Sunday, 25 October 2020

ভৌগোলিক উপকথা -2 GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

* ঝড় বা তুফানের সময় বৃহদাকৃতির যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় : ঝটিকা তরঙ্গ (Storm Wave)I


*. উচ্চ পর্বতের ঢালে কোনো তাকের মতো বেরিয়ে থাকা ছোট হিমবাহ : ঝুলন্ত হিমবাহ (Hanging Glacier)I


* নির্দিষ্ট আকার বিহীন মাটি বা শিলায় তৈরি ছোট পাহাড় : টিলা (Hillok)I


* উষ্ণ প্রস্রবণে মুখে অধঃক্ষিপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের কঠিন ত্বক : ট্র্যাভার্টাইন (Travertine)I


*যে এককে প্রবেশ্যতর মাত্রা প্রকাশ করা হয় : ডারসি (Darcy) I


* তির্যকভাঁজে উৎপন্ন দুটি প্রজন্মের নিম্নভাঁজের সংযোগস্থলে যে গাঠনিক বৈচিত্রের উদ্ভব হয় : ডিপ্রেশন (Depression)I


*  মরুভূমির বৃহদাকার বালুর তরঙ্গ : ড্রা (Draa) I


* কতিপয় তথ্য বা প্রপঞ্চের যুক্তিসিদ্ধ, নীতিগ্রাহ্য সুশৃঙ্খল ব্যখ্যা : তত্ব (Theory) I


* কতগুলো অশূন্য সংখ্যার উল্টা মানের গাণিতিক গড়ের উল্টামান : তরঙ্গ গড় Harmonic Mean)I


* প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর ইত্যাদি পর্বতগাত্র ও হিমবাহের ফাটলের মধ্যদিয়ে হিমবাহের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে যে সঞ্চয়রেখা গঠন করে : তলদেশ গ্রাবরেখা (Su-glacial Moraine)I





* তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে শিলাস্তরে সৃষ্ট ফাটল : তাপবিভঙ্গ (Thermal Fracture)I


* যেকোন অক্ষাংশে সাগর পৃষ্ঠে গড় তাপমাত্রা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্রার মধ্যবর্তী তারতম্য : তাপমাত্রা বৈষম্য (Temperature Anomaly)I


* মেরু বা পার্বত্যাঞ্চলে বিস্তৃত হিম রেখার ওপরে অবস্থিত চির তুষার বা বরফের আবরণ : তুষার মুকুট (Ice-Cap)I


* সামুদ্রিক অঞ্চলে উপরের উষ্ণ জলস্তর এবং তার নিচে অবস্থিত শীতল জল স্তরের মধ্যবর্তী অংশে দ্রুত উষ্ণতা পরিবর্তনকারী স্তর : থার্মোক্লাইন (Thermocline)I


* ধ্রুপদী যুগের ভূগোলে মানব-প্রকৃতির সম্পর্ক বা পারস্পরিক প্রভাব ব্যখ্যা করার ঈশ্বরকেন্দ্রিক মতাদর্শ : থিওক্র্যাটিক (Theocratic)I


* কোন তথ্যসারিকে উচ্চক্রমানুসারে বিন্যস্ত করার পর যে মান সমূহ রাশিটিকে সমান দশ ভাগে বিভক্ত করে : দশমক (Decile) I


* কোন তথ্যরাশির বা নিবেশনের রাশিগুলির বর্গের গাণিতিক গড়ের বর্গমূল : দ্বিঘাত গড় (Quadratic Mean) I


* বৃত্তচাপের আকারে সজ্জিত দ্বীপপুঞ্জের সমাহার : দ্বীপবলয় (Arc) I


* 24 ঘণ্টায় কোন স্থানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার অন্তরফল : দৈনিক তাপ সীমা (Diurnal Range) I


* বিভিন্ন মরু অঞ্চলে ধূলিকণা দ্বারা সৃষ্ট স্বল্পস্থায়ী ঘূর্ণায়মান ধূলিস্তম্ভ : ধূলিঘূর্ণি (Dust Devil) I


*বিভিন্ন দ্রাঘিমা রেখার একটি নির্দিষ্ট কোণে ছেদকারী দিক নির্দেশক কাল্পনিক রেখা : ধ্রুব দিকরেখা (Rhumbline/Loxodrome) I


* অভ্যন্তরীণ শক্তি উৎস থেকে প্রাপ্ত বিকিরণের সাহায্যে স্বদীপ্ত, জন্ম-বিবর্তন ও মৃত্যু সমন্বিত মহাজাগতিক উপাদান : নক্ষত্র (Star) I


* নগরের ভিতর থেকে সুদূর গ্রামীণ এলাকা সংযোগকারী সড়ক ও জনপদ সমূহের উভয় পার্শ্বে গড়ে ওঠা না-শহর, না-গ্রামরূপী বসতি : নগর ফিতা (Urban Ribbon) I


*নদীর বিজ্ঞানসম্মত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রিক আলোচনা শাস্ত্র : নদীবিদ্যা (Potamology) I


* দুই বা ততোধিক নদীর মিলন ক্ষেত্র : নদী সঙ্গম (Confluence)।

ভৌগোলিক উপকথা |GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

*ব্যাথোলিথের ছাদ থেকে বেরিয়ে থাকা গম্বুজাকৃতির শিলাদেহ : কিউপোলা (Cupola) I


.* নদীর মোহনায় নদী স্রোত সোজাসুজি সমুদ্রের মধ্যে আনেকটা অগ্রসর হলে স্রোতের দুপাশে পলি সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের সৃষ্টি হয় : কাসপেট বদ্বীপ (Cuspate delta)I


* শিলাগাত্রে যেসব বৃত্তচাপ আকৃতির খাঁজ থেকে শিলাগাত্রের জল চুইয়ে পড়ে : কুলুঙ্গি (Alcove)I


 *হৈম হ্রদের তটরেখা নির্দেশক সোপান : কেম সোপান (Kame terrace)I


* সাগর পৃষ্ঠে প্রায় আয়তক্ষেত্র আকৃতির অঞ্চলে উৎপন্ন জোয়ারের প্রবাহ : কেলভিন তরঙ্গ (Kelvin Wave)I


*আঞ্চলিক শিলা দ্বারা আবদ্ধ খনিজ পাতের আকৃতিবিশিষ্ট দেহ : খনিজশিরা (Vein)I


*ভূমিরূপের উপর ক্রিয়াশীল ভিন্ন ভিন্ন শক্তির মধ্যে সাম্যের ধারণা : গতীয় সাম্য (Dynamic Equilibrium)I


* চ্যুতিতল বরাবর প্রবল ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন কাদার মতো সুক্ষ শিলাচূর্ণ : গুজ (Gouge)I


*. হিমবাহ অপসারিত অঞ্চলে সৃষ্ট তৃণভূমির মোটা দানার বালু ও নুড়িময় জমি : গিস্ট (Geest)I


* সাধারণভাবে যেকোন মোটা দানার বেলেপাথর : গ্রিট (Grit)I


* গ্রানাইটের আংশিক রাসায়নিক বিয়োজনের ফলে উৎপন্ন বস্তু : গ্রাস (Grus)I


* নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোন বস্তুর ভর ও সমপরিমান জলের ভরের অনুপাত : ঘনত্ব (Density)I


*. প্রতিলোম চ্যুতির চ্যুতি তল : ঘাততল (Thrust Plane)I


* সাগর পৃষ্ঠের সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে অনেকসময় জোয়ার ও কোরিওলিস বলের যুগ্ম প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণি : ঘূর্ণনধারা (Amphidromic System)I


* নদী সাগরে পতিত হওয়ার আগে নদী প্রবাহ কর্তিত মাটির খাড়া পাড়ে সরু খাত : চাইন (Chine)I



* স্বচ্ছ লাল রঙের কোরাণ্ডাম খনিজ (Al2O3) তথা মূল্যবান রত্ন খনিজ : চুনি (Ruby)I


* একটি পাড়া বা হ্যামলেট কালক্রমে পূর্ণাঙ্গ গ্রামরুপে পরিবর্তিত হওয়ার আগের রূপ : ছোট গ্রাম (Small Village)I


*সৌর জগৎ যে ছায়াপথের অন্তর্ভুক্ত : আকাশ গঙ্গা/সুরগঙ্গা/স্বর্গগঙ্গা (Milky Way)I


* যে শাস্ত্রে কোন একটি জনসংখ্যার আকার, গঠন, বিন্যাস, ঘনত্ব, বৃদ্ধি, জনমিতি, আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্য, শুমারি এবং এই সমস্ত নিয়ামক সমূহের পরিবর্তনের ফলাফলের বিজ্ঞানসম্মত চর্চা করা হয় : জনমিতি (Demography)MGI.


*. একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং স্থানে সহজপ্রাপ্য অর্থনৈতিক সম্পদ ও সামাজিক সুবিধাসমূহের উপর জনসংখ্যার আকার ও কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যের প্রভাব : জনসংখ্যা চাপ (Population Pressure)I


*. যে প্রক্রিয়ায় মাটি এবং মাটির মধ্যে বর্তমান কলয়ডীয় যৌগ জমে গুটি উৎপন্ন করে : জমাটন (Flocculation)I


* রেখা, কোণ ইত্যাদির সুক্ষ পরিমাপ এবং তার ফলাফল নথিভুক্ত করে কোন অঞ্চলের সঠিক মানচিত্র অঙ্কনের উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি : জরিপ (Surveying)I


*মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে উদ্ভুত উঁচু স্তম্ভের মতো ভূমিরূপ : জেউগেন (Zeugen)I


* কয়লা স্তরের ঠিক নিচে অবস্থিত পৃষ্ঠমৃত্তিকারুপী কাদার স্তর : জ্বলনি কর্দম (Fire Clay)I


* ভূমধ্যসাগরীয় সৈকত ও উষ্ণ বলয়ে যেসব সংকীর্ণ জৈব প্রাচীর জোয়ারের সময় ডুবে যায় এবং ভাটার সময় স্থলভাগরূপে প্রকাশিত হয় : ট্রট্টয়ের (Trottoir)।

ভৌগোলিক পরিভাষা|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

* শিবন রেখা (Suture Line) :- যে রেখা বরাবর দুটি মহাদেশীয় পাত জোড়া লেগে যায় । 


* ইউজিওক্লাইন (Eugeocline) :- সমুদ্রের মহাসাগরীয় ভূত্বকের উপর মহিঢাল অংশে সঞ্চিত গভীর সমুদ্রের অবক্ষেপ । 


*মায়োজিওক্লাইন (Miogeocline) :- মহাদেশীয় পাতের প্রান্তদেশে মহিসোপানের ওপর অগভীর সমুদ্রের পলিস্তরে গঠিত কীলক । 


* টারবিডাইট (Turbidite) :- মহিঢাল অংশে ইউজিওক্লাইন সঞ্চয়ের ফলে গড়ে ওঠা অবক্ষেপজাত শিলাস্তর । 


*ইমব্রিকেট থ্রাস্ট (Imbricate Thrust) :- দুটি মহাদেশীয় পাতের চাপের প্রভাবে তাদের মধ্যস্থিত মহাসাগরীয় পাতের ব্যাসল্ট ভূত্বকের খণ্ডন এবং উপরিস্থাপনের ফলে গড়ে ওঠা ভূমিরুপ । 


* জিগ-স-ফিট (Zig-Saw-Fit) :- আলফ্রেড ওয়েগনার বর্ণিত আটলান্টিকের উভয় পার্শ্বের মহাদেশগুলির আকৃতিগত মিল । 


*প্যাঞ্জিয়া (Pangea) :- আলফ্রেড ওয়েগনারের মতানুসারে 150 মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীর বুকে বিরাজমান বিশাল মহাদেশ ।

 

*পুরাচৌম্বকত্ব (Plaeo -Magnetism) :- প্রাচীন শিলাস্থিত ক্ষুদ্র প্রাকৃতিক চুম্বক । 



* প্যান্থালাসা (Panthalasa) :- আলফ্রেড ওয়েগনারের মতানুসারে 150 মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীর বুকে বিরাজমান বিশালাকৃতির জলভাগ । 


* অধঃপাত অঞ্চল (Subduction Zone) :- পাতসংস্থান তত্ব অনুযায়ী যে অঞ্চল বরাবর ভারী পাত অপেক্ষাকৃত হালকা পাতের তলায় প্রবেশ করে । 


*লিথোজেনেসিস (Lithogenesis) :- পর্বত সৃষ্টির যে পর্যায়ে মহিখাত সৃষ্টি হয়ে পলি সঞ্চয় হয় ও তার অবনমন আরম্ভ হয় । 


* ওরোজেনেসিস (Orogenesis) :- মহিখাত তত্ব অনুযায়ী পর্বত সৃষ্টির যে পর্যায়ে পলি স্তরে ভাঁজ সৃষ্টি হয় । 


* গ্লিপ্টোজেনেসিস (Gliptogenesis) :- মহিখাত তত্ব অনুযায়ী পর্বত সৃষ্টির যে পর্যায়ে ভঙ্গিল পর্বতের উচ্চতা ধীরেধীরে বৃদ্ধি পায় এবং আবহবিকার ক্রিয়া করে । 


*কুলাস (Colus) :- আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে নির্গত জিভের আকৃতিবিশিষ্ট লাভা প্রবাহ । 


* টেফ্রা (Tephra) :- আগ্নেয়গিরির মুখে আলগাভাবে সঞ্চিত পাইরোক্লাস্টিক পদার্থের স্তূপ ।

ইতিহাস শিক্ষা HISTORY EDUCATION

*ইতিহাস শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি কিকি ? 

উঃ ভূগোল শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি হলঃ i) ইতিহাস মিউজিয়াম তৈরি, ii) বুলেটিন বোর্ড তৈরি, iii) ঐতিহাসিক ভ্রমণ, iv) ইতিহাস সমিতি বা ক্লাব পরিচালনা, v) ইতিহাস প্রদর্শনীর ব্যবস্থা, vi) ইতিহাস পত্রিকা প্রকাশ, vii) ইতিহাস সংক্রান্ত বিশেষ কর্ম অনুশীলন, viii) বিতর্কসভার আয়োজন, ix) ইতিহাস গ্রন্থাগার পরিচালনা ইত্যাদি । 


* ইতিহাস মিউজিয়াম বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনাবলীর নিদর্শন, প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান, প্রাচীন স্থাপত্য মডেল, লিখিত প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদান ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালাকে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । এক কথায় ইতিহাস পঠনপাঠনের উপযোগী পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে সেগুলি যেসব প্রতিষ্ঠান বা ভবনে সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেইসব ভবন বা প্রতিষ্ঠান কে ইতিহাস মিউজিয়াম বলা হয় । ইতিহাস পাঠদানের ক্ষেত্রে অনাদি অতীতকে প্রাণবন্ত করে তুলতে এবং কল্পনাপ্রবণ শিক্ষার্থীর মানসচক্ষুতে জীবন্ত ও বাস্তব করে তোলার এক অনবদ্য কার্যাবলী হল ইতিহাস মিউজিয়াম । 


* কোন সময়কে যাদুঘরের যুগ বলা হয় ? 

উঃ ঊনবিংশ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সময়কালকে যাদুঘরের যুগ বলা হয়, কারণ এই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাদুঘর প্রতিষ্ঠার ব্যপক উদ্যোগ দেখা দেয় এবং বহু নতুন যাদুঘর গড়ে ওঠে । 


* ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের পদ্ধতি কিরকম ? 

উঃ মিউজিয়ামের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করে তা সংরক্ষণ করা । ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনের ক্ষেত্রে সংগৃহীত ঐতিহাসিক উপাদানগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগীভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক উপাদানের গায়ে শিক্ষামূলক পরিচিত লাগিয়ে রাখতে হবে । প্রত্যেকটি উপাদানের সঙ্গে একটি করে নির্দেশনা পত্র থাকবে যাতে উপকরণের নাম, প্রাপ্তির স্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লিখিত থাকবে । 



*ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি হবে ? 

উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম স্থাপনে শিক্ষার্থী নিজের দ্বায়িত্বে নমুনা ও উপকরণ সংগ্রহ করে নিজেরাই সাজাবে, পরিচিতিপত্র তৈরি করবে এবং দর্শকদের দেখাবে । এছাড়া বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মডেল নিজেরাই তৈরি করে পাঠ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে । 


* ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্য কি ?

উঃ ইতিহাস মিউজিয়াম পরিচালনার শিক্ষাগত উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i) অতীত ঘটনাবলী সম্পর্কে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা এবং তাদের অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ ঘটানো । ii) ঐতিহাসিক বিভিন্ন উপাদান, নিদর্শন, স্থাপত্য ইত্যাদির কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা । iii) সংগ্রহ ও সঞ্চয়ের মনোভাবের বিকাশসাধন করা । iv) পাঠ্য বইএর পাঠ্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যরেখে বিভিন্ন নিদর্শন শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করে বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আরো কৌতূহলী ও আকৃষ্ট করে তোলা ইত্যাদি । 


** ইতিহাস মিউজিয়ামের প্রধান উপাদানগুলি কিকি ? 

উঃ ইতিহাস মিউজিয়ামে প্রধান উপাদান হিসাবে - i) প্রাক ঐতিহাসিক যুগের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যেমন - তৈজসপত্র, অলংকার, অস্ত্রশস্ত্র, শিল্পকলা; ii) ঐতিহাসিক যুগের বাস্তব নিদর্শন, ভাস্কর্যের চিহ্ন, স্থাপত্য শিল্পের নমুনা ও শিল্প সৌন্দর্যের নমুনা; iii) বিভিন্ন উপাদানে খোদাই করা প্রাচীন লিপি, প্রাচীন মুদ্রা, দানপত্র, পুঁথি, ব্যক্তিগত দলিল; iv) বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের স্মৃতিচিহ্ন, বিভিন্ন সাম্রাজ্য ও শাসকের জীবনপঞ্জিকা; v) ঐতিহাসিক বস্তুর মডেল, ধংসাবাশেষের ফটোগ্রাফ, স্থাপত্য শিল্পের মডেল, ব্যক্তিগত তৈলচিত্র; vi) প্রাচীন বিদেশী স্ট্যাম্প, মুদ্রা এবং পামফলেট ইত্যাদি রাখা যায় । 


*ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর কত ধরনের হতে পারে ? 

উঃ ইতিহাস শিক্ষার উপযোগী যাদুঘর বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমনঃ i) বিশ্বকোষ যাদুঘর, ii) প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, iii) ঐতিহাসিক গৃহ যাদুঘর, iv) শিল্প যাদুঘর, v) প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘর, vi) বিজ্ঞান যাদুঘর, vii) সামরিক যাদুঘর, viii) জীবন্ত যাদুঘর, ix) চলমান যাদুঘর, x) ব্যক্তিগত যাদুঘর ইত্যাদি । 


* সর্বজনীন যাদুঘর কোন যাদুঘরকে বলা হয় ? 

উঃ British Museum কে সর্বজনীন যাদুঘর (Universal Museum) বলা হয় । এই যাদুঘর বিশ্বকোষ যাদুঘরেরও শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ।

বিকাশের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর * CHILD PSYCHOLOGY

*. বিভিন্ন প্রকার বিকাশ ক্ষেত্রগুলি কিকি ? 

উঃ বিভিন্ন প্রকার বিকাশ ক্ষেত্রগুলি হলঃ i) দৈহিক বিকাশ (Physical Development), ii) সামাজিক বিকাশ (Social Development), iii) প্রাক্ষোভিক বিকাশ (Emotional Development), iv) মানসিক বিকাশ (Psychological Development), v) ভাষা ও বাচনিক বিকাশ (Language and Speach Development), vi) প্রজ্ঞামূলক বিকাশ (Cognitive Development), vii) মনো-সামাজিক বিকাশ (Psycho-Social Development), viii) নৈতিক বিকাশ (Moral Development) ইত্যাদি । 


*.  দৈহিক বিকাশ (Physical Development) বলতে কি বোঝায় ? 

উঃ শিশুর জন্ম থেকে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শারীরিক বিভিন্ন ধারণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব ও অঙ্গ সঞ্চালনগত পূর্ণ ক্ষমতা প্রাপ্তির পর্যায়ক্রমিক অবস্থাকে দৈহিক বিকাশ বলা যায় । 


*. দৈহিক বিকাশের প্রভাবক্ষেত্র গুলি কিকি ? 

উঃ দৈহিক বিকাশের প্রভাবক্ষেত্র গুলি হলঃ i) স্থূল শারীরিক কাঠামো পরিবর্তন এবং ii) আভ্যন্তরীণ অঙ্গের পরিবর্তন । 




*. দৈহিক বিকাশের বৈশিষ্টগুলি উল্লেখ করুন । 

উঃ দৈহিক বিকাশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলঃ i) শৈশব অবস্থায় (0-2 বছর) শারীরিক বিকাশ দ্রুত হয় । ii) প্রাক বাল্যকালে (3-6 বছর) শারীরিক বিকাশ নির্দিষ্ট থাকে । iii) মধ্য-বাল্যকালে (7-9) পুনরায় শারীরিক বিকাশএর দ্রুততা লক্ষ্য করা যায় । iv) পরবর্তী বাল্য (10-13) কালে শারীরিক বিকাশ নির্দিষ্ট গতিতে স্থির ভাবে ঘটতে থাকে । 


*. দৈহিক বিকাশে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলি কিকি ? 

উঃ দৈহিক বিকাশে প্রভাব বিস্তারকারী কিছু উপাদান হলঃ i) বংশগতি (Heredity), ii) পুষ্টি (Nutrition), iii) উন্মুক্ত পরিবেশ, iv) অন্তর্গ্র্রন্থির প্রভাব (Effect of Endocrine Gland), v) প্রাক-জন্মকালীন অবস্থা (Prenatal Condition), vi) পরিবার, vii) অর্থ-সামাজিক অবস্থা, viii) বুদ্ধি, ix) লিঙ্গ বিভেদতা ইত্যাদি । 


*. মানুষের শৈশব (0-2 বছর) কালীন দৈহিক বিকাশের প্রকৃতি কিরূপ ? 

উঃ শৈশব অবস্থায় শিশুরা নিজের গৃহে বাস করে । i) জন্ম থেকে 2 মাস বয়সে শিশু গন্ধ দিয়ে তার মা কে চিনতে পারে । শিশু শব্দের উৎসের দিকে মাথা ঘোরাতে পারে । 2 ফুট দূরত্বের বস্তু স্পষ্ট দেখতে পায় । ii) 2-3 মাস বয়সে বিভিন্ন সঞ্চালনার সূত্রপাত ঘটে । নিয়ম করে খায় ও ঘুমায় । iii) 4-6 মাসে দাঁত ওঠে । দূরের জিনিস দেখতে পায় । বসার চেষ্টা করে । 6 মাস বয়সে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করে । iv) 7-9 মাসে একাকী বসতে পারে । আঙুল দিয়ে কোন কিছু ধরতে পারে । v) এক বছর বয়স থেকে হাঁটা, দৌড়ান, সাহায্য নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ইত্যাদি আরম্ভ হয় । 


* প্রথম বাল্য (2-6 বছর) কালে দৈহিক বিকাশের প্রকৃতি কিরূপ ?

উঃ i) এই সময় শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে, মাথার অংশের বৃদ্ধি ধীরগতিতে সম্পন্ন হয় l পেশী খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, শ্বাসপ্রশ্বাস ও হৃদ যন্ত্রের গতি হ্রাস পায়, রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায় l ii) 2-3 বছর বয়সে আবেগ প্রকাশ করতে পারে, পায়ে পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ও নামতে পারে, ট্রাইসাইকেলে প্যাডেল করতে পারে । iii) 3 বছর বয়সে স্বাধীন ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ও নামতে পারে, পোশাক খুলতে ও পরতে পারে । iv) চার বছর বয়সে সোজা দৌড়াতে পারে, মাথার উপরের দিকে বল ছুড়তে পারে, দূরের জিনিস লক্ষ্য করে কিছু ছুঁড়ে মারতে পারে । v) মাথার আয়তন প্রাপ্ত বয়স্কদের অনুরুপ হয়ে যায় । vi) 6 বছর বয়সে শিশুর দৈর্ঘ্য গড়ে 46.6 ইঞ্চি হয়ে থাকে, শিশুর দাঁত পড়ে নতুন দাঁতের /মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া/ আবির্ভাব ঘটে । 


* উত্তর বাল্য (6-11 বছর) কালে দৈহিক বিকাশের প্রকৃতি কিরূপ ?

উঃ এই বয়সে সহ্যশক্তি ও সজীবতা বৃদ্ধি পায় l সবচেয়ে ভাল স্বাস্থ্য গঠিত হয় l বালক বালিকারা প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাব মুক্ত হতে চায় l 


 * বয়সসন্ধি (11-20 বছর) কালে বিকাশের প্রকৃতি কিরূপ ?

উঃ এই সময় কিশোর কিশোরীদের দৈহিক পরিবর্তনের কাল l কিশোরীদের ওজন ও উচ্চতা কিশোরদের ছাপিয়ে যায় l

Thursday, 15 October 2020

ভূগোল প্রশ্নোত্তর-1|GEOGRAPHY QUESTIONS AND ANSWERS

* সমোষ্ণ রেখা (Isotherms) কাকে বলে ? 

উঃ ভূপৃষ্ঠের উপর সামান তাপ বিশিষ্ট স্থানগুলোকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা উপস্থাপন করা হয় তাকে সমতাপ বা সমোষ্ণ রেখা বলে । সমোষ্ণ রেখা গুলো উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের জন্য ঘন ভাবে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের জন্য ফাঁকা ভাবে অবস্থান করে । এগুলো পৃথিবীর মানচিত্রে মোটামুটি অক্ষরেখা গুলিকে অনুসরণ করে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত । সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের সময় সমোষ্ণ রেখা গুলি উত্তর-দক্ষিণে সরে যায় । 


@ মরু অঞ্চলে শীত-গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক কেন ? 

উঃ সাধারণত মহাদেশের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মরু অঞ্চল গুলিতে শীত ও গ্রীষ্মের পার্থক্য অধিক হয়, কারণ :- i) মরু অঞ্চল গুলো বালুকাময় কোয়ার্টজ জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় তাপ ধারণ ও বিকিরণ ক্ষমতা বেশি; ii) সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান; iii) স্বল্প বৃষ্টিপাত ও জল ধারণ ক্ষমতা; iv) অক্ষাংশ গত অবস্থান ইত্যাদি । 


* জলবায়ুর নিয়ন্ত্রক সমূহের নাম লেখ 

উঃ কোন স্থানের দীর্ঘকালীন আবহাওয়ার কার্যকরী ফল কে এই স্থানের জলবায়ু বলে । এর নিয়ন্ত্রক গুলি হল :-  i) অক্ষাংশ গত অবস্থান, ii) স্থলভাগের অবস্থান, iii) পৃথিবীর গতির পরিবর্তন, iv) উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বলয় সমূহ ও বায়ুপ্রবাহ, v) বায়ু প্রবাহের দিক, vi) উচ্চতার পার্থক্য, vii) পর্বতের অবস্থান ও ভূমির ঢাল, viii) বৃষ্টিপাত ও জলীয়বাষ্প, ix) সমুদ্র স্রোত ও সমুদ্র থেকে দূরত্ব, x) মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ ইত্যাদি । 



# অটো ইকোলজি সিন ইকোলজি কাকে বলে ? 

উঃ বাস্তু তন্ত্র দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যথাঃ  অটো ইকোলজি ও সিন ইকোলজি ।  বাস্তু তন্ত্রের যে শাখায় একটি প্রজাতির অন্তর্গত একটি মাত্র বা সমস্ত জীব সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে অটো ইকোলজি বলে । অন্যদিকে যেখানে কোন একটি স্থানের বিভিন্ন প্রজাতির বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে সিন ইকোলজি বলে । 


@ জৈব প্রণালী বলতে কি বোঝো ? 

উঃ যে নির্দিষ্ট প্রণালীর মাধ্যমে কোন আবাসভূমির অন্তর্গত উদ্ভিদকুল নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পরিবেশ ও মৃত্তিকা থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে এবং প্রাণিকুল ওই প্রাকৃতিক পরিবেশ ভুক্ত উদ্ভিদকূল হতে পুষ্টি উপাদান সরাসরি সংগ্রহ করে; সেই পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ঘটিত প্রণালী কে জৈব প্রণালী বলে । 



* Biota কি ? 

উঃ একটি অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির জীব অবস্থান করে । কোন অঞ্চলের বিভিন্ন জীব প্রজাতির, যথা স্বাভাবিক উদ্ভিদ, গুল্ম, ব্যাকটেরিয়া, প্রাণীজগৎ প্রকৃতির উপস্থিতিগত বিবরণকে বায়োটা বলে । জৈবমণ্ডলের গঠন সম্পূর্ণভাবে বিচার ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বায়োটা ব্যবহৃত হয় । 


#জীবগোষ্ঠী (Community) কি ? 

উঃ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত কোন একটি নির্দিষ্ট বসতিতে পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠী কে একত্রে জীব গোষ্ঠী বলে । জীবগোষ্ঠীর প্রতিটি জীব পরিবেশের সাথে নিজেকে অভিযোজিত করে একে অপরের সাথে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করে । 


* ভাবর কি ? 

উঃ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পাঞ্জাবি ভাষায় ভাবার বলে । অঞ্চলটির অবস্থান :- শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশ ও গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরাংশে । বিস্তার :- 10 থেকে 15 কিঃমিঃ । বৈশিষ্ট্য :- পূর্ব অংশ সংকীর্ণ এবং পশ্চিম অংশ ক্রমশ বিস্তৃত । ii) উঁচু-নীচু ও ঢেউ খেলানো প্রকৃতির, iii) অন্তঃসলিলা নদী যুক্তিযুক্ত এবং iv) দক্ষিণে নদী সৃষ্ট জলাভূমি যুক্ত । 


# ধ্রিয়ান কাকে বলে ? 

উঃ ভারতীয় মরু অঞ্চলে প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে চলমান বালিয়াড়ি গুলোকে ধ্রিয়ান বলে । ইহা বায়ুর সঞ্চয়জাত একটি ভুমিরুপ । বালিয়াড়ির স্থানীয় নাম টিব্বা । 


* পম্পাস কি ? 

উঃ দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে অঞ্চলে অর্ধচন্দ্রাকার নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি পম্পাস নামে অভিহিত । স্পেনীয় শব্দ 'পম্পাস' এর অর্থ 'বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চল' ।  তৃণভূমিটিতে লক্ষ লক্ষ পশম প্রদায়ী, মাংস প্রদায়ী জন্তু পালিত হয় । আন্দিজ পর্বতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের করডোরা এখানকার প্রধান গো-পালন কেন্দ্র ।

সক্রিয় গবেষণা |CHILD PSYCHOLOGY

**.গবেষণা (Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ Research কথাটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় দুটি শব্দ  "Re" অর্থাৎ "পুনরায়" এবং "Search" অর্থাৎ "খোঁজা বা অনুসন্ধান করা" সমগ্র অর্থে 'পুনরায় খোঁজা বা পূর্বে ঘটে যাওয়া কোন বিষয় কে পুনরায় বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে অনুসন্ধান করা' । অন্যদিকে কোনো  নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন  সমস্যার সমাধান খুঁজে  বের করা বা কোন  অজানা  বিষয়কে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে  জানার চেষ্টা করা বা  উন্নত কোনো  কিছু আবিষ্কার করা কে গবেষণা (Research) বলা হয়।

Carolyn Feher Waltz এবং R. Barker Bausell (1981) Research এর সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন "Research is a systematic, formal, rigorous and precise process employed to gain solutions to problems or to discover and interpret new facts and relationships."

C.R Kothari তার "Research Methodology: Methods & Techniques" গ্রন্থে উল্লেখ করেন "Research is a pursuit of trust with the help of study, observation, comparison and experiment, the search for knowledge through objective and systematic method of finding solutions to a problem."



**.গবেষণা কে কতভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উঃ গবেষণা  মূলত ছয়ভাগে বিভক্ত, যথাঃ i) মৌলিক গবেষণা (Fundamental Research), ii) প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research), iii) মূল্যায়ন   গবেষণা (Evaluative Rresarch ), iv) পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research),    v)  সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) এবং    vi) সক্রিয় গবেষণা (Action Research)



** মৌলিক গবেষণা (Fundamental Research) বলতে কী বোঝায়  ?

উঃ মৌলিক গবেষণা  বলতে মূল বা আদি গবেষণাকে বোঝায়, একে বিশুদ্ধ  গবেষণা ও বলা হয় । মৌলিক  গবেষণার দ্বারা কোন  নতুন তত্ত্বের আবিষ্কার ও বিদ্যমান তত্বের উন্নয়ন করা হয়ে থাকে । 


** প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ প্রয়োগমূলক গবেষণা (Applied Research) দ্বারা  কোন  সমস্যার কারন নির্ণয়  বা সূত্র  আবিষ্কার করা হয়ে থাকে । শিক্ষাবিদ Baily এর মতে ,"Applied  Research  is Research  with finding that can be aplied *to solve social problema of immediate  concern ." এই ফলিত গবেষণা কে ফিল্ড গবেষণা ও বলা হয় ।



**মূল্যায়ন   গবেষণা  (Evaluative Rresarch ) বলতে কী বোঝায়?

উঃ কোন প্রকল্প কে হাতে নেওয়ার পর তাকে পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়িত করার জন্য কিছু  কৌশল  এর ব্যবহার করা হয় এরপর ফলাফল পর্যালোচোনা করে  পুনরায় গবেষণার প্রয়োজন কী না তার নির্ধারন করা হয় যে গবেষণার মাধ্যমে তা হল মূল্যায়ন   গবেষণা  (Evaluative Rresarch )।


** পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ কোনো প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে  বিভিন্ন  ধরনের পদ্ধতি  ও দৃষ্টিভঙ্গির  প্রভাবকে পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয় যে গবেষণায় তা হল পরীক্ষামূলক গবেষণা (Experimental  Research) । সাধারণত মনোবিজ্ঞানে , প্রশিক্ষণও তথ্যের যোগাযোগ ক্ষেত্রে এই গবেষণার মাধ্যমে  পরিচালনা  করা হয় থাকে ।


**সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) বলতে কী বোঝায়? 

উঃ যে গবেষণার দ্বারা সরাসরি বিভিন্ন Tools & Techniques ব্যবহার করে কোন  বিষয়ের তথ্য  সংগ্রহ করা হয় তাকে সমীক্ষামূলক গবেষণা (Survey Research) বলে ।


**সক্রিয় গবেষণা (Action Research) বলতে কী বোঝায়?

উঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা পেশাজীবী গন তাঁদের কাজ এবং  সিদ্ধান্ত সমুহ বিজ্ঞান সম্মত ভাবে অধ্যায়ণ করেন এবং  মূল্যায়ন  করেন তাকে সক্রিয় গবেষণা  বলা হয়। আমেরিকান শিক্ষাবিদ Sarah Ellen Blackwell এর মতে,"Research Concern  school problem  carried out by school personal to improve school 's practice is Action Research."

West Bengal GK পশ্চিম বঙ্গ জিকে Part -03

  * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের নাম কি? # রাজাগোপালাচারী চক্রবর্তী। * পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম কি? # শ্রীমতী পদ্মাজা নাইড...