1. সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী (Co-curricular Activities) বলতে কি বোঝায় ?
উঃ বিদ্যালয় (প্রথাগত) শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ ক্রমের অন্তর্ভুক্ত না হয়েও যে সমস্ত কার্যাবলী শিক্ষার্থীদের সামাজিকিকরণ, চরিত্র গঠন, প্রত্যক্ষ জ্ঞানের সংগঠন, দেহ ও মনের সার্বিক বিকাশে সহায়তা করে সেই সমস্ত কার্যাবলীকে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী বলা যায় । Oxford Dictionary অনুযায়ী "Co-curricular Activities are defined as the activities that enables to supplement and compliment the curricular or main syllabi activities. "
Secondary Educational Commission (Mudaliar Commission - 1952-53) অনুযায়ী "Co-curricular activities are as integral part of curricular activities of a school and their proper organization needs just as much care and forethought as the organization of curricular activities."
2. সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উদ্দেশ্যগুলি কিকি ?
উসহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) শিক্ষার্থীর নির্বাচিত লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য নির্বাচিত প্রয়োজনীয় সংকল্প এবং উৎসর্গের বিকাশ ঘটানো । ii) ব্যক্তিগত ইচ্ছার আগে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক শুভ মনোভাবের বিকাশ ঘটানো । iii) শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতা প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া । iv) শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক সুযোগগুলি সরবরাহ করা ইত্যাদি ।
3. ভূগোল শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি কিকি ?
উঃ ভূগোল শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি হলঃ i) ভূগোল মিউজিয়াম তৈরি, ii) বুলেটিন বোর্ড তৈরি, iii) ভ্রমণ, iv) ভূগোল সমিতি বা ক্লাব পরিচালনা, v) ভূগোল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, vi) ভূগোল পত্রিকা প্রকাশ, vii) ভূগোল সংক্রান্ত বিশেষ কর্ম অনুশীলন, viii) বিতর্কসভার আয়োজন, ix) ভূগোল গ্রন্থাগার পরিচালনা ইত্যাদি ।
4. ভূগোল মিউজিয়াম বলতে কি বোঝায় ?
উঃ বিভিন্ন ভৌগোলিক উপাদান যা আমাদের চারপাশে ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং যেগুলো শ্রেণি শিক্ষণে কোন না কোন ভাবে ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে নির্দিষ্ট কক্ষে পৃথক পৃথকভাবে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থাকে ভূগোল মিউজিয়াম বলা যায় । এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন শিলা, মৃত্তিকা মডেল, বিভিন্ন চার্ট, ছবি, মডেল, ভৌগোলিক যন্ত্র প্রভৃতি সাজিয়ে রাখা হয় ।
5. ভূগোল মিউজিয়াম ধারণার প্রবক্তা কে ?
উঃ ব্রিটিশ ভূতাত্বিক Henry Thomas De la Beche সর্বপ্রথম ভূগোল মিউজিয়াম ধারণার প্রবর্তন করেন । তার পরামর্শের ভিত্তিতেই 1835 সালে লন্ডনে The Museum of Practical Geology গড়ে ওঠে ।
6. ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনের পদ্ধতি কিরকম ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনের ক্ষেত্রে সংগৃহীত ভৌগোলিক উপাদানগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগীভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক উপাদানের গায়ে শিক্ষামূলক পরিচিত লাগিয়ে রাখতে হবে । প্রত্যেকটি উপাদানের সঙ্গে একটি করে নির্দেশনা পত্র থাকবে যাতে উপকরণের নাম, প্রাপ্তির স্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লিখিত থাকবে । ভৌগোলিক যন্ত্রের ক্ষেত্রে যন্ত্রটির চিত্র সহ কার্যপ্রণালী উল্লেখ করতে হবে ।
7. ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি হবে ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থী নিজের দ্বায়িত্বে নমুনা ও উপকরণ সংগ্রহ করে নিজেরাই সাজাবে, পরিচিতিপত্র তৈরি করবে এবং দর্শকদের দেখাবে । এছাড়া বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের মডেল নিজেরাই তৈরি করে পাঠ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে ।
8. ভূগোল মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্য কি ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) পরিবেশে সম্পর্কে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা এবং তাদের অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ ঘটানো । ii) প্রাকৃতিক সম্পদের কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা । iii) সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের মনোভাবের বিকাশসাধন করা ইত্যাদি ।
9. ভূগোল মিউজিয়ামের প্রধান উপাদানগুলি কিকি ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়ামে প্রধান উপাদান হিসাবে - i) ছবি, ছবি পোস্ট কার্ড এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের জীবন যাত্রার প্রতিফলক চিত্র (Illustrating painting), ii) বিভিন্ন ভৌগোলিক ঘটনা, ভৌগোলিক পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা উপস্থাপন করতে সক্ষম কাদামাটি বা প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন মডেল, iii) স্থানীয়ভাবে নির্মিত জিনিষ যেমন কাপড়, মৃৎপাত্র, কাঠের ও মানসিক কাজের নমুনা, iv) স্থানীয় বা আঞ্চলিক কৃষি ফসলের নমুনা, শিল্প মডেল, v) মহাবিশ্ব তথা সৌরজগতের মডেল, vi) প্রাপ্তি স্থানের উল্লেখ ও বৈশিষ্ট্য যুক্ত বিভিন্ন ধরনের শিলা, পাথর, খনিজ; vii) ) বিদেশী স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং পামফলেট ইত্যাদি রাখা যায় ।
10. ভূগোল মিউজিয়ামে স্থাপিত Showcases গুলির আয়তন কেমন হয় ?
উঃ ভূগোল মিউজিয়ামে স্থাপিত Showcases গুলির আয়তন হয় 6X3X4 ফুট ।
No comments:
Post a Comment