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি 2010 সালের 1 লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হয় । 


4. ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় নারী শিক্ষা (Education for women) বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ?
উঃ ভারতীয় সংবিধানের 15/1 এবং 15/3 নম্বর ধারায় নারী শিক্ষা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । 15/1 ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি ও জন্ম স্থানের ভিত্তিতে কোন নাগরিকের সাথে বৈষম্য করা যাবে না, নারী-পুরুষ সম অধিকারী । যার ব্যখ্যা হিসাবে রাষ্ট্রকে নারী ও শিশুদের জন্য কোন বিশেষ বিধান তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়। এবং 15/3 ধারা অনুযায়ী নারীদের জন্য রাষ্ট্রকে কোন বিশেষ ব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষমতা প্রদান করা হয় যার মধ্যে শিক্ষাও অন্তর্ভুক্ত।


5. তপশিলি জাতি ও উপজাতি সহ অন্যান্য দুর্বল শ্রেণীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ? 
উঃ ভারতীয় সংবিধানের Directive Principle of State Policy এর অন্তর্গত 46 নম্বর ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সহ অন্যান্য দুর্বল শ্রেণীর শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । এই ধারা অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া তপশিলি জাতি ও উপজাতি সহ অন্যান্য দুর্বল শ্রেণীর নাগরিকদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের উন্নয়নে রাষ্ট্রকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । 
 

6. ধর্মীয় শিক্ষার প্রাবধান (Provision of Religious education) ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে ? 
উঃ ধর্মীয় শিক্ষার প্রাবধান ভারতীয় সংবিধানের 25 ও 28/1,2,3  নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে । 25/2 নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী সকল ভারতীয় নিজ ধর্ম অনুশীলন ও প্রচার করতে পারে এবং 28 নম্বর ধারায় সরকারি অনুদানে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং একই সাথে বলা হয়েছে ভাষাগত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনরকম আর্থিক অনুদানের বৈষম্য করা যাবে না । 


7. ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও স্বার্থ সুরক্ষা (Education of minorities, protection of interests of minorities) এর কথা বলা হয়েছে ? 
উঃ ভারতীয় সংবিধানের 29 নম্বর ধারায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও স্বার্থ সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে । এই ধারা অনুযায়ী সরকার পরিচালিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, ভাষা বা এগুলির কোন একটি বিষয়ের অজুহাতে কোন ভারতীয় নাগরিককে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না । এখানে আরো বলা হয়েছে যে ভারতের যেকোনো স্থানে বসবাসকারী নাগরিকের যদি পৃথক ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে তাহলে সেগুলি তাদের সংরক্ষণের অধিকার থাকবে । 


8. ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনার অধিকার (Right of minorities to establish and administer educational institutions) প্রদান করা হয়েছে ? 
উঃ ভারতীয় সংবিধানের 30 নম্বর ধারায় সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনার অধিকার প্রদান করা হয়েছে । এই ধারার দুটি ক্লজের প্রথমটিতে সমস্ত ভাষাগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং তার পরিচালনার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয়টিতে বলা হয়েছে যে ধর্ম ও ভাষার ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনরকম বৈষম্য করবে না । 


9. ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা (Instruction in mother-tongue at primary stage) প্রসারের অধিকার প্রদান করা হয়েছে ?
উঃ ভারতীয় সংবিধানের 350-A নম্বর ধারায় প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রসারের অধিকার প্রদান করা হয়েছে । এখানে বলা হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশু শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায় সেদিকে রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নজর রাখবে এবং প্রয়োজনে এই ধরনের সুবিধাগুলিকে সুরক্ষিত করতে রাষ্ট্রপতি নির্দেশ জারি করতে পারে । 


10. ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় হিন্দি ভাষার প্রচার (Promotion of Hindi) কে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে ? 
উঃ ভারতীয় সংবিধানের 351 নম্বর ধারায় হিন্দি ভাষার প্রচারকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে । এই ধারা অনুযায়ী হিন্দি ভাষার উন্নতি ও প্রসারের দ্বায়িত্ব ভারত সরকারের । ভারতীয় মিশ্র সংস্কৃতির উপাদানসমূহকে গ্রহণ ও প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ চয়ন করতে পারে তবে তা গঠনরীতি ও প্রকাশের ভঙ্গিমায় হস্তক্ষেপ না করে করতে হবে ।

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...