১. সন্ধি বলতে কী বোঝায় ?
উঃ পরস্পর সন্নিহিত বা পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলন বা পরিবর্তনের ফল কে বলা হয় সন্ধি । যেমন - সুর+অসুর = সুরাসুর; এখানে সুর এর 'র' ধ্বনি বা বর্ণ এবং অসুর এর 'অ' ধ্বনি বা বর্ণ মিলিত হয়ে 'রা' ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়েছে । এই 'রা' হল সন্ধি ।
২. সন্ধি কয় প্রকার ?
উঃ প্রধানতঃ সন্ধি দুই প্রকারযথাঃ অ) স্বরসন্ধি এবং আ) ব্যঞ্জন সন্ধি । এছাড়া ব্যঞ্জন সন্ধির অন্তর্গত আরেক প্রকার সন্ধি রয়েছে যাকে বলা হয় বিসর্গসন্ধি ।
৩. সন্ধি সংক্রান্ত বিশেষ পদ বা শব্দবন্ধগুলি কীকী ?
উঃ সন্ধি সংক্রান্ত বিশেষ পদ বা শব্দবন্ধগুলি হলঃ
অ) #সবর্ণ_স্বর : অ, আ - এই দুটি বর্ণ অ-বর্ণ; ই, ঈ - এই দুটি বর্ণ ই-বর্ণ; উ, উ - এই দুটি বর্ণ উ-বর্ণ, ঋ- হল ঋ-বর্ণ । এগুলি পরস্পর সবর্ণ বা সমান স্বর ।
আ) #অসবর্ণ : যা সবর্ণ নয় তাই অসবর্ণ । যেমন অ-বর্ণ ও ই-বর্ণ পরস্পরের অসবর্ণ ।
ই) #গুণ : ই-বর্ণ এর স্থানে 'এ', উ-বর্ণ স্থানে 'ও' এবং 'ঋ' স্থানে 'অর্' হওয়ার নিয়মকে ব্যাকরণের ভাষায় গুণ বলা হয় ।
ঈ) #বৃদ্ধি : অ স্থানে 'আ', ই-ঈ স্থানে 'ঐ', উ-ঊ এবং ও-ঔ স্থানে 'ঔ' এবং ঋ স্থানে 'আর্' হওয়ার নিয়মকে ব্যাকরণের ভাষায় বলা হয় বৃদ্ধি ।
উ) #নিপাতন : সূত্র অবলম্বন না করে (সন্ধি, সমাস) সিদ্ধ হওয়ার রীতিকে বলা হয় নিপাতন ।
ঊ) #লোপ : বর্ণ বা শব্দের আদর্শনকে বলা হয় লোপ । অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন শব্দ বা বর্ণ মূল শব্দ গঠনের সময় বাদ পড়ে যায় ।
৪. স্বরসন্ধি কাকে বলে ?
উঃ সন্নিহিত দুটি স্বরধ্বনি মিলিত হয়ে যখন একটি ধ্বনিতে রুপান্তরিত হয় তখন তাকে স্বরসন্ধি বলা হয় । যেমন - কুশ+আসন = কুশাসন, এখানে কুশ এর শ (শ = শ্+অ) থেকে 'অ' স্বরধ্বনি এবং আসন এর 'আ' স্বরধ্বনি যুক্ত বা মিলিত হয়ে 'শা' ধ্বনি গঠিত হয়েছে । ফলে দুটি স্বরধ্বনির মিলনের ফলে সন্ধিবদ্ধ পদটির উৎপত্তি ঘটেছে ।
৫. স্বরসন্ধি নিষ্পন্নের নিয়ম বা সূত্রগুলি কীকী ?
উঃ স্বরসন্ধি নিষ্পন্নের নিয়ম বা সূত্রগুলিকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা যায়, যথাঃ অ) একই জাতীয় ধ্বনির মিলনের ফলে স্বরসন্ধি এবং আ) ভিন্নজাতীয় ধ্বনির মিলনের ফলে স্বরসন্ধি ।
No comments:
Post a Comment